থাকেন ভারতে, ত্রাণ তুলেন বাংলাদেশে!
মালতি বালা। স্বামী রাম কৃষ্ণ। বাড়ি লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার ভেলাগুড়ি ইউনিয়নের মধ্যম কাদমা ২নং ওয়ার্ডে। প্রায় ২ বছর আগে সপরিবারে দেশ ত্যাগ করে প্রতিবেশী দেশ ভারতে চলে গেছেন এমন দাবী তাদের স্বজনদের। কিন্তু দুঃস্থ মহিলা উন্নয়ন (ভিজিডি) কর্মসূচি থেকে মালতি বালার নাম বাতিল হয়নি এখনো।
মালতি বালা স্বামীর সাথে ভারতে চলে গেলেও প্রতি মাসে তার নামে ত্রাণ সহায়তা বরাদ্দকৃত ৩০ কেজি সরকারী চাল উত্তোলন হচ্ছে ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে। কে বা কারা এ চাল উত্তোলন করে আত্নসাত করছেন তার কিছুই জানেন না মালিত বালার স্বজনরা। ওই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সন্ধ্যা রানী নামে অপর এক সুবিধাভোগী মারা গেছেন ৬ মাস আগে। কিন্তু এখনো তার নামে প্রতিমাসে সরকারী বরাদ্দকৃত ভিজিডি কর্মসুচীর ৩০ কেজি করে চাল উত্তোলন করা হচ্ছে।
সন্ধ্যা রানীর স্বামী নিরঞ্জন জানান, তার স্ত্রী মারা গেলেও তিনি নিয়মিত তার স্ত্রীর নামের চাল উত্তোলন করেন। যা ইউপি সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যান সবই জানেন। তিনি আরো জানান, মালতি বালার চাল দুই মাস তার মেয়ে-জামাই তুলেছেন। কিন্তু বিষয়টি ওই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আব্দুল হালিম জানান পর তা বন্ধ হয়ে যায়। বিষয়টি নিয়ে নিরঞ্জন ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে কথাও বলেছেন। কিন্তু কোনো সমাধান হয়নি। এখন কে ওই চাল উত্তোলন করেন তা তিনি জানেন না।
তবে ভেলাগুড়ি ইউ-পি সদস্য আব্দুল হালিম বলেন, আমি জানি মালতি বালা তার স্বামীর সাথে ভারতে গেছেন। প্রথমে ওই ইউপি সদস্য বলেন, আমি জানি ও দেখেছি মালতি বালার নামে বরাদ্দকৃত ভিজিডি কার্ডের চাল তার মেয়ে-জামাই তুলেন। পরে আবার বলেন, এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। চেয়ারম্যান ভালো বলতে পারবেন।
ভেলাগুড়ি ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মন্ডল জানান, কেউ ভারতে গেছেন বা মারা গেছেন সেটা তাকে না জানলে কি ভাবে ব্যবস্থা নিবেন ? তাকে ইউপি সদস্য ও সন্ধ্যা রানীর স্বামী নিরঞ্জন জানিয়েছেন এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন বিষয়টি খোজঁখবর নিয়ে ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান।
হাতীবান্ধা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসিমা পারভীন বলেন, কেউ মারা গেলে বা অন্য কোনো সমস্যা হলে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে তাকে জানানোর নিয়ম। কিন্তু কেন তারা জানালো না তা আমি বলতে পারবো না। বিষয়টি খোজঁখবর নিয়ে ব্যবস্থা নিবো।
এএজেড