কুড়িগ্রামে তীব্র শীতে দুর্ভোগে নিম্ন আয়ের মানুষ
গত দুই সপ্তাহ ধরে কুড়িগ্রামে বাড়তে শুরু করেছে শীতের তীব্রতা। আজ মঙ্গলবার সকাল ৬টায় এ জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ জেলায় মধ্যরাত থেকে পড়ছে ঘন কুয়াশা। বৃদ্ধি পায় ঠাণ্ডার মাত্রা। ফলে দিনের বেলাতেও যানবাহনকে হেড লাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে সড়কে। এদিকে শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিপাকে পড়েছে খেটে খাওয়া মানুষ। সময় মতো কাজে যোগ দিতে তাদের বেগ পেতে হচ্ছে। এ ছাড়া শিশু ও বয়স্কদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের শতীপুরির নজরুল ইসলাম, সোনমতি, করিম মিয়া জানান, তারা সোনাহাট স্থলবন্দরে কাজ করেন। সকাল সাড়ে ৭টার মধ্যে বন্দরে পৌঁছাতে হয় তাদের। ঘন কুয়াশ এবং শীত বাড়ায় তাদের কাজে যোগ দিতে কষ্ট হয়।
কৃষি শ্রমিক হাসেম আলী ও জসিম উদ্দিন জানান, ঘন কুয়াশা পড়ায় ক্ষেত খামারের কাজে যোগ দিতে তাদের দেরি হচ্ছে। এছাড়া শীত বাড়ায় তাদের কষ্ট হচ্ছে।
নাগেশ্বরী এলাকার অটোরিক্সা চালক সাইদুল ইসলাম ও ফুলবাড়ী উপজেলার অটোচালক শফিকুল ইসলাম জানান, কুয়াশার কারণে সড়কে অটো চালাতে তাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সকাল সকাল হেড লাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে। তা ছাড়াও যাত্রী কমে গেছে। এই রকম কুয়াশা প্রতিদিন পড়তে থাকলে তাদের আয় কমে যাবে।
কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার আবহাওয়া ও কৃষি পর্যাবেক্ষণাগারের দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তুহিন মিয়া জানান, দিন দিন এ জেলার তাপমাত্রা আরো কমতে থাকবে এবং শীতের তীব্রতা আরো বাড়বে।
এসআইএইচ