বিদ্যালয়ে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের তদন্ত শুরু
নীলফামারীর ডোমার উপজেলার সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয়ে পাঁচটি পদে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম ও অর্থ বানিজ্যের অভিযোগে ১ সদস্যের তদন্ত কমিটি তদন্ত শুরু করেছে। সোমবার (১৪ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. শাহেদ শাহান উপস্থিত হয়ে অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করেন।
জানা গেছে, গত ৮আগষ্ট সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয়ের পাঁচটি পদে কর্মচারী নিয়োগ পরিক্ষা হয় ডিমলা সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে। অর্ধ কোটি টাকার বিনিময়ে সেখানে নিয়োগ পরিক্ষা নেয়া হচ্ছে মর্মে ডোমার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করে পরিক্ষাটি বাতিল চায় পাঁচ পরিক্ষার্থী।
এরপর গত ২৯ অক্টোবর লুৎফর নাহার বন্নীগং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর বরাবরে অনিয়মের মাধ্যমে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল বলে আরেকটি লিখিত অভিযোগ করেন। তবে তদন্তের সময় অভিযোগকারী কাউকে বিদ্যালয়ে দেখা যায়নি। তবে স্থানীয়রা জানিয়েছে তদন্ত কমিটির প্রধান যদি এককভাবে অভিযোগকারীদের সাথে কথা বলেন তবে ঘটনার সত্যতা বের হয়ে আসবে।
প্রকাশ্যে তদন্ত হওয়ায় অভিযোগকারীরা ভয়ে বিদ্যালয়ে উপস্থিত হননি। সোনারায় উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি গোলাম ফিরোজ চৌধুরী ও প্রধান শিক্ষক রমনী কান্ত রায় জানান, লুৎফর নাহার বন্নী নামের এক পরিক্ষার্থীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত হলো।
তবে বন্নী তদন্তকারী কর্মকর্তাকে জানান, তিনি কোন অভিযোগ করেন নাই। তার নাম ব্যবহার করে কেউ হয়তো অভিযোগ করেছে। তবে তার সাথে দেখা করতে না পারায় তার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. শাহেদ শাহান বলেন, তদন্ত শুরু হলো। ১০ কার্য দিবসের মধ্যে এর প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।
এএজেড