'পাকিস্তানিরা আমাদের বঞ্চিত করেছিল'
বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। ১৯৭১ সালে দীর্ঘ নয়মাস যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের সম্রমের বিনিময়ে এ মাসে বিজয় অর্জিত হয়। সেই যুদ্ধে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে যারা লড়াই করে ছিল তাদের মধ্যে একজন নড়াইল সদর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ হুমায়ুন কবীর। তিনি ৭১ এর মুজিব বাহিনীর (বিএলএফ) নড়াইল সদরের কমান্ডার ছিলেন।
বিজয়ের মাসে ঢাকাপ্রকাশকে দেয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের সেইসব দিনগুলোর কথা। তিনি বলেন, পাকিস্তানিরা সমস্ত দিক দিয়েই আমাদেরকে বঞ্চিত করেছিল। আমি তখন ছাত্র। আমরা লেখাপড়া করতাম। আমরা জানি যে লেখাপড়া করে আমাদের চাকরি হবে না। চাকরি-বাকরি যত সুযোগ-সুবিধা ওই পাকিস্তানিরাই নিত।
আমাদের তারা উপেক্ষা করত। তো বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে উনি যখন আমাদের দাবি দাওয়া নিয়ে এগোয় গেলেন আমরা তখন ওনাকে সমর্থন করি। আমি তখন নড়াইল মহকুমা ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলাম।
স্বাধীনতা আন্দোলন এবং স্বাধীনতা সংগ্রাম করেই আমরা স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলাম। স্বাধীনতা আন্দোলন ও সংগ্রামের মধ্য দিয়েই একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। যে পরিবেশে মুক্তিযুদ্ধের ডাক বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন এবং আমরা শরীক হয়েছিলাম।
এ প্রেক্ষাপট বলতে গিয়ে তিনি আরও বলেন, ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হলো। পাকিস্তানিরা নানান তালবাহানা করে ক্ষমতা দিতে চাইলো না। ৩রা মার্চ জাতীয় সংসদের অধিবেশন ঢাকায় হওয়ার কথা থাকলেও ইয়াহিয়া খাঁন তার আগেই বন্ধ করে দিল।
তখন আমরা স্লোগান দিলাম- বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো। জ্বালিয়ে দাও, পুড়িয়ে দাও পাকিস্তানি পতাকা। উড়িয়ে দাও উড়িয়ে দাও বাংলাদেশের পতাকা। এইভাবে স্লোগান দিয়ে স্বাধীনতার প্রস্ততি নিতে বলা হলো। তখন আমরা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রস্তুতি নিতে শুরু করলাম।
এএজেড