যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে বাড়ি ও প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ

বসত-বাড়ির সীমানা জটিলতাসংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলের ভুঞাপুরে সনাতন ধর্মাবলম্বী সম্প্রদায়ের বসত-বাড়িতে হামলা ও প্রতিমা ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে খোরশেদ নামে যুবলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। খোরশেদ উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সাবেক সভাপতি।
শুক্রবার (১৮ নভেম্বর) সকালে উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কষ্টাপাড়া এলাকার ঘোষপাড়ার সুবাস ঘোষ ও প্রদীপ ঘোষের বাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটে। এতে উভয়পক্ষের ৯ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
এ ঘটনায় অমলেশ ঘোষ জানান, সকালে স্থানীয় যুবলীগ নেতা খোরশেদ ও তার ভাই আরশেদসহ বেশ কয়েকজন লোক আমাদের ঘরবাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘরে থাকা প্রতিমা ভাঙচুর করে। এ সময় তাদের বাধা দিতে গেলে ৫ জনকে পিটিয়ে আহত করে। পরে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। আহতদের মধ্যে রতন, নিখিল, অশোক, শান্ত ঘোষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে, অভিযোগ অস্বীকার করে গোবিন্দাসী ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি খোরশেদ আলম বলেন, অমলেশ ও সুনিলের নেতৃত্বে উল্টো তারাই আমাদের বাড়িতে হামলা করেছে। এতে আমাদের চারজন আহত হয়েছে। মাসহ সবাই গুরুতর আহত হলে তাদের ভূঞাপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা সাজানো নাটক।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আব্দুস ছোবহান জানান, ৯ জন রোগী এসে ছিল। তাদের মধ্যে চারজন ভর্তি আছে এবং একজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্যে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকি চারজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় তদন্তকারকারী কর্মকর্তা ভূঞাপুর থানার উপপরিদর্শক মো. মনিরুজ্জামান জানান, বাড়ির সীমানা নিয়ে তাদের মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলছে এবং কোর্টে একটি মামলাও রয়েছে। প্রতিমা ভাঙচুরের ঘটনা সরেজমিনে দেখা গেছে। তবে কে করেছে তা তদন্ত করে বলা যাবে।
এ বিষয়ে ভূঞাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছে। এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এসএন
