শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪ | ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

সমাবেশকে ঘিরে চাঙ্গা সিলেট বিএনপি, কোন্দলে বিপর্যস্ত আওয়ামী লীগ

বিভাগীয় গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে সিলেটে চাঙ্গা হয়ে উঠেছে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। পক্ষান্তরে সম্মেলনকে কেন্দ্র করে কোন্দলে ক্রমেই বিপর্যস্ত আওয়ামী পরিবার। দলের মহানগর শাখায় ১৩টি ওয়ার্ডে সম্মেলন শেষে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের বিভক্তি, অনৈক্য এবং অনিয়মের বিষয়টি এখন ভাবিয়ে তুলেছে কেন্দ্রকে। এই অবস্থা শুধু মহানগর আওয়ামী লীগেই নয়। জেলা কমিটির আওতাধীন সিলেট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিও গঠনতন্ত্র না মেনে করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। চলতি মাসের ২ নভেম্বর জেলা ও মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন শেষে ঘোষিত আংশিক কমিটি নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে নেতা-কর্মীদের মাঝেও। বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের (একাংশ) অভিযোগ ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরেও পৌঁছে গেছে। সম্মেলন পরবর্তী যুব মহিলা লীগের অবস্থাও একই। সব মিলিয়ে অনৈক্য, বিভাজন আর অন্তর্দ্বন্দ্বে বিপর্যস্ত সিলেট আওয়ামী পরিবার।

এদিকে ১৯ নভেম্বর সম্মেলনকে সামনে রেখে সহযোগী সংগঠন গুলোকে নিয়ে গণসংযোগে ব্যস্ত রয়েছে বিএনপি। ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে ব্যানার-পোস্টারে ছেয়ে গেছে সর্বত্র। সিলেট সরকারি আলীয়া মাদ্রাসা মাঠে প্রস্তুত হচ্ছে ৬০ ফুটের দীর্ঘ মঞ্চ। প্রতিদিন গণসংযোগ শেষে নেতা-কর্মীরা মঞ্চ নির্মাণের কাজ তদারকি ও নির্দেশনা চালিয়ে যাচ্ছেন। বিএনপি নেতা-কর্মীরা বলছেন, এই সমাবেশ হবে সিলেটে স্মরণকালের সর্ববৃহৎ সমাবেশ।

এ বিষয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা খন্দকার আবদুল মুক্তাদির বলেন, ১৯ নভেম্বর পুরো সিলেট নগর জনসমুদ্রে পরিণত হবে। বিএনপির প্রত্যেক নেতা-কর্মীর লক্ষ্য হচ্ছে ১৯ নভেম্বরের বিভাগীয় জনসমাবেশ সফল করা। কোনও বাধা-বিপত্তিতে জনজোয়ার ঠেকানো যাবে না।

জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন আমাদের সমাবেশ আয়োজনে সহযোগিতা করবে বলে মনে করছি। সমাবেশ সফল করতে সব রাজনৈতিক দল ও পুলিশের সহযোগিতা চাই আমরা। তবে বাধা-বিপত্তি এলেও জনসমাগম ঠেকানো যাবে না।’

গণসমাবেশ নিয়ে বিএনপি যখন মাঠ দখলের পরিকল্পনায় তখন সিলেট আওয়ামী লীগে সুখবর নেই। বরং দলীয় কোন্দল মাথা ছাড়া দিয়ে উঠছে দিন দিন। এই অবস্থায় গত ৬ নভেম্বর সিলেট সফর করে গেছেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা। তবে বিক্ষোভ থামেনি নেতা-কর্মীদের। সম্প্রতি গোয়েন্দা প্রতিবেদনেও সিলেট আওয়ামী লীগের অনৈক্য, সাংগঠনিক দুর্বলতা ও কোন্দলের নানা তথ্য উঠে আসে। এরই প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী তলব করেন সিলেটের ৪ নেতাকে। জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের শীর্ষ চার নেতার সঙ্গে মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) গণভবনে বৈঠক করেন দলীয় সভানেত্রী। বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ।

সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় গত ১০ অক্টোবর। নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, সেখানে ভোট ছাড়াই নিজের পছন্দের প্রার্থীকে ওয়ার্ড সেক্রেটারি করতে গিয়ে তোপের মুখে পড়েন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন। এক পর্যায়ে নেতা-কর্মীরা উত্তেজিত হয়ে সম্মেলন স্থলে ভাঙচুর শুরু করেন। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে দ্রুত সেখান থেকে চলে যান জাকির। পরে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাসুক উদ্দিন আহমদ ওই ওয়ার্ডে কমিটি স্থগিত রাখার ঘোষণা দেন।

একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সম্মেলনেও। এ ব্যাপারে ৬ নম্বর ওয়ার্ডের সর্বশেষ কমিটির সহ-সভাপতি সৈয়দ আতিকুর রব চৌধুরী জুয়েল সংবাদ সম্মেলন করে নগর আওয়ামী লীগের সম্পাদক জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ তুলেন। এ সময় অভিযোগ করা হয়, ‘নিজের স্বার্থ হাসিলের উদ্দেশে’ জাকির ‘পকেট কমিটি’ গঠন করছেন। ওয়ার্ড কমিটি নিয়ে জাকিরের উপর আরো অনেকের ক্ষোভ আছে বলে জানা গেছে।

কোন্দলের বাহিরে নেই জেলা আওয়ামী লীগও। জেলার আওতাধীন সিলেট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি গঠনতন্ত্র না মেনে করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২৫ অক্টোবর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা-কর্মী সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।

এ প্রসঙ্গে সদর আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আমির উদ্দিন বলেন, ‘বিতর্কিত ব্যক্তিকে দিয়ে রাতের আঁধারে কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। যাকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে সেই হিরণ মিয়া বিএনপির রাজনীতি করতেন। তিনি যুক্তরাজ্যে বিএনপির পদ বিদারী নেতা ছিলেন।’

ঘোষিত কমিটি বাতিলের দাবি জানান তারা। এ ঘটনায় কমিটির পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল বের করা হয় একই সময়ে। পরে তেমুখী পয়েন্ট এলাকায় উভয়পক্ষ মুখোমুখি হয়। তবে পুলিশ মাঝখানে ব্যারিকেড দিয়ে উভয়পক্ষকে সরিয়ে দেয়।

এ ছাড়াও গত ২ নভেম্বর সিলেট জেলা ও মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এই সম্মেলনে জেলা ও মহানগরে আংশিক কমিটির নাম ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বিক্ষোভ করতে থাকেন নেতা-কর্মীরা। বিক্ষুব্ধদের দাবি, জেলার ১৩টি ইউনিটের মধ্যে ৯টি উপজেলার সভাপতি-সম্পাদক উপস্থিত থাকার পরও তাদের কোনো মতামত না নিয়েই অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়াও আর্থিক সুবিধা পেয়ে এই কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে বলেও দাবি বিক্ষুব্ধ অংশের। একইসঙ্গে জেলা কমিটিতে ঘোষিত সভাপতি অ্যাডভোকেট সালমা বাছিত ও সাধারণ সম্পাদক দুজনই গ্রীন কার্ডধারী বলেও জানান তারা।

তা ছাড়াও ৮ নভেম্বর সিলেট মহানগর যুব মহিলা লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলন শেষে সুফিয়া ইকবাল খানকে সভাপতি ও ইঞ্জিনিয়ার মরিয়ম পারভীনকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। একই দিনে অনুষ্ঠিত হয় জেলা যুব মহিলা লীগের সম্মেলন। এই সম্মেলনে নাজিরা বেগম শীলাকে সভাপতি ও ডা.দীনা বেগমকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হলে শুরু হয় প্রকাশ্যে বিক্ষোভ। ক্ষোভের মুখে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা সভা স্থল ত্যাগ করে চলে যান। এ বিষয় নিয়ে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের খেদোক্তি এখনও চলছে।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শামসুন্নাহার মিনু বলেন, ‘সম্মেলনের বিষয়টি আমাকে
জানাননি কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা কিংবা এ বিষয়ে আমার কোনো মতামতও চাওয়া হয়নি।’

জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সদ্য বিলুপ্ত কমিটির সহ-সভাপতি বিলকিছ নূর বলেন, ‘এটিকে সম্মেলন বলা হলে দলকে বিতর্কিত করা হবে। কারণ সম্মেলনে ঘোষিত কমিটিতে আর্থিক শক্তির কাছে পরাজিত হয়েছে ত্যাগী নেতা-কর্মীদের সরব আন্দোলন।’

তিনি আরও বলেন, এই সম্মেলন পুরোটাই হাস্যকর, অগণতান্ত্রিক ও দলীয় গঠনতন্ত্র পরিপন্থী।

এসব ব্যাপারে সিলেট বিভাগে আওয়ামী লীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন বলেন, দলের সাংগঠনিক বিষয়ে মঙ্গলবার সিলেটের নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেন দলীয় সভানেত্রী। সামনে জাতীয় সম্মেলনের আগেই দলীয় বিভাজন নিরসন করতে চায় আওয়ামী লীগ। সাংগঠনিক গতিশীলতার লক্ষ্যে এই বৈঠক আহ্বান করা হয়।

এসআইএইচ 

 

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত