মঙ্গলবার, ১১ মার্চ ২০২৫ | ২৬ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

ঘরে ফিরল না ছেলে, অধরাই থাকল মায়ের স্বপ্ন!

স্বপ্ন ছিল বিদেশ গিয়ে অর্থ উপার্জন করে গড়বেন একটি সুখের নীড়। বসবেন বিয়ের আসরে। বিয়ে করে স্ত্রী ও মাকে নিয়ে কাটাবেন বাঁকিটা জীবনের পথ। দূর করবেন মায়ের যত দুঃখ। কিন্তু নিয়তির কি পরিহাস! একটি দুর্ঘটনায় সব স্বপ্ন ছেলের রক্তের সাথে ভেসে গেল সেই দুখিনী মায়ের। নিভে গেলে দুখিনী মায়ের সুখের হাসি হাসার দিনগুলো। স্বপ্ন রয়ে গেলো স্বপ্ন। ফিরলো না ছেলে আর বাড়ি।

বলছিলাম দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার আদর্শ কলেজ পাড়া গ্রামের টগবগে যুবক মোত্তাসিম বিল্লাহর (২৫) কথা। রবিবার (১১ ডিসেম্বর) ভোরে যাত্রিবাহী নাইট কোচ-পিকআপ মুখোমুখি সংঘর্ষে প্রাণ হারান মোত্তাসিম বিল্লাহ। এঘটনায় নিহত হন আরও দুই জন। নিহত অপর ব্যাক্তিরা হলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর থানার দূর্গাপুর গ্রামের জেন্টু আলীর ছেলে পিকাআপ চালক ওলিউল্লাহ (২২), একই উপজেলার মরারচর গ্রামের সেতাব রহমানের ছেলে পিকআপের সহকারী আজিজুর
রহমান নিশান (২৪)।

নিহত মোত্তাসিমের খালা উম্মাহানী ও খালু আবু তালহা জানান, বিশ বছর পূর্বে পাবর্তীপুর উপজেলার মহেশপুর গ্রামের নুরুল ইসলামের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় আয়েশা বেগমের। সেখানে মোত্তাসিম বিল্লাহসহ তার এক ভাই এক বোনের জন্ম হয়। বিয়ের ৫ বছর পরেই পারিবারিক কলহের কারণে বাবা নুরুল ইসলামের সাথে ও তার মা আয়েশা বেগমের বিচ্ছেদ ঘটে।

শিশু মোত্তাসিম বিল্লাহকে নিয়ে তার মা আয়েশা বেগম চলে আসেন ফুলবাড়ী উপজেলার আদর্শ কলেজ পাড়ায় বাবার বাড়ী। সে সময় বাড়ীতে বাধ্য হয়ে স্বামীর বাড়ীতে রেখে আসতে হয় একটি কন্যা ও একটি ছেলে সন্তান। তারপর আর সেখানে ফিরে যায়নি আয়েশা। তার স্বামীও তাদের খোঁজ নেয়নি। এরপর থেকে শুরু হয় কষ্টের জীবন।

ছেলে মোত্তাসিম বিল্লাহকে বুকে আগলে রেখে বাবার বাড়ীতেই চলছিল তার জীবন। এরই মাঝে মোত্তাসিম বিল্লাহ এসএসসি পাশ করে পাড়ি জমান ঢাকার এক পোশাক কারখানায়। সেখানে উপার্জন করে তার মাকে সহযোগিতার পাশাপাশি সে স্থানীয় শহিদ স্মৃতি আদর্শ ডিগ্রী কলেজে উন্মুক্ত বিশ্ব বিদ্যালয়ের অধিনে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ২য় বিভাগে পড়াশুনা করছিল।

সংসারের খরচ জোগাতে হিমশিম খেতে হয়, তাই তার মা আয়েশা বেগমও স্থানীয় একটি জুট মিলে শ্রমিকের কাজ করেন। এদিকে তার বড় মামা সৌদি প্রবাসী শাহাজান মোত্তাসিমকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব দেয়। ইতিমধ্যে মোত্তাসিম বিদেশ যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট তৈরি করে মেডিকেলও করেছেন। তার স্বপ্ন ছিল বিদেশ গিয়ে টাকা উপার্জন করে দুখিনি মাকে নিয়ে সুখে শান্তিতে জীবন কাটাবেন। কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস!

আসুস্থ নানীকে দেখতে শনিবার বাস যোগে ঢাকা থেকে দিনাজপুর ফুলবাড়ীর উদ্যেশে রওনা দেয় মোত্তাসিম। গত রবিবার ভোরে ঘুমের ঘোরে ভুলে ফুলবাড়ীতে নামতে না পেরে দিনাজপুর চলে যান। পরে বাস না পেয়ে একটি পিকাপে চড়ে ফুলবাড়ীতে আসছিল মোত্তাসিম। এরই মাঝে রোববার ভোর ৫টায় ফুলবাড়ী-দিনাজপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার ভিমলপুর মির্জা অটো রাইস মিলের সামনে এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় প্রান হারায় মোত্তাসিম বিল্লাহ।

এতে একমাত্র অবলম্বন ছেলেকে হারিয়ে মা আয়েশা বেগম কেঁদে কেঁদে দিশেহারা। আহাজারিতে মোত্তাসিমের পরিবারে নেমে আশে শোকের ছায়া। রোববার দুপুরে পুলিশ তার মরদেহটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করলে আদর্শ কলেজ পাড়া গ্রামে তার দাফন সম্পন্ন করা হয়।

ফুলবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশ্রাফুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে মরদেহ সুরতহাল করা হয়েছে। নিহতের পরিবারদের কোনো অভিযোগ না থাকায়,মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। ঘাতক বাসটিকে আটক করে কোতোয়ালী থানায় রাখা হয়েছে এবং পিকআপটি থানা হেফাজতে রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
এএজেড

Header Ad
Header Ad

রাজিবপুর মহিলা কলেজে বিশেষ ক্লাসের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়

রাজিবপুর মহিলা কলেজ। ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের রাজিবপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ ও কয়েকজন শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিশেষ ক্লাসের নামে জোরপূর্বক অতিরিক্ত টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (৯ মার্চ) সকাল ১১টায় সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টির সত্যতাও পাওয়া গেছে।

শিক্ষার্থী ও কলেজ সূত্রে জানা গেছে, এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের ফরম ফিলাপ ফি নির্ধারণ করা হয়েছে মানবিক শাখার জন্য ২,৮০০ টাকা এবং বিজ্ঞান বিভাগের জন্য ৩,০০০ টাকা। তবে এই নির্ধারিত ফি ছাড়াও বিশেষ ক্লাসের নামে প্রতিজনের কাছ থেকে আরও ২,০০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এই অতিরিক্ত টাকা না দিলে ফরম ফিলাপ সম্পন্ন হবে না বলে শিক্ষকেরা চাপ প্রয়োগ করছেন।

এইচএসসি পরীক্ষার্থী ইভা খাতুন ও রুমকি জানান, ‘ফরম ফিলাপ ফি বাবদ ২,৮০০ টাকা নেওয়া হয়েছে। তবে কোচিংয়ের জন্য আবার ২,০০০ টাকা দিতে বাধ্য করা হয়েছে।’ নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরও কয়েকজন শিক্ষার্থী অভিযোগ করেন, ‘কোচিং ফি না দিলে ফরম ফিলাপ হবে না বলে স্যাররা চাপ দেন। আমাদের অনেকের বাবা কৃষিকাজ করেন, কেউ দিনমজুরি করেন, এমনকি কেউ কেউ নৌকা চালিয়ে সংসার চালান। যেখানে ফরম ফিলাপের টাকা জোগাড় করাই কষ্টকর, সেখানে অতিরিক্ত ২,০০০ টাকা দেওয়া আমাদের পক্ষে অসম্ভব।’

একজন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন, ‘ইংরেজি শিক্ষক রেজাউল করিমের কাছে আমি শুধু বলেছিলাম, স্যার! আমাদের অর্থনীতি অপশনাল, এটি তো কঠিন। সপ্তাহে দুইদিন যদি ইংরেজি-আইসিটির পাশাপাশি অর্থনীতির ক্লাসও নিতে পারেন। এই কথা বলার পর স্যার আমার ওপর রাগান্বিত হয়ে আমাকে বাবা-মা তুলে গালিগালাজ করেন। সেদিন বাসায় গিয়ে সারাদিন কেঁদেছি। আম্মা কলেজে আসারও চিন্তা করেছিলেন।’

তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে ইংরেজি প্রভাষক মুহা. রেজাউল করিম বলেন, ‘আমি পড়াশোনা সংক্রান্ত বিষয়ে শিক্ষার্থীদের শাসন করি। তবে টাকার বিষয়ে আমি তাদের সঙ্গে কোনো কথা বলি না। বরং আমি অনেক শিক্ষার্থীকে বই কিনে দিয়ে সহায়তা করেছি। আমরা চাই আমাদের প্রতিষ্ঠানের সুনাম বৃদ্ধি পাক, আর সেটা ভালো রেজাল্টের মাধ্যমেই সম্ভব।’

এদিকে, কলেজের কয়েকজন অভিভাবকও অভিযোগ করেন যে, ফরম ফিলাপের জন্য নির্ধারিত টাকার বাইরে বাড়তি ২,০০০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। কেউ ২,০০০ টাকা, কেউ ২,৫০০ টাকা আবার কেউ কেউ পুরো টাকাই দিচ্ছেন। তাদের অভিযোগ, এখানে স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে অর্থ আদায় করা হচ্ছে।

বাংলা প্রভাষক মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘এটা কোচিং নয়, বিশেষ ক্লাসের জন্য প্রতিজনের কাছ থেকে ২,০০০ টাকা নেওয়া হচ্ছে। যারা অকৃতকার্য হয়েছে এবং নিয়মিত ক্লাসে আসে না তাদেরকে বিশেষ বিবেচনায় ফরম ফিলাপের সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। অর্থের বিনিময়ে ক্লাস করানো হচ্ছে যাতে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে অংশগ্রহণ করে। তবে কাউকে চাপ প্রয়োগ করা হয়নি, যে যা দিতে পারে তাই দিচ্ছে।’

অভিযোগের বিষয়ে রাজিবপুর মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো. লুৎফর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ‘বিশেষ ক্লাসের আয়োজন শিক্ষার্থীদের অনুরোধেই করা হয়েছে। অনেক শিক্ষার্থী আছে যাদের ফোন দিয়েও ক্লাসে আনা সম্ভব হয়নি। যদি শিক্ষার্থীরা বলে তারা বিশেষ ক্লাস করতে চায় না, তাহলে তাদের টাকা ফেরত দেওয়া হবে।’

বিষয়টি নিয়ে রাজিবপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ‘ফরম ফিলাপ ফি সাধারণত ২,২০০ টাকার আশেপাশে। কোচিং বা বিশেষ ক্লাসের জন্য অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। আমি অধ্যক্ষকে বলে দিয়েছি, তারা যেন এই অর্থ আর না নেয়। তবে ব্যবস্থা নেওয়া আমার এখতিয়ারে নেই, সেটা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব।’

Header Ad
Header Ad

দেশে এখন যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে: উপদেষ্টা মাহফুজ

তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। ছবি: সংগৃহীত

দেশে বর্তমানে যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে জানিয়ে তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম জানিয়েছেন, সেই যুদ্ধের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়তে হবে।

‘গণ-অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধ শক্তি একটি ছদ্ম-যুদ্ধ চালাচ্ছে’ শিরোনামে সোমবার (১০ মার্চ) দিবাগত রাত ৩টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুকে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।

গণ-অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধ শক্তি একটি ছদ্ম-যুদ্ধ চালাচ্ছে এমনটা জানিয়ে পোস্টে তিনি লিখেন, গতকাল মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে একটি পর্যালোচনা সভায় নারী ও শিশুর বিরুদ্ধে নিপীড়ন ও সহিংসতা নিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ, নিষিদ্ধ সংগঠনের কার্যক্রমের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ ও সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। আমরা সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলাম, সরকার কঠোর অবস্থানে যাবে। গতকাল থেকে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় অপরাধীদের গ্রেফতার চলমান এবং বিচারের কাজ দ্রুত ও সুষ্ঠু করার লক্ষ্যে ও সরকার তৎপর।

তিনি বলেন, ছাত্র-যুবকদের জন্য লক্ষাধিক চাকরির ব্যবস্থা ও তরুণদের জন্য জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণের বিষয় ও গতকালের আলোচনায় উত্থাপিত হয়েছে। শীঘ্রই এ বিষয়ে দৃশ্যমান পদেক্ষেপ নেয়া হবে। সরকার জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স দেখাবে এবং সে লক্ষ্যে সমন্বিত তৎপরতা ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার ও বিচার, প্রতিষ্ঠানসমূহকে শক্তিশালী করা, জুলাই শহিদ ও আহতদের জন্য ইতিবাচক উদ্যোগ গ্রহণ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইস্যুতে সরকার সক্রিয় ও সফল। কিন্তু, সামরিক-বেসামরিক আমলাতন্ত্র, ব্যবসায়ী শ্রেণি ও মিডিয়ার মধ্যকার গণ-অভ্যুত্থানের শক্তিগুলোর বিরোধ, স্বার্থান্বেষা ও মতান্ধতা, অন্যদিকে গণ- অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধ শক্তির ঐক্যবদ্ধ হয়ে ক্রমশ উত্থান সরকারকে বেকায়দায় ফেলছে।

সরকার গণ-অভ্যুত্থানে পরাজিত একটি শক্তিশালী দেশি- বিদেশি জোটের বিরুদ্ধে যুদ্ধ লড়ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, স্বার্থান্বেষী মহল জনগণের মধ্যকার অভ্যুত্থানের ঐক্যকে নস্যাত করতে উঠে পড়ে লেগেছে। সফলও হচ্ছে। সেনাবাহিনী, রাজনৈতিক দল ও অভ্যুত্থানের বিভিন্ন শক্তিকে মুখোমুখী না করাই আমাদের জন্য আখেরে ভালো হবে।

আমাদের মনে রাখতে হবে, দেশে এখন যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে এবং সে যুদ্ধ অন্য জায়গা থেকে আমাদের উপর চাপিয়ে দেয়া হয়েছে। একটা কন্ট্রোল রুম থেকে সে যুদ্ধের প্রতি সপ্তাহ ও দিনের কর্মসূচি চালু করা হয় ও মনিটর করা হয়। আমাদের সে যুদ্ধের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়তে হবে।

পোস্টে তিনি আরও উল্লেখ করেন, রাষ্ট্র সংস্কার, গণহত্যা ও লুটপাটের বিচার, প্রতিষ্ঠানসমূহের পুনরুজ্জীবন ও গণতান্ত্রিক রূপান্তরসহ নানা বিষয় আমাদের লক্ষ্য থেকে হারিয়ে যাচ্ছে। এ সরকারের আমলে এ দেশকে গড়ে তোলার সুযোগ ও সক্ষমতা তৈরি হয়েছে বলেই ভিনদেশ থেকে দ্রুততার সাথে সরকার পরিবর্তনের প্রেস্ক্রিপশন আসছে। কিন্তু, নির্বাচন যথাসময়েই হবে এবং জুলাই সনদের ভিত্তিতে এ দেশে নির্বাচনের আগেই রাষ্ট্র সংস্কারের দৃশ্যমান অগ্রগতি ঘটবে এবং খুনী, ধর্ষক ও লুটেরাদের বিচার হবে।

Header Ad
Header Ad

ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে গ্রেপ্তার

রদ্রিগো দুতার্তে। ছবি: সংগৃহীত

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) নির্দেশে ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দেশটির রাজধানী ম্যানিলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এক প্রতিবেদনে মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস জানিয়েছে, ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তেকে মঙ্গলবার ম্যানিলা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত মাদকবিরোধী যুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারি করে এবং এরপরই তাকে আজ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলোর দাবি, এই যুদ্ধে হাজার হাজার ফিলিপিনোকে বিনাবিচারে হত্যা করা হয়েছে।

এদিকে ফিলিপাইন সরকার জানিয়েছে, হংকং থেকে ফিরে আসার পর রদ্রিগো দুতার্তেকে ম্যানিলার বিমানবন্দরে আটক করা হয়।

অন্যদিকে পৃথক এক প্রতিবেদনে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মঙ্গলবার ম্যানিলা বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর ফিলিপাইনের পুলিশ রদ্রিগো দুতার্তেকে গ্রেপ্তার করে। সাবেক এই প্রেসিডেন্ট এখন (পুলিশ) হেফাজতে রয়েছেন বলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দেশটির প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে জানানো হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ৭৯ বছর বয়সী রদ্রিগো দুতার্তে ২০২২ সালে প্রেসিডেন্টের ক্ষমতা ছেড়ে দেন এবং তিনি ফিলিপাইনের সবচেয়ে প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের একজন। তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তিনি এতোদিন আপেক্ষিক দায়মুক্তি ভোগ করেছেন।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

রাজিবপুর মহিলা কলেজে বিশেষ ক্লাসের নামে অতিরিক্ত টাকা আদায়
দেশে এখন যুদ্ধ পরিস্থিতি বিরাজ করছে: উপদেষ্টা মাহফুজ
ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তে গ্রেপ্তার
মধ্যরাতে পল্লবী থানায় ঢুকে যুবকের অতর্কিত হামলা, ওসিসহ আহত ৩
সাভারের পাওয়ার গ্রিডের আগুন ২ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে
সীমান্তে দশ বছরে ৩০৫ বাংলাদেশিকে হত্যা করেছে বিএসএফ: এইচআরএসএস
হাসিনার সময়ে মানুষের নামাজ পড়ারও অধিকার ছিল না: আব্দুস সালাম পিন্টু
বিএনপির সাবেক এমপি নাজিম উদ্দিন মারা গেছেন
এমবিবিএস-বিডিএস ছাড়া ডাক্তার পদবি নয়: এনডিএফ
সাভারে পাওয়ার গ্রিডে ভয়াবহ আগুন, নিয়ন্ত্রণে ৯ ইউনিট
সালমান এফ রহমানের লন্ডনের সম্পদ জব্দ, দুটি ব্যাংক হিসাবও অবরুদ্ধ
পাগল বেশে নারীদের উত্ত্যক্ত করা সেই কন্টেন্ট ক্রিয়েটর খালিদ গ্রেপ্তার
একাকিত্বের কষ্টে ভুগছেন পরীমণি, জানালেন আবেগঘন অনুভূতির কথা
বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি ঘোষণা: কে কত বেতন পাবেন
ভারতকে ব্যবহার করে শেখ হাসিনার প্রচারণা চালানো বিপজ্জনক: গার্ডিয়ানকে ড. ইউনূস
বাড়ি ফেরার পথে টাঙ্গাইলে গাড়ি চাপায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
নির্বাচন বিলম্বিত করার চেষ্টা মানে ফ্যাসিবাদের প্রেতাত্মাদের সহযোগিতা করা: টুকু
বিসিবির কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে নাম প্রত্যাহার রিয়াদের
আগামী ৮ বছর বিশ্বকে শাসন করতে প্রস্তুত ভারত: কোহলি
এনআইডিতে ডাকনাম-একাধিক স্ত্রীর নাম যুক্তের নীতিগত সিদ্ধান্ত