গাজীপুরে চেকপোস্ট বসিয়ে করা হচ্ছে তল্লাশি

ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের আগে গাজীপুরে মহাসড়কের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোস্ট বসিয়ে পুলিশ। এসময় প্রতিটি গাড়ি ও যাত্রীদের তল্লাশি চালানো হয়। ১ ডিসেম্বর থেকেই আমাদের বিশেষ অভিযান চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় মহাসড়কে গাড়িতে তল্লাশি চলছে। প্রতি থানার আওতায় দুইটি করে চেক পোস্টে এ অভিযান চলছে। গাজীপুরের পুলিশ সুপার কাজী শফিকুল আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে।
ঢাকা-বিভাগের বিভিন্ন জেলাসহ ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলার মানুষের চলাচলের সহজ পথ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক। ফলে ঢাকায় প্রবেশ করতে হলে শ্রীপুর হয়ে টঙ্গীর তল্লাশি চৌকিটি পার না হওয়ার সুযোগ নেই। তল্লাশির শিকার অনেকেরই বক্তব্য, তারা কোনো রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। জরুরি কাজে যে যার মতো ঢাকায় যাচ্ছিলেন। কিন্তু পথে পুলিশ তাদের গাড়ি থামিয়ে শরীর-তল্লাশিসহ মুঠোফোনের ব্যক্তিগত তথ্য, গুরুত্বপূর্ণ মেসেজ, ছবি ঘাঁটাঘাঁটি করে দেখছে।
এই মহাসড়কে চলাচলকারী এসআই পরিবহনের সহকারী আব্দুল হালিম জনি বলেন, ঢাকায় যাওয়ার পথে টাঙ্গাইল, মির্জাপুর ও কালিয়াকৈর চন্দ্রায় পুলিশের চেকপোস্ট চোখে পড়েছে। তারা আমাদের যাত্রীদেরও জিজ্ঞাবাদ করছে। টঙ্গী পূর্ব থানার এসআই মো. মিলন সাংবাদিকদের বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা দায়িত্ব পালন করছি। কেউ যেন নাশকতা তৈরি করতে না পারে বা আইন-শৃঙ্খলার অবনতি না ঘটাতে না পারে সেজন্য তল্লাশি চালানো হচ্ছে। তবে কাউকেই অনাহুত হয়রানি করা হচ্ছে না।
গাজীপুর মহানগর (ট্রাফিক বিভাগের) পুলিশের উপ-কমিশনার মো. আলমগীর হোসেন জানান, বিভিন্নস্থানে পুলিশের চেক-পোস্ট স্থাপন করলেও কাউকে হয়রানী করা হচ্ছে না। গাজীপুর জেলা সড়ক পরিবহণ শ্রমিক-কর্মচারী ইউনিয়নের সভাপতি সুলতান আহমেদ সরকার বলেন, ঢাকায় বিএনপির সমাব্শেকে সামনে রেখে গাড়িতে এখন সাধারণ মানুষ (যাত্রী) কমে গেছে। তাদের মধ্যে অজানা আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুলিশ যাত্রী ছাড়াও চালক-গাড়ির কাগজপত্র পরীক্ষানিরীক্ষা করছে।
এএজেড
