ফেনীতে ছাত্রদল-পুলিশের সংঘর্ষ, আটক ৫

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে নয়ন মিয়া নিহতের প্রতিবাদে রবিবার (২০ নভেম্বর) বিকালে প্রতিবাদ মিছিল বের করে ফেনী জেলা ছাত্রদল। মিছিলে লাঠিচার্জ চালায় পুলিশ। এতে ৬ জন আহত হন। এ ঘটনায় ৫ জনকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও দলীয় সূত্র জানায়, রবিবার বিকালে শহরের শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়কের গ্রিন টাওয়ারের সামনে থেকে ছাত্রদল নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করে। মিছিলে পুলিশ লাঠিচার্জ চালায়। পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে নেতা-কর্মীরা। অন্যদিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গুলি ছুড়ে পুলিশ।
জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলনের নেতৃত্বে মিছিলে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী জুয়েল পাটোয়ারী, সাইফুল ইসলাম জিকু, দপ্তর সম্পাদক আরিফুল ইসলাম সুমন, সদর উপজেলা আহবায়ক দেলোয়ার হোসেন, সদস্য সচিব নজরুল ইসলামসহ ছাত্রদলের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ফেনী জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোরশেদ আলম মিলন বলেন, মিছিলটি শান্তিপূর্ণভাবে শহীদ শহীদুল্লা কায়সার সড়ক প্রদক্ষিণ করে ইসলামপুর রোডে প্রবেশ করে। পেছন থেকে পুলিশ লাঠিচার্জ করে মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়। একপর্যায়ে পুলিশ নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে দৌড়ে পালাতে গিয়ে ৫-৬ জন নেতা-কর্মী আহত হয়। আহতদের মধ্যে ধর্মপুর ইউনিয়ন সহ-সভাপতি ওমর ফারুক, ফাজিলপুর ইউনিয়ন ছাত্রদল নেতা মো. হাসান রয়েছেন। এসময় ৫ নেতা-কর্মীকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এসজি
