মাদক মামলায় ১০১ ইয়াবা গডফাদারের সাজা ঘোষণা

মাদক মামলায় কক্সবাজারের টেকনাফের ১০১ জন ইয়াবা গডফাদারের প্রত্যেককে ১ বছর ৬ মাস করে কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তবে অস্ত্র মামলায় ১০১ জনের সবাইকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে। বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল। এদিকে রায় ঘোষণার পর আসামিরা দাড়িয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এর আগে সকালে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে মামলার ১৮ জন আসামিকে প্রিজন ভ্যানে করে আদালতে আনা হয়। তবে এখনও পলাতক রয়েছেন মামলার বাকি ৮৩ জন আসামি।
পলাতক আসামিদের মধ্যে আছেন কক্সবাজার-৪ (উখিয়া-টেকনাফ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদির চার ভাই আবদুল শুক্কুর, আবদুল আমিন ওরফে আমিনুল ইসলাম, মো. ফয়সাল ও শফিকুল ইসলাম, চাচাতো ভাই মো. আলম, খালাতো ভাই মং মং সিং, ফুপাতো ভাই কামরুল ইসলাম, ভাগনে সাহেদুর রহমান নিপুসহ অন্তত ১২ জন নিকটাত্মীয়।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৯ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি টেকনাফ পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের হাতে সাড়ে ৩ লাখ ইয়াবা, ৩০টি দেশীয় তৈরি বন্দুক ও ৭০ রাউন্ড তাজা কার্তুজ তুলে দিয়ে আত্মসমর্পণ করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত টেকনাফের ১০২ জন ইয়াবা গডফাদার। এ ঘটনায় ১০২ জন আসামির বিরুদ্ধে টেকনাফ মডেল থানায় মাদক ও অস্ত্র আইনে মামলা করেন থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) শরীফ ইবনে আলম। বিচারিক কার্যক্রম চলাকালে ২০১৯ সালের ৭ আগস্ট মো. রাসেল নামে একজন আসামি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
২০২০ সালের ২৬ নভেম্বর কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহর আদালত মারা যাওয়া ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে অবশিষ্ট ১০১ জন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) এবিএমএস দোহা। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি জেলা ও দায়রা জজ আদালত মামলার অভিযোগ গঠন করেন।
এসআইএইচ
