স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা তানু হত্যার মূল হোতাসহ আটক ৯

বাগেরহাটে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম তানু ভুইয়া হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা ফরিদসহ (২৯) ৯ জনকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার (১২ নভেম্বর) দিবাগত রাতে জেলার পার্শ্ববর্তী পিরোজপুর জেলা থেকে তাদের আটক করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে আটককৃতরা।
এ ঘটনায় শনিবার রাতেই নিহতের স্ত্রী কানিজ ফাতেমা বাদী হয়ে বাগেরহাট মডেল থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। রবিবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কে, এম আরফুল হক পিপিএম প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান।
তিনি বলেন, এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জের ধরে বাগেরহাট শহরের পূর্ব বাসাবাটি বগা ক্লিনিক সংলগ্ন চার রাস্তার মোড়ে সন্ত্রাসী ফরিদ শেখ (২৯) ও তার সহযোগীদের গুলিতে বাগেরহাট জেলার স্বেচ্ছাসেবক দলের বহিষ্কৃত সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মৃত আব্দুর রউফ ভুঁইয়ার ছেলে নূরে আলম তানু ভুঁইয়া(৩৫) গুরুতর আহত হন। তাকে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনার পর বাগেরহাট জেলা পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রধান অভিযুক্ত ফরিদ শেখসহ এজাহারনামীয় ৮ জন ও ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সন্দেহভাজন ১ জনকে গ্রেপ্তার এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত একটি পিস্তল, একটি ম্যাগজিন ও ১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।
পুলিশ সুপার বলেন, পিরোজপুর জেলার ইন্দুরকানি উপজেলার বালিপাড়া গ্রামে আসামি ফরিদ শেখের ফুফু বাড়িতে ডিএসবি, ডিবি ও থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হলেন-পূর্ব বাসাবাটি এলাকার টুটুল শেখের ছেলে ফরিদ শেখ (২৮), মৃত জামাল মিস্ত্রীর ছেলে মনির মিস্ত্রী(২৬), আলী আকবরের ছেলে রাতুল (২৭), সোবহানের ছেলে সিরাজুল (২৭), এসমাইলের ছেলে আলামিন (৩০), রুস্তমের ছেলে সুমন (২৬) , বাসাবাটি এলাকার মৃত মোসলেম শেখের ছেলে মুকুল শেখ(৫৩), কাড়াপাড়া গ্রামের সোহাগ (২৫), মৃত সোবহান শেখের ছেলে কবির শেখ।
তিনি আরও বলেন, নিহত নুরে আলম বাগেরহাট শহরের বাসাবাটি এলাকার মৃত আব্দুর রউফ ভুইয়ার ছেলে। তিনি বাগেরহাট জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। শনিবার (১২ নভেম্বর) দুপুরে নামাজে জানাজা শেষে সরুই কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এসআইএইচ
