ফেনীতে বিসিকের অনলাইন ডাটাবেজ কার্যক্রম

ফেনীতে ছোট-বড় ১০ হাজার শিল্প রয়েছে। এসব শিল্প প্রতিষ্ঠান নিয়ে শুরু হচ্ছে বিসিকের অনলাইন ডাটাবেজ কার্যক্রম। এই অনলাইন ডাটাবেজ তৈরিতে ৫৪ জন ডাটা এন্ট্রি করবেন। এসব তথ্য জানান বিসিকের সহকারী উপ-মহাব্যবস্থাপক হালিম উল্যাহ।
বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) মাঝারি, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের জিওগ্রাফিক্যাল ইনফরমেশন সিস্টেম (জিআইএস) ভিত্তিক অনলাইন ডাটাবেজ তৈরির কার্যক্রম ফেনীতেও শুরু হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) প্রোগ্রামের আওতায় বিসিকের উদ্ভাবনী উদ্যোগ মাঝারি, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পের জিআইএসভিত্তিক অনলাইন ডাটাবেজ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ-উল হাসান।
তিনি বলেন, যারা ব্যবসা শুরু করতে চান তারা অফিসের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত হয়ে যান। যেখানে স্ব শরীরে গিয়ে কাজ হয় না সেখানে অনলাইনে কাজ আদায় বিশ্বাস করার সুযোগ অনেক কম। উদ্দেশ্যের সাথে আন্তরিকতা দেখাতে হবে। কারণ প্রধানমন্ত্রীর উন্নত বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন সরকারি চাকুরীজীবীদের মাধ্যমে হবে না, এর জন্য উদ্যোক্তাদের বেশি ভূমিকা রয়েছে।
ছোট ছোট উদ্যোক্তারা বড় পরিসরে বেড়ে উঠছেন। উদ্যোক্তারা ব্যবসায়ীতে পরিণত হতে হবে। তারা পরিবেশ পেলে উদ্যোক্তারা চায়নার মতো বড় বড় ব্যবসায়ী হবেন। এজন্য তাদের সরকারের পক্ষ থেকে হয়রানী মুক্ত সবরকম সহযোগিতা করবে।
সভায় প্রতিবেদন তুলে ধরেন ফেনী বিসিক শিল্প নগরীর সহকারি মহাব্যবস্থাপক হালিম উল্যাহ। অন্যদের মধ্যে স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক ড. মোহাম্মদ মঞ্জুরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো: মাসুদুর রহমান, পরশুরাম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন মজুমদার, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: আনোয়ার হোসাইন পাটোয়ারী প্রমুখ অংশ নেন। সভায় সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা আলী হোসেন, কালিদহ ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা নুসরাত জাহান অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
এএজেড
