ঝুঁকিপূর্ণ জরাজীর্ণ ভবনে চলছে স্বাস্থ্যসেবা

ঝুঁকিপূর্ণ জরাজীর্ণ ভবনে চলছে স্বাস্থ্যসেবা ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার মহামায়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে। দীর্ঘ এক যুগেরও বেশি সময় ধরে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে ভবনটি।
সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ৪৩ বছরের পুরনো ভবনটিতে নিয়মিত পলেস্টার খসে পড়ছে। পানীয়জলের ব্যবস্থা নেই। বিদ্যুৎ লাইন জরজীর্ণ ও ঝুঁকিপূর্ণ। দরজা-জানালা ভাঙ্গা। বৃষ্টি আসার সঙ্গে সঙ্গে ছাঁদ থেকে পানি পড়ে সবকিছু ভিজে নষ্ট হয়ে যায়। চিকিৎসা সেবার জন্য আসা রোগীরা আতঙ্কে থাকে। অনেক রোগী ভয়ে অন্যত্র চলে যায়।
অপারেশন থিয়েটার (ওটি) পুরোপুরি অচল। সকল কক্ষ ব্যবহারের অনুপযোগী। স্বাভাবিক প্রসব সেবা বন্ধ। মেডিকেল অফিসার, ফার্মাসিস্ট, ২জন পরিবার কল্যাণ সহকারী ও ১জন আয়াসহ মোট ৫টি পদ দীর্ঘদিন যাবত খালি। রোগী দেখেন উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ডা. আবদুর রহিম।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, মহামায়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি ১৯৭৯সালে স্থাপিত হয়। ৪৩ বছরের এই ভবনটি মেরামতের জন্য বেশ কয়েকবার বরাদ্ধ দেয়া হলেও উন্নয়নের তেমন ছোঁয়া লাগেনি ভবনটিতে। ভবনে পানির ব্যবস্থা নেই, টয়লেটসহ সকল কক্ষ ব্যবহারের অনুপযোগী। দরজা জানালা ও আসবাবপত্র ভাঙ্গাচোরা, সামান্য বৃষ্টিতে ছাঁদ ছুঁইয়ে পানি পড়ে। স্থানীয় অনেক মানুষ চিকিৎসা সেবা নিতে মহামায়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রে আসেন। খারাপ পরিবেশ দেখে কেউ কেউ ভয়ে অন্যত্র চলে যান।
এখানে কর্মরত পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা আয়েশা খানম বলেন, এমন বৈরী পরিবেশে কাজ করতে আমাদেরও ভয় হয়। কখন আবার মাথার উপর পলেস্টার খসে পড়ে। জরাজীর্ণ অবস্থার কারনে স্বাভাবিক প্রসব সেবা বন্ধ রয়েছে। কিন্তু প্রসব পূর্ব এবং প্রসব পরবর্তী সেবা চালু আছে। জরুরী নথিপত্র ও ঔষধ সংরক্ষনের জন্য আলমিরা নেই।
মহামায়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান মিনু বলেন, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটির বাইরের পরিবেশ কিছুটা স্বাভাবিক হলেও ভিতরে ঢুকলে মনে হয় যেন ভূতের বাড়ি। জঘন্য ভীতিকর পরিবেশ। চতুর্দিকে শুধু নেই আর নেই। এই বেহাল দশার জন্য দায়ী কে? সরকারের বারবার দেয়া বরাদ্ধ কোথায় গেল?
ফেনীস্থ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আবু সালেহ মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দিন জানান, মহামায়া ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রটি পরিত্যক্ত। তাই সেবা দানে সমস্যা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই ভবনটি ভেঙ্গে নতুন ভবন নির্মাণ করা হবে।
এএজেড
