কালকিনিতে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভাসমান সবজি চাষ

মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলায় কৃষকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে ভাসমান পদ্ধতিতে শীতকালিন সবজি চাষ। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় স্বাবলম্বী হচ্ছেন কৃষকরা।
জানা গেছে, এই পদ্ধতিতে সবজি চাষে কোনো প্রকার রাসায়নিক সার ও কীটনাশক দিতে হয় না। বিষমুক্ত এসব সবজির চাহিদা বাজারে বেশি থাকায় ভালো দামে বিক্রি করছে চাষীরা। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় এই পদ্ধতিতে সবজি আবাদে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। সেইসঙ্গে স্বল্প ব্যয়ে অধিক মুনাফা অর্জনের কারণে এলাকার অনেক বেকার যুবকরা এই সবজি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন।
কালকিনি উপজেলার দক্ষিণ রমজানপুরের চর পালরদী গ্রামের মো. জুলহাস মোল্লা জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শ ও সহযোগিতায় বাড়ির পাশে প্রায় ৪০ শতাংশ জলাবদ্ধ জমিতে কচুরিপানা দিয়ে ভাসমান বেড তৈরি করে শীতের আগাম সবজি লাউ চাষ করে এ পর্যন্ত এক হাজার লাউ বিক্রি করেছি। এ পদ্ধতিতে কোনো প্রকার রাসায়নিক সার ও কীটনাশক দিতে হয়নি। কম খরচে বেশি উৎপাদন হওয়া বিষমুক্ত এসব সবজি বাজারে বিক্রি হচ্ছে বেশি দামে।
একই এলাকার জলিল বেপারি জানান, একই পদ্ধতিতে ৩০ শতাংশ জমিতে শষা, লাল শাক ও ঢেড়স চাষ করছি। জলাবদ্ধ জলাশয়ে কোনো প্রকার রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছাড়া বিষমুক্ত এসব সবজির চাহিদা বেশি থাকায় ক্ষেত থেকেই কিনে যায় ক্রেতারা।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিল্টন বিশ্বাস জানান, আমরা কৃষকদের পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে থাকি। উপজেলার দক্ষিণ রমজানপুরের চর পালরদী গ্রামে জলাবদ্ধ এলাকায় বেড বা ধাপে সবজির চাষ করে স্বাবলম্বী হয়েছেন একই গ্রামের ৩৫ থেকে ৪০ জন কৃষক। কচুরিপানা দিয়ে ভাসমান বেড তৈরি করে বর্ষা মৌসুমে বছরের প্রায় ৬ মাস এ পদ্ধতিতে আবাদ করে কৃষক। আর পানি শুকিয়ে গেলে কচুরিপানার বেড ব্যবহার করা যায় জৈব সার হিসেবে। এলাকার অনেক তরুণ বেকার যুবকরা এই সবজি চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছেন। এই প্রকল্পে আত্ম কর্মসংস্থানের সুযোগ থাকায় এই চাষের সম্পসারণ করা হচ্ছে।
এসআইএইচ
