পুলিশ সুপারসহ ৮ জনের নামে মামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলায় পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়া নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলায় জেলার পুলিশ সুপার ও আটজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৮/১০ জন পুলিশ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (বাঞ্ছারামপুর) সামিউল আলমের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন নিহত ছাত্রদল নেতার বাবা মো. রহমত উল্লাহ।
মামলার আসামিরা হচ্ছেন-ব্রাহ্মণবাড়িয়ার পুলিশ সুপার মো. আনিসুর রহমান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মোজাম্মেল হোসেন রেজা, বাঞ্ছারামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আলম, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত তরুণ কান্তি দে, পুলিশ পরিদর্শক আফজাল হোসেন খান, উপ-পরিদর্শক বিকিরণ চাকমা, কনস্টেবল বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাস, কনস্টেবল শফিকুল ইসলামসহ অজ্ঞাত আরো ৮/১০ জন পুলিশ সদস্য।
মামলার আর্জিতে উল্লেখ করা হয়, কুমিল্লার বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার জন্য ১৯ নভেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার স্টীল ব্রিজ সংলগ্ন সিএনজি স্ট্যান্ড, মোল্লা বাড়িতে লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম শেষে ছাত্রদল নেতা নয়ন মিয়াসহ ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসবক দলের নেতারা ফেরার সময় মামলার প্রধান আসামি কনস্টেবল বিশ্বজিৎ চন্দ্র দাস এবং শফিকুল ইসলাম হত্যার উদ্দেশে শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে। এ সময় আসামি বিশ্বজিৎ সোনারামপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নয়নের পেটে শার্টগান ঠেকিয়ে গুলি করে।
এ ব্যাপারে বাদী পক্ষের আইনজীবী এম এ মান্নান জানান, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি চলাকালে নয়নের পেটে শর্টগান ঠেকিয়ে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। আমরা এ ঘটনার ন্যায়-বিচার প্রত্যাশা করি। আদালত মামলাটি পর্যালোচনা করে পরবর্তীতে আদেশ দেওয়া হবে।
এসআইএইচ
