টানা ৩ দিনের ছুটিতে কুয়াকাটায় পর্যটকের ঢল
পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় বড় দিন ও সাপ্তাহিক ছুটিসহ সরকারি তিন দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে কুয়াকাটায় ব্যাপক পর্যটকের আগমন ঘটেছে। ইতিমধ্যে প্রায় ১০০ শতাংশ হোটেল বুকিং হয়ে গেছে। এতে অনেকটা আনন্দিত পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় ব্যবসায়ীদের সূত্রে জানা যায়, দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে এ মাসের প্রথম দিকে অনেকটা পর্যটক শূন্য ছিলো কুয়াকাটা। সপ্তাহ ব্যাপী মন্দায় দিশেহারা হয়ে পড়ে ব্যবসায়ীরা। তবে গত ১৫ ডিসেম্বর থেকে পর্যটকদের আগমন বাড়তে শুরু করে কুয়াকাটা সৈকতে। বিক্রি বাড়ে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের। বর্তমানে আগাম বুকিং রয়েছে কুয়াকাটার অধিকাংশ হোটেল। তাই হোটেল মোটেলগুলো ধোয়া-মোছাসহ নতুন সাজে সজ্জিত করা হচ্ছে।
কুয়াকাটা সৈকতের বেঞ্চ ব্যবসায়ী করিম মিয়া বলেন, পর্যটকদের আগমন বেড়েছে। এতে মনে হচ্ছে তিল ধারণের ঠাঁই হবে না কুয়াকাটায়। তাই আমরাও বাড়তি প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি, যাতে কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই পর্যটকদের সেবা দিতে পারি।
সৈকতের আচার ব্যবসায়ী নুর জামাল মিয়া জানান, এ সপ্তাহে আগের তুলনায় অনেক বেশি আনারস, পেয়ারা এবং আমড়ার অর্ডার দিয়েছি। কারণ আগের তুলনায় অনেক বেশি পর্যটক আগমনের সম্ভাবনা রয়েছে। আশা করছি অনেক বেশি বিক্রি করতে পারব।
কুয়াকাটা হোটেল মোটেল অনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ বলেন, ইতিমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি কুয়াকাটার সকল হোটেলে-মোটেলের অধিকাংশ রুম বুকিং হয়েছে। এখন পর্যন্ত বলা চলে প্রায় ১০০ শতাংশ হোটেল বুকিং রয়েছে। আশা করছি শতভাগ হোটলে বুকিং থাকবে। আমরা পেছনের লোকসান পুষিয়ে উঠতে পারব।
কুয়াকাটা ট্যুর গাইড অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি কেএম বাচ্চু জানান, আজকে থেকে পর্যটকদের যে আগমন বেড়েছে তাতে মনে হচ্ছে আজ শুক্রবার তিল ধারণের ঠাঁই হবে না কুয়াকাটায়। তাই আমরাও বাড়তি প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি, যাতে কোনো প্রকার ভোগান্তি ছাড়াই পর্যটকদের সেবা দিতে পারি।
ট্যুরিস্ট পুলিশ কুয়াকাটা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার আবদুল খালেক বলেন, প্রতিটি পয়েন্টে আমাদের টিম সার্বক্ষণিক নিয়োজিত থাকে। তারপরও আমরা ভিড় সময়গুলোতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করি, যাতে নির্বিঘ্নে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবেলা করা যায়। আজ থেকে বিভিন্ন স্পটে পুলিশের বাড়তি টহল থাকবে।
জানা যায়, কুয়াকাটাতে ছোট-বড় ১৫০টি হোটেল রয়েছে, যার ধারণক্ষমতা ১৪ থেকে ১৫ হাজার। কিন্তু ছুটির দিনগুলোতে অসংখ্য পর্যটকের আগমনের কারণে অনেক পর্যটক পার্শ্ববর্তী বাসা-বাড়ি ও গাড়ির ভেতরে রাত্রী যাপন করেন। আবার অনেকে সারাদিন ভ্রমণ শেষে রাতে নিজ গন্তব্যে ফিরে যান।