বিশ্ববিদ্যালয়ে জ্ঞান চর্চা করতে হবে: তথ্যমন্ত্রী

বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ শুধু ডিগ্রি প্রদান নয়, এখানে জ্ঞানের চর্চা করা এবং সেই জ্ঞানের সাথে বিশ্ব অঙ্গনের যোগসূত্র তৈরী করা। আমার প্রস্তাবনা থাকবে, এখানে বিশ্বমানের একটি সেমিনার থাকবে। আন্তর্জাতিক সেমিনার-সিম্পোজিয়াম অনুষ্ঠান হবে ক্যালেন্ডার অনুযায়ী।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি জার্নাল প্রকাশ করা হবে। যা হবে কোয়ালিটি জার্নাল। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয় এবং দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদেরও জার্নাল প্রকাশ পাবে। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলের গবেষণা সেখানে ছাপানো হবে। যাতে বিশ্বব্যাপী শিক্ষকদের গবেষণা থাকবে এবং বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিতে হবে।
এটি নিয়মিতভাবে প্রকাশ পেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা বাড়াবে। এটি এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব যাতে গবেষকগণ তাদের গবেষণা ছাপানোকে মর্যাদার মনে করবেন৷ শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) চবির ৫৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে সকাল সাড়ে নয়টা থেকে আনন্দ শোভাযাত্রা, শ্রদ্ধাজ্ঞাপন, প্রবন্ধ উপস্থাপন, স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য ও আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু ৫৭তম চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উদযাপন অনুষ্ঠান।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ এমপি। এতে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান শেষে তিনি সোহরাওয়ার্দী হলের ১৫৭ নাম্বার রুম পরিদর্শন করেন। হাছান মাহমুদ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের ১৯৮১-৮২ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে সোহরাওয়ার্দী হলের ১৫৭ নাম্বার রুমে থাকতেন তিনি।
দীর্ঘদিন পর আবারো সেই স্মৃতি বিজড়িত রুমে পদার্পণ করে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তিনি। ১৫৭ নাম্বার কক্ষে অবস্থানরত ছাত্রদের সাথে বেশ কিছুক্ষণ আড্ডা দেন হাছান মাহমুদ। এসময় ছাত্রদের উপহারও প্রদান করেন তিনি।
এসময় স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে তিনি বলেন, এই কক্ষে ছিল আমার ২য় আবাসস্থল। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের দীর্ঘ সময় আমি এই কক্ষে থেকেছি। এই কক্ষের সাথে আমার হাজারো স্মৃতি জমা আছে।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন পর এখানে আবারো আসতে পেরে আমার খুবই ভাল লাগছে। আমার মনে হচ্ছে আমি আবারো সেই পুরোনো দিনেই ফিরে গেছি। এরপর তিনি সোহরাওয়ার্দী হলের প্রভোস্ট কক্ষে হল কর্তৃপক্ষের সাথে মতবিনিময় করেন। হল কর্তৃপক্ষ মন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
প্রসঙ্গত, ১৯৬৬ সালের ১৮ নভেম্বর মাত্র ২০০ শিক্ষার্থী ও চারটি বিভাগ নিয়ে প্রায় দুই হাজার একশ একরের আয়তনে যাত্রা শুরু করে পাহাড় ও অরণ্যে ঘেরা নৈসর্গিক ক্যাম্পাস চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
এরপর হাঁটি-হাঁটি পা-পা করে দশটি অনুষদ, আটচল্লিশটি বিভাগ, ছয়টি ইন্সটিটিউশন, পাঁচটি গবেষণা কেন্দ্রসহ প্রায় বারো হাজার কর্মকর্তা-কর্মচারী, এক হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকা ও প্রায় সাতাশ হাজার শিক্ষার্থীর সমন্বয়ে আজ ৫৭ বছরে পা দিয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়।
এএজেড
