তবারক খেয়ে বৃদ্ধার মৃত্যু, অসুস্থ ২ শতাধিক
টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে ওয়াজ মাহফিলের তবারক (খিচুড়ি) খেয়ে রাহেলা বেগম (৯৪) নামে এক বৃদ্ধার মৃত্যু এবং শিশুসহ অন্তত ২ শতাধিক নারী-পুরুষ অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) রাতে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাহেলা বেগমের মৃত্যু হয়।
বুধবার (১৬ নভেম্বর) সকালে দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আশরাফুল আলম এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
রাহেলা বেগম দেলদুয়ার উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের গজিয়াবাড়ী গ্রামের মৃত বিষা চৌধুরীর স্ত্রী।
স্থানীয়রা জানান, রবিবার (১৩ নভেম্বর) রাতে উপজেলার আটিয়া ইউনিয়নের গজিয়াবাড়ি গ্রামে আক্কাস মিঞার বাড়িতে এক ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। মাহফিল শেষে স্থানীয় বাবুর্চি আব্দুল গণির রান্না করা তবারক যারা খেয়েছেন তাদের অধিকাংশই ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। তবারক খেয়ে মৃত্যু ও অসুস্থের ঘটনায় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
ডায়রিয়া আক্রান্তদের দেলদুয়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল টিম গজিয়াবাড়ি গ্রামে চিকিৎসা দিচ্ছেন। এ ছাড়া স্থানীয় মসজিদে মাইকিং করে আক্রান্তদের দ্রুত চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়।
ডায়রিয়ায় আক্রান্ত আলেয়া জানান, ওয়াজ মাহফিলের তবারক খেয়ে তিনদিন ধরে গ্রামের শিশু, নারী-পুরুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। বুধবার থেকে তাদের অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে।
আটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম মল্লিক জানান, রবিবার রাতে তবারক খাওয়ার পর এখন পর্যন্ত গ্রামের শিশুসহ ২ শতাধিক নারী-পুরুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো আশরাফুল আলম জানান, আক্রান্তদের স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ৩০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের চিকিৎসার জন্য দেলদুয়ারসহ টাঙ্গাইল সদর ও মির্জাপুর কুমুদিনী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাসির উদ্দিন মৃধা বলেন, খিচুড়ি খেয়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তবে এ ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারহানা আলী বলেন, তবরাক খেয়ে একজনের মৃত্যু ও অসংখ্য লোকজন অসুস্থ হওয়ার বিষয়টি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার (টিএইচও) মাধ্যমে বিষয়টি জেনেছি। এখন পর্যন্ত কোনো কারণ জানা যায়নি।
এসজি