মাগুরায় শৈতপ্রবাহ, বিপাকে নিম্ন আয়ের মানুষ

মাগুরায় পৌষের মাঝামাঝি সময়ে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে হিমেল হাওয়া আর শৈতপ্রবাহ। আজ সোমবার ভোর থেকেই মাগুরায় তীব্র কুয়াশা আর হিমেল হাওয়া শুরু হয়। এ সময় ভোরে জেলার মহাসড়ক গুলোতে কুয়াশা বেড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়ে ছোট-বড় যানবাহন গুলো। বিশেষ করে ভোরে নসিমন, পিকআপ ভ্যানে সবজি বোঝাই যানগুলোর চলাচল ছিল গতিতে। হেড লাইট জ্বালিয়ে মহাসড়ক গুলোতে এ যানবাহন গুলো জীবনের ঝঁকি নিয়ে চলাচল করে।
ট্রাক ড্রাইভার ইসমাইল জানান,আমি খুলনা থেকে মাল বোঝাই নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্য যাচ্ছি। ভোর ৫ টা থেকে শুরু হয়েছে কুয়াশা ফলে সড়কে হেডলাইন জ্বালিয়ে আসতে হয়েছে। কুয়াশা বেড়ে গেলে দুর্ঘটনা বাড়ে ফলে আমাদের জীবনের নিরাপত্তার অভার বোধ হয়। এখন পৌষ মাস তাই ধীরে ধীরে প্রতিদিনই বাড়বে কুয়াশা আর সেই সাথে ঠান্ডা বাতাস।
রিক্সাচালক মোহর আলী জানান,ভোরে কুয়াশা আর সেই সাথে ঠান্ডা বাতাস থাকার কারণে রিক্সা চালাতে কষ্ট হয়েছে। আমার গরীব অভাবী মানুষ তাই সংসারে নিত্যদিন টানাটানি থাকে। ফলে ভোরেই বের হতে হয় আমাদের।
ইটভাটার শ্রমিক হারেজ বলেন, আমরা ভাটার শ্রমিক। আমাদের কাজ শুরু হয় ভোর থেকে। শীতের বেশি কুয়াশা পড়লে কাজ বাধাগ্রস্ত হয় বেশি। তবুও প্রচন্ড ঠান্ডা উপেক্ষা করে আমাদের কাজ করতে হয়। নির্মান শ্রমিক রেজাউল জানান, শীত হোক বা কুয়াশা হোক কাজ আমাদের করতেই হয়। আজ বেশি কুয়াশা পড়েছে তাই কাজে যেতে দেরি হচ্ছে।
প্রতিদিন সকাল ৮-৯ টার মধ্যে আমাদের কাজে নামতে হয়। কিন্তু আজ কুয়াশা থাকার কারণে ১০টা বেজে গেছে। বেশি শীতে আমাদের কাজ করতে খুব কষ্ট হয়। এদিকে, আজ সোমবার কুয়াশা ও শীতের তীব্রতা বেশি থাকায় শহরের রাস্তাঘাট ছিল একদম ফাকা।
দুপুর ১২ টা পর্যন্ত সূর্যের দেখা না মিললেও অফিস-আদালত-ব্যাংক-বীমাসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজের জন্য কর্মব্যস্ত মানুষ বেরিয়ে পড়ে। শীত বেশি থাকায় রাস্তার পাশে ফুটপাত গুলোতে শীতবস্ত্র কেনার জন্য সাধারণ মানুষের ভিড় বেড়েছে। সেখানে সব বয়সী মানুষেরা ভিড় করছেন কেনাকাটা করা জন্য।
এএজেড
