বেনাপোল বন্দর দিয়ে টিসিবির ৩২০০ টন মসুরের ডাল আমদানি

বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে ৩ হাজার ২০০ মেট্রিক টন মসুরের ডাল আমদানি করা হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন মসুরের ডাল এক হাজার ১৩৬ মার্কিন ডলার মূল্যে আমদানি করা হয়। এসব মসুরের ডাল ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) আওতায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করা হবে বলে জানা গেছে।
বুধবার (২১ ডিসেম্বর) বিকালে এসব ডাল বেনাপোল বন্দর থেকে খালাস করা হয়। এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর বেনাপোল দিয়ে টিসিবির জন্য দুই হাজার ২১১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হয়।
এদিকে বেনাপোল স্থলবন্দর থেকে এই মসুরের ডাল খালাস নিতে বেনাপোল কাস্টমস হাউসে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করেছে কনফিডেন্স ট্রেড এ্যাসোসিয়েট নামের একটি সিএন্ডএফ এজেন্ট। সিএন্ডএফ এজেন্টের মালিক আতিয়ার রহমান জানান, ৪ হাজার ২০০ মেট্রিক টন মসুরের ডাল বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে আমদানি করার কথা রয়েছে। যার মধ্যে ৩ হাজার ২০০ টন মসুরের ডাল বেনাপোল বন্দরে এসে পৌঁছেছে। বাকি ১০০০ হাজার টন পর্যায়ক্রমে আসবে।
তিনি আরও জানান, এই ডাল আমদানি করতে প্রতি কেজিতে খরচ পড়ছে ১২৫ টাকা।
এ ব্যাপারে বেনাপোল বন্দরের চেকপোস্ট কার্গো শাখার রাজস্ব কর্মকর্তা কলিম উল্লাহ বলেন, ভারত থেকে ৩ হাজার ২০০ মেট্রিক টন টিসিবির মসুরের ডাল বন্দরে আমদানি হয়েছে। বন্দর থেকে দ্রুত এসব ডাল ছাড় হয়ে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছাতে পারে সেজন্য তারা সব ধরনের সহযোগিতা করছেন।
উল্লেখ্য, গত ৪ ডিসেম্বর এই বন্দর দিয়ে ভারত থেকে টিসিবির জন্য ৮৭টি ট্রাকে করে দুই হাজার ২১১ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করে দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রির জন্য পাঠানো হয়েছে। প্রতি মেট্রিক টন ৩১৯ মার্কিন ডলার মূল্যে এই পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। আমদানি মূল্যের উপর ১০ শতাংশ শুল্ক কর দিয়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানি খরচ পড়ে ৩৭ টাকা ৮৯ পয়সা।
এসআইএইচ
