পঞ্চগড়ে বাড়ছে শীত জনিত রোগীর সংখ্যা
দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে প্রতিবারের মত এবারেও বাড়ছে শীতের দাপট। বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হতেই শীত অনুভূত হচ্ছে। রাতে ঘন কুয়াশা না থাকলেও তাপমাত্রা ১২ থেকে ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে ওঠানামা করছে। তবে সকাল থেকে সূর্যের দেখা মেলায় দ্রুতই শীত বিতাড়িত হচ্ছে। দিনভর রোদের তীব্রতা থাকছে। তবে গত কয়েক দিন ধরে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধির সঙ্গে যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শীতজনিত নানা রোগ।
জ্বর, সর্দি, কাঁশি, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া এবং শ্বাসকষ্ট সহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন শিশু সহ বয়ষ্করাও। প্রতিদিনই পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল সহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে সেবা নিতে আসছেন রোগীরা। তবে সবেচেয়ে বেশি রোগী পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। গেল এক সপ্তাহে অন্তত ১ হাজারেরও বেশি রোগী বর্হিবিভাগে চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসা সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
হাসপাতালে শয্যা না পাওয়ায় বারান্দা এবং মেঝেতেই চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন অনেকেই। শিশুদের সঙ্গে বৃদ্ধরাও আক্রান্ত হচ্ছেন ঠান্ডাজনিত রোগে। গত নভেম্বর মাসে গড়ে প্রতিদিন অন্তত ২০০ থেকে ২২০ জন শিশু, ১৭০ থেকে ১৯০ জন পুরুষ এবং ১৮০ থেকে ২০০ জন রোগী বর্হিবিভাগে চিকিৎসা নিয়ে চলে যাচ্ছেন। ডিসেম্বরেও একই অবস্থা দেখা গেছে হাসপাতালটিতে। তবে ১০০ শয্যার পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে শিশু শয্যা রয়েছে মাত্র ১৬টি। কিন্তু ১৬ জনের বিপরীতে প্রতিদিন ৫০-৬০ জন শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে।
হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডের মেঝে ও বারান্দায় শুয়ে শিশু রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন। সদর উপজেলার সাতমেড়া এলাকার আসিরুল ইসলাম বলেন, গত তিনদিন ধরে আমার ছেলের জ্বর, পাতলাপায়খানা ও বমি। কমছেনা তাই হাসপাতলে নিয়ে আসছি। তবে এখন কিছুটা কমেছে।
পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার (শিশু বিশেষজ্ঞ) ডা. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছর শিশু রোগী বেশি। বেশির ভাগ শিশু রোগী জ্বর, সর্দি, ডায়ারিয়া সহ নানান শীতজনিত রোগ নিয়ে ভর্তি হচ্ছে। শিশুদের গরম কাপড় পড়ানো সহ ঠান্ডা না লাগানো, বাসি খাবার না খাওয়ানোর পরামর্শ পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালের এই শিশু বিশেষজ্ঞের।
এএজেড