শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৯ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

সমাবেশকে ঘিরে চাঙ্গা সিলেট বিএনপি, কোন্দলে বিপর্যস্ত আওয়ামী লীগ

বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে সিলেটে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। পক্ষান্তরে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে কোন্দলে ক্রমেই বিপর্যস্ত আওয়ামী পরিবার। দলের মহানগর শাখায় ১৩টি ওয়ার্ডে সম্মেলন শেষে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের বিভক্তি, অনৈক্য এবং অনিয়মের বিষয়টি এখন ভাবিয়ে তুলেছে কেন্দ্রকে। এই অবস্থা শুধু মহানগর আওয়ামী লীগেই নয়। জেলা কমিটির আওতাধীন সিলেট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিও গঠনতন্ত্র না মেনে করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চলতি মাসের ২ নভেম্বর জেলা ও মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন শেষে ঘোষিত আংশিক কমিটি নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে নেতা-কর্মীদের মাঝেও। বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের (একাংশ) অভিযোগ ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরেও পৌঁছে গেছে। সম্মেলন পরবর্তী যুব মহিলা লীগের অবস্থাও একই। সব মিলিয়ে অনৈক্য, বিভাজন আর অন্তর্দ্বন্দ্বে বিপর্যস্ত সিলেট আওয়ামী পরিবার।

এদিকে ১৯ নভেম্বর সম্মেলনকে সামনে রেখে সহযোগী সংগঠন গুলোকে নিয়ে গণসংযোগে ব্যস্ত রয়েছে বিএনপি। ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে গেছে সর্বত্র। সিলেট সরকারি আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে প্রস্তুত হচ্ছে ৬০ ফুটের দীর্ঘ মঞ্চ। প্রতিদিন গণসংযোগ শেষে নেতা-কর্মীরা মঞ্চ নির্মাণের কাজ তদারকি ও নির্দেশনা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি নেতা-কর্মীরা বলছেন, এই সমাবেশ হবে সিলেটে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ সমাবেশ।

এ বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির বলেন, ১৯ নভেম্বর পুরো সিলেট নগর জনসমুদ্রে পরিণত হবে। বিএনপির প্রত্যেক নেতা-কর্মীর লক্ষ্য হচ্ছে ১৯ নভেম্বরের বিভাগীয় জনসমাবেশ সফল করা। কোনও বাধা-বিপত্তিতে জনজোয়ার ঠেকানো যাবে না।

জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন আমাদের সমাবেশ আয়োজনে সহযোগিতা করবে বলে মনে করছি। সমাবেশ সফল করতে সব রাজনৈতিক দল ও পুলিশের সহযোগিতা চাই আমরা। তবে বাধা-বিপত্তি এলেও জনসমাগম ঠেকানো যাবে না।’

গণসমাবেশ নিয়ে বিএনপি যখন মাঠ দখলের পরিকল্পনায় তখন সিলেট আওয়ামী লীগে সুখবর নেই। বরং দলীয় কোন্দল মাথা ছাড়া দিয়ে উঠছে দিন দিন। এই অবস্থায় গত ৬ নভেম্বর সিলেট সফর করে গেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা। তবে বিক্ষোভ থামেনি নেতা-কর্মীদের। সম্প্রতি গোয়েন্দা প্রতিবেদনেও সিলেট আওয়ামী লীগের অনৈক্য, সাংগঠনিক দুর্বলতা ও কোন্দলের নানা তথ্য উঠে আসে। এরই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী তলব করেন সিলেটের ৪ নেতাকে। জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ চার নেতার সঙ্গে মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) গণভবনে বৈঠক করেন দলীয় সভানেত্রী। বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ।

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় গত ১০ অক্টোবর। নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, সেখানে ভোট ছাড়াই নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ওয়ার্ড সেক্রেটারি করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন। এক পর্যায়ে নেতা-কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে সম্মেলন স্থলে ভাঙচুর শুরু করেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দ্রুত সেখান থেকে চলে যান জাকির। পরে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ ওই ওয়ার্ডে কমিটি স্থগিত রাখার ঘোষণা দেন।

একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সম্মেলনেও। এ ব্যাপারে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সর্বশেষ কমিটির সহ-সভাপতি সৈয়দ আতিকুর রব চৌধুরী জুয়েল সংবাদ সম্মেলন করে নগর আওয়ামী লীগের সম্পাদক জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেন। এ সময় অভিযোগ করা হয়, ‘নিজের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশে’ জাকির ‘পকেট কমিটি’ গঠন করছেন। ওয়ার্ড কমিটি নিয়ে জাকিরের উপর আরো অনেকের ক্ষোভ আছে বলে জানা গেছে।

কোন্দলের বাহিরে নেই জেলা আওয়ামী লীগও। জেলার আওতাধীন সিলেট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনতন্ত্র না মেনে করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২৫ অক্টোবর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।

এ প্রসঙ্গে সদর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আমির উদ্দিন বলেন, ‘বিতর্কিত ব্যক্তিকে দিয়ে রাতের আঁধারে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। যাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে সেই হিরণ মিয়া বিএনপির রাজনীতি করতেন। তিনি যুক্তরাজ্যে বিএনপির পদ বিদারী নেতা ছিলেন।’

ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবি জানান তারা। এ ঘটনায় কমিটির পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল বের করা হয় একই সময়ে। পরে তেমুখী পয়েন্ট এলাকায় উভয়পক্ষ মুখোমুখি হয়। তবে পুলিশ মাঝখানে ব্যারিকেড দিয়ে উভয়পক্ষকে সরিয়ে দেয়।

এ ছাড়াও গত ২ নভেম্বর সিলেট জেলা ও মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে জেলা ও মহানগরে আংশিক কমিটির নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভ করতে থাকেন নেতা-কর্মীরা। বিক্ষুব্ধদের দাবি, জেলার ১৩টি ইউনিটের মধ্যে ৯টি উপজেলার সভাপতি-সম্পাদক উপস্থিত থাকার পরও তাদের কোনো মতামত না নিয়েই অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়াও আর্থিক সুবিধা পেয়ে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে বলেও দাবি বিক্ষুব্ধ অংশের। একইসঙ্গে জেলা কমিটিতে ঘোষিত সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা বাছিত ও সাধারণ সম্পাদক দুজনই গ্রীন কার্ডধারী বলেও জানান তারা।

তা ছাড়াও ৮ নভেম্বর সিলেট মহানগর যুব মহিলা লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন শেষে সুফিয়া ইকবাল খানকে সভাপতি ও ইঞ্জিনিয়ার মরিয়ম পারভীনকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। একই দিনে অনুষ্ঠিত হয় জেলা যুব মহিলা লীগের সম্মেলন। এই সম্মেলনে নাজিরা বেগম শীলাকে সভাপতি ও ডা.দীনা বেগমকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হলে শুরু হয় প্রকাশ্যে বিক্ষোভ। ক্ষোভের মুখে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা সভা স্থল ত্যাগ করে চলে যান। এ বিষয় নিয়ে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের খেদোক্তি এখনও চলছে।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার মিনু বলেন, ‘সম্মেলনের বিষয়টি আমাকে
জানাননি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা কিংবা এ বিষয়ে আমার কোনো মতামতও চাওয়া হয়নি।’

জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি বিলকিছ নূর বলেন, ‘এটিকে সম্মেলন বলা হলে দলকে বিতর্কিত করা হবে। কারণ সম্মেলনে ঘোষিত কমিটিতে আর্থিক শক্তির কাছে পরাজিত হয়েছে ত্যাগী নেতা-কর্মীদের সরব আন্দোলন।’

তিনি আরও বলেন, এই সম্মেলন পুরোটাই হাস্যকর, অগণতান্ত্রিক ও দলীয় গঠনতন্ত্র পরিপন্থী।

এসব ব্যাপারে সিলেট বিভাগে আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, দলের সাংগঠনিক বিষয়ে মঙ্গলবার সিলেটের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেন দলীয় সভানেত্রী। সামনে জাতীয় সম্মেলনের আগেই দলীয় বিভাজন নিরসন করতে চায় আওয়ামী লীগ। সাংগঠনিক গতিশীলতার লক্ষ্যে এই বৈঠক আহ্বান করা হয়।

এসআইএইচ 

 

Header Ad
Header Ad

নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের

নিহতদের বিচারের দাবি স্বজনদের। ছবি: সংগৃহীত

আগামী সংসদ নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন নিহতদের পরিবার। শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত ‘জুলাই ২৪ শহীদ পরিবার সোসাইটি’ নামের নতুন সংগঠনের আত্মপ্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি উঠে আসে।

সংবাদ সম্মেলনে নিহতদের স্বজনরা বলেন, একদল রাজনৈতিক দল গঠন করে ক্ষমতায় যাওয়ার চেষ্টা করছে। আরেক দল ক্ষমতায় যাওয়ার জন্য নির্বাচন চাচ্ছে। কিন্তু এসব হত্যাকাণ্ডের বিচার না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন দেওয়া যাবে না।

তারা বলেন, এই দুই হাজার হত্যাকাণ্ডের বিপরীতে একজন হত্যাকারী পুলিশ কিংবা হেলমেট বাহিনীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হলেও দুই হাজার জন গ্রেপ্তার হতো। কিন্তু নগণ্য কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের সবাইকে দ্রুত গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।

যাত্রাবাড়ী এলাকায় পুলিশের গুলিতে নিহত মো. সিয়ামের ভাই মো. রাশেদ বলেন, এই সরকারের কাছে বেশি কিছু চাই না, ভাই হত্যার বিচার চাই। দেশে কোনো নির্বাচন দেওয়ার আগে ভাই হত্যার বিচার করুন।

নিহত সিফাতের বাবা কামাল হাওলাদার বলেন, আমাদের সন্তানরা জীবন দিয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন দল নির্বাচন নিয়ে রাজনীতি করছে। অথচ আমাদের সন্তান হত্যার বিচারের কথা কেউ বলছে না।

নিহত সাজ্জাত হোসেন সজলের মা শাহিনা বেগম বলেন, পুলিশ আমার ছেলেকে আশুলিয়ায় আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে। সাত মাস হয়ে গেল আমি আমার ছেলের হত্যার বিচার পেলাম না। কান্না করতে করতে এখন চোখের জল শুকিয়ে গেছে। তবুও ছেলে হত্যার বিচার পাচ্ছি না।

সংবাদ সম্মেলনে তিনজন উপদেষ্টা নিয়ে ৩০ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাহী পরিষদ কমিটি গঠন করা হয়। সংগঠনের উপদেষ্টা পরিষদে আছেন মো. মহিউদ্দিন, শহিদুল ইসলাম ভুইয়া এবং মো. মীর মোস্তাফিজুর রহমান। নির্বাহী পরিষদ কমিটিতে চেয়ারম্যান হয়েছেন মো. গোলাম রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবুল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক রবিউল আউয়াল ভুইয়া। কমিটিতে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হয়েছে আব্দুল্লাহ আল মারুফ ও জান্নাতুল ফেরদৌস সাফা। সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেলিম মাহমুদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল হাওলাদার ও সহ সাধারণ সম্পাদক সাবিনা আক্তার রিমা।

এছাড়া কোষাধক্ষ্য হয়েছেন জারতাজ পারভীন ও সহকোষাধক্ষ্য আবু হোসেন, জনসংযোগ সম্পাদক শিল্পী আক্তার, দপ্তর সম্পাদক রাকিবুল ইসলাম ও সহদপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান। আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক হয়েছেন রাহাত আহম্মেদ খান, ক্রিয়া সংস্কৃতি ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক কবির হোসেন, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক শাহরিয়ার খান পলাশ এবং সহ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক সাবরিনা আফরুজ সেবন্ধী।

নির্বাহী সদস্য হয়েছেন সামছি আরা জামান, মো. সাইদুল ইসলাম, মো. অব্দুল বাসার অনিক, স্বর্ণা আক্তার, রাজু আহমেদ, শাহিনা বেগম, ফারহানা ইসলাম পপি, খালেদ সাইফুল্লাহ, রাজু আহমেদ, মো. সুমন মিয়া, আহমেদ লামিয়া, পাপিয়া আক্তার শমী এবং এম. এ. মতিন।

Header Ad
Header Ad

চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত

মির্জাপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আতিকুজ্জামান। ছবি: সংগৃহীত

চলন্ত বাসে ডাকাতি ও নারীর শ্লীলতাহানীর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. আতিকুজ্জামানকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এইচএম মাহবুব রেজওয়ান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জানা যায়, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ভুক্তভোগী কয়েকজন বাসযাত্রী মির্জাপুর থানায় গিয়ে চলন্ত বাসে ডাকাতির বিষয়ে ডিউটি অফিসার মো. আতিকুজ্জামানকে অবহিত করেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ আমলে না নেওয়ায় কয়েক মিনিট পর তারা থানা ত্যাগ করেন।

এছাড়া ডিউটি অফিসার তাদের নাম ঠিকানা বা মোবাইল নম্বর সহ কোন তথ্যই রাখেননি তিনি। যার কারণে মামলা গ্রহণ করতে বিলম্ব হয়। এরপর ঘটনার তিনদিন পরে এক ভুক্তভোগী বাস যাত্রীর মামলা নিতে হয়েছে।

এদিকে, টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান গত শুক্রবার ২১ ফেব্রুয়ারি রাতেই এএসআই আতিকুজ্জামানকে মির্জাপুর থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করেন। শনিবার তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এএসআই আতিকুজ্জামানের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

এ বিষয়ে মির্জাপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার এইচএম মাহবুব রেজওয়ান জানান, শনিবার আতিকুজ্জামানের সাময়িক বরখাস্তের বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন।

Header Ad
Header Ad

ছাত্রদের নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা

ছবি: সংগৃহীত

নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে আগামী ২৬ অথবা ২৭ ফেব্রুয়ারি আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে শিক্ষার্থীদের নতুন রাজনৈতিক দল। এই দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

দল ঘোষণার আগে শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে তিন বাহিনীর সাবেক কয়েকজন সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করবে জাতীয় নাগরিক কমিটি।

নতুন দল ঘোষণা নিয়ে এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। নতুন দলের আহ্বায়ক হিসেবে নাহিদ ইসলামের দায়িত্ব নেয়ায় জোড়ালো সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দলের সদস্যসচিব পদ নিয়ে নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয়। পরে আলোচনার ভিত্তিতে দলের শীর্ষ চারটি পদ মোটামুটি নিশ্চিত হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে পদগুলোতে কারা থাকছে তা এখনও জানা যায়নি। তবে আরও দুটি পদের বিষয়েও প্রস্তাব এসেছে।

এর আগে, জাতীয় নাগরিক কমিটিতে যুক্ত হতে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ক্যাম্পেইন চালায় সংগঠনটি। এরপর ‘আপনার চোখে নতুন বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি জনমত জরিপও চালালো হয়। সেখানে নতুন রাজনৈতিক দলের নাম, লোগোসহ বিভিন্ন মতামত জানতে চাওয়া হয়। এদিকে নয়া রাজনৈতিক দলের নাম ইংরেজীতে হবে বলে গুঞ্জন রয়েছে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

নির্বাচনের আগেই জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারের দাবি নিহতদের পরিবারের
চলন্ত বাসে ডাকাতি-যৌন নিপীড়ন: মির্জাপুর থানার এএসআই বরখাস্ত
ছাত্রদের নতুন দলে যোগ দিচ্ছেন সশস্ত্র বাহিনীর সাবেক সদস্যরা
চলন্ত বাসে ডাকাতির সময় ধর্ষণের ঘটনা ঘটেনি: পুলিশ সুপার
ময়মনসিংহে দেড় শতাধিক বিড়ালের মিলনমেলা
বিচার ও পুলিশ বিভাগের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া হয়েছে: অ্যাটর্নি জেনারেল
১৩ দিনের চীন সফরে যাচ্ছেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির
২৯ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা পেয়েছে ২ সদস্যের একটি অপরিচিত বাংলাদেশি ফার্ম: ট্রাম্প
ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলা: প্রাণে বাঁচলেন দিতি কন্যা লামিয়া
ফাগুনের দুপুরে রাজধানীতে স্বস্তির বৃষ্টি
‘আমাদের অনেক বয়স হয়েছে, নবীন-তরুণরা দেশকে নতুন করে চিন্তা করছেন’
ভেঙে পড়া রাষ্ট্রকে গঠন বিএনপির পক্ষেই সম্ভব: তারেক রহমান
চলন্তবাসে বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানি, টাঙ্গাইলে গ্রেফতার ৩
আমরা কারো দাবার গুটি হবো না: জামায়াত আমির
গরমে স্যুট পরে এসির তাপমাত্রা কমানো বন্ধ করুন: জ্বালানি উপদেষ্টা
সেনাবাহিনীতে চাকরির সুযোগ, আবেদন শুরু ২৮ ফেব্রুয়ারি
নতুন দলের শীর্ষ ছয়টি পদ নিয়ে ‘সমঝোতা’
মিঠাপুকুরে তোপের মুখে পালিয়ে গেলেন সাব রেজিস্ট্রার
আমার মা চাইতেন না আমি বিয়ে করে সংসারী হই : পপি  
ঝিনাইদহে ৩ জনকে হত্যা, দায় স্বীকার করলো চরমপন্থী সংগঠন