আজ ঠাকুরগাঁও পাক হানাদার মুক্ত দিবস
আজ শনিবার (৩ ডিসেম্বর), ঠাকুরগাঁও পাকহানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে শত্রুমুক্ত করে লাল সবুজের পতাকা উড়ায় মুক্তিকামী মানুষ। যুদ্ধকালীন সময়ে এ জেলার হাজার হাজার মানুষের প্রাণ যায়। স্বাধীনতার অর্ধশত বছর পেরিয়ে গেলেও জেলার অনেক গণকবর এখনও সংরক্ষণ করা হয়নি। তবে প্রশাসন বলছে, উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
স্বাধীনতা যুদ্ধে দেশীয় রাজাকার আলবদরদের সহায়তায় ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন স্থানে ঘাটি করে পাক সেনারা। সদর উপজেলা সুখানপুকুরী, জাটিভাঙ্গা, জগন্নাথপুরসহ পীরগঞ্জ ও রানীশংকৈল, বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে নিরস্ত্র মানুষের উপর হামলা চালায় পাক সেনারা। এ ছাড়াও ঘরবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে লুটপাট চালায় তারা। তা ছাড়াও সাধারণ মানুষকে নির্মমভাবে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। এতে দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধে পৈশাচিক গণহত্যার শিকার হয় এ জেলার প্রায় ২৫ হাজার মানুষ। এরপর ২ ডিসেম্বর পাক সেনাদের হটিয়ে শত্রুমুক্ত করে লাল-সবুজের পাতাকা উড়ায় মুক্তিকামী মানুষ।
স্বাধীনতার এত বছর পেরিয়ে গেলেও জেলার অনেক গণকবর আজো অরিক্ষিত অবস্থায় পড়ে আছে। বিলিন হতে বসেছে চিহ্ন। অন্যদিকে যেসব গণকবর সংরক্ষণ করা হয়েছে সেগুলোও দেখভালের অভাবে নোঙড়া আবর্জনায় পড়ে আছে। এ অবস্থায় প্রশাসনের দৃস্টির কথা বলছেন সবাই।
এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তাহের মো. সামসুজ্জামান ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, প্রকৃত গণকবরগুলো চিহ্নিত করে সংরক্ষণ ও সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাবনা প্রেরণ করা হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সময় কার্যত প্রদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
জেলা প্রশাসনের তথ্য মতে, জেলায় শতাধিক গণকবর থাকলেও অধিকাংশ গণকবর চিহ্নিত করা হয়েছে। তবে এর মধ্যে বেশ কিছু গণকবর সংরক্ষণ ও সংস্কারের প্রয়োজনীয়তায় কাজ চলমান রয়েছে।
এসআইএইচ