'উন্নয়নের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবো'
রংপুর সিটি করর্পোরেশন নির্বাচনে জয়ী হলে পরিকল্পিত উন্নয়নের পাশাপাশি নগরীর বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান সৃষ্টি করার চেষ্টা করবেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া। মঙ্গলবার (১৩ডিসেম্বর) নগরীর জমচওড়া, ময়না কুঠি, চওড়ার হাট এলাকায় গনসংযোগে এসে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান তিনি।
ডালিয়া বলেন, সরকার দলীয় মেয়র না থাকায় রংপুর সিটি বাসী উন্নয়ন থেকে অনেক পিছিয়ে। এবার তাই নগর বাসী উন্নয়নের স্বার্থে একজোট হয়েছেন নৌকা মার্কার জন্য।গনসংযোগে গিয়ে নগর বাসীর ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আমি আশাবাদী ২৭ ডিসেম্বর রংপুর বাসী বিপুল ভোটে জননেত্রী শেখ হাসিনার দেয়া নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করবেন।
গনসংযোগকালে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তুষার কান্তি মন্ডল, সহ-সভাপতি আবুল কাশেম, শামীম তালুকদার, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ওবায়দুল হক ময়না,যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক খায়রুল কবির চাঁদ,মহানগর যুবলীগের সভাপতি সিরাজুম মনির বাশার, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মেহেদী হাসান রনি, হারাগাছ থানা আ'লীগের সভাপতি রেজাউল ইসলাম রেজা সহ স্থানীয় ওয়ার্ড ও থানা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর তাজহাট, লালবাগ, দর্শনা ও ফতেহপুর এলাকায় গনসংযোগ করেন নৌকা মার্কার মেয়র প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া। এদিকে রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে আচরণবিধি ভেঙে কোন ধরনের অন্যায় করলে সেখানেই প্রতিরোধ প্রতিবাদ করবে জাতীয় পার্টি বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় পার্টির মনোনীত লাঙ্গল মার্কার প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
মঙ্গলবার দুপুরে নগরীর রঘুবাজারে গণসংযোগকালে মোস্তফা বলেন, 'রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড বজায় আছে। এখন পর্যন্ত নির্বাচনী আচরণবিধি ভেঙ্গে কোন প্রার্থীর ওপর আক্রোশ, জুলুম, নির্যাতন হয়নি। তবে এ ধরনের অন্যায় দেখলে সেখানেই প্রতিরোধ-প্রতিবাদ করা হবে। জাতীয় পার্টি এখানে অনেক শক্তিশালী অবস্থানে আছে। যেখানেই অন্যায় হবে সেখানেই প্রতিরোধ প্রতিবাদ করব। সে সক্ষমতা জাতীয় পার্টির আছে'।
সকল প্রার্থীকে নির্বাচনী আচরণ বিধি মেনে একটি গ্রহণযোগ্য এবং উৎসবমুখর নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে আহ্বান জানিয়ে মোস্তফা বলেন, রংপুরে আমরা জনগণের অংশ গ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে চাই। এতে জনগণ যাকেই রায় দেবে আমরা সেই রায়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হব। সিটি কর্পোরেশনের প্রথম নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়িয়ে হাস মার্কায় ৭৯ হাজার ভোট পেয়েছিলেন এবং জনগণের সেই রায়কে তিনি শ্রদ্ধার সাথে মেনে নিয়েছিলেন।
একজন স্কুল মাস্টারের ছেলেকে জনগণের রায় দিয়েছিল আমি তাতে সন্তুষ্ট হয়েছিলাম এবং পরের বার নির্বাচনে জনগণ আমাকে এক লক্ষ ভোটের ব্যবধানে জিতিয়েছে। গত নির্বাচনের চেয়ে এবার প্রতিপক্ষ প্রার্থীর সাথে ভোটের ব্যবধান আরো বাড়বে বলেও আশাবাদী তিনি।
নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান ও মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির, জেলা জাপার সদস্য সচিব হাজী আব্দুর রাজ্জাক, যুব সংহতির জেলা সভাপতি হাসানুজ্জামান নাজিম, মহানগর ছাত্রসমাজের সভাপতি ইয়াসিন আরাফাত আসিফসহ জাতীয় পার্টি নেতৃবৃন্দ।
এএজেড