পুলিশ পরিচয়ে বিয়ে, ভুয়া সদস্য আটক

রাজবাড়ী শহরের ১নং বেড়াডাঙ্গার তালতলা এলাকা থেকে পুলিশ পরিচয়ে বিয়ে করা এক ভুয়া পুলিশ সদস্য প্রতারকে আটক করেছে পুলিশ। ডিএসবির এসআই পরিচয় দিয়ে বিয়ের পর শ্যালককে সরকারী চাকুরি দেবার কথা বলে নগদ ৭ লক্ষ টাকা ও প্রায় সাড়ে ৩ ভড়ি স্বর্ণালঙ্কার আত্মসাৎতের অভিযোগ উঠেছে এই প্রতারকের বিরুদ্ধে।
শনিবার (৩রা নভেম্বর) দুপুরে রাজবাড়ী শহরের ১নং বেড়াডাঙ্গার তালতলা এলাকার জাফর মিয়ার বাসা থেকে ওই প্রতারককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত ভূয়া পুলিশ ফারহান রংপুর পীরগাছার কাসেম মন্ডলের ছেলে। এ সময় ভূয়া পুলিশ ফারহানের মোবাইল ফোন থেকে পুলিশের ড্রেস পরিহিত ও পুলিশের গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে তোলা ছবি পাওয়া যায়। জানা গেছে, আটককৃত ব্যক্তি ইতিপূর্বে আরেকটি বিয়ে করেছেন। ওই ঘরে একটি ছেলে সন্তান আছে। আগের বিয়ের তথ্য গোপন করে এবং মিথ্যা পরিচয় দিয়ে বিয়ে করেন।
জাফর মিয়া জানান, তার ছেলেকে বিআরটিএর অফিস সহকারী পদে চাকুরী দেবার কথা বলে ১৫ লাখ টাকা দাবি করেন। এক পর্যায়ে নগদ ৭ লাখ টাকা এবং তার মেয়ের সাড়ে ৩ ভড়ি স্বর্ণ নিয়ে ভূয়া নিয়োগপত্র দেন। সেটা নিয়ে তার ছেলে খুলনা বিআরটিএতে চাকুরীতে যোগদান করতে গিয়ে জানতে পারে সেটা ভূয়া। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সে প্রতারনা করেছে। এবং বিয়ের পর তার মেয়ের ভোরন পোষণ করে নাই। এই প্রতারকের বিচার হওয়া উচিত। টাকা ও স্বর্ণ নেবার পর যে যোগাযোগ বন্ধ করে দিয়েছিলো। অনেক কষ্টে লোভ দেখিয়ে তাকে তার বাড়ীতে এনেছেন।
অভিযুক্ত ভূয়া পুলিশ ফারহান জানান, তিনি চাকুরীর জন্য ৩ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। তবে সেই টাকা আরেকজনকে দিয়েছেন। তাছাড়া তিনি পুলিশ পরিচয়ে বিয়ে করেন নাই, এমনকি পরবর্তীতে কখনও পুলিশ পরিচয় দেন নাই। রাজবাড়ী সদর থানার এসআই মাহবুব হোসেন জানান, স্থানীয়রা ভুয়া পুলিশ আটকে রেখেছে এমন সংবাদ পেয়ে এসে এক ব্যাক্তিকে আটক করেছেন।
এএজেড
