গ্রেপ্তার আতংকে বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী!

ঝালকাঠিতে আওয়ামী লীগের দায়ের করা পৃথক তিনটি বিস্ফোরক আইনের মামলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ২৫০ জন নেতাকর্মী গ্রেপ্তার আতংকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। সোমবার সন্ধ্যায় ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলার ছাত্রলীগের মিছিলের ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা দেখিয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সস্পাদক ও যুবদলের সভাপতিসহ ০৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৬০ জনকে আসামী করে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান সুজন বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
অপরদিকে গত ০৩ ডিসেম্বর রাতে নলছিটি উপজেলায় ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০ জনকে আসামী করে ৭নং ওয়ার্ডের আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জুয়েল খান বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় বিএনপি ও অঙ্গসঙ্গঠনের সভাপতি সম্পাদকসহ নেতাকর্মীদের আসামী করা হয়েছে।
গত ২৯ নভেম্বর রাজাপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের দপ্তর সম্পাদক মোঃ রফিকুল ইসলাম ইলিয়াস বাদী হয়ে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ২৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৮০ জনকে আসামী করে বিস্ফোরক আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায়ও বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের সভাপতি সম্পাদকসহ উল্লেখ যোগ্য নেতাকর্মীদের আসামী করা হয়েছে।
পৃথক তিনটি মামলায় প্রায় তিন শতাধিক বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পুলিশ হয়রানি ও গ্রেপ্তার আতংকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক বর্তমান আহবায়ক কমিটির সদস্য মনিরুল ইসলাম নুপুর বলেন, মনগড়া মিথ্যা গায়েবী মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করা হচ্ছে।
সরকার বিএনপির জনসমর্থন দেখে ভয় পাচ্ছে। তাই মামলা হামলা করে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। এ ভ্যাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে বিএনপির আন্দোলনকে দমিয়ে রাখা যাবে না। এ বিষয়ে কাঠালিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মুরাদ আলী জানান, ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান সুজন বাদী হয়ে উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ০৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০-৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। আমরা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
এএজেড
