কোচিং সেন্টার থেকে চিকিৎসককে অপহরণের অভিযোগ
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ উপজেলায় এক চিকিৎসককে অপহরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (১১ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলা শহরের খড়মপট্টি এলাকার মেডিক্স কোচিং সেন্টার থেকে তাকে অপহরণ করা হয়। এ ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অপহৃত ডা. মির্জা কাউসার (২৮) বাজিতপুর উপজেলার উজানচর এলাকার আবদুল হাকিমের ছেলে। তিনি প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফার্মাকোলজি বিভাগের প্রভাষক ছিলেন।
জানা গেছে, গত ১ বছর ধরে মেডিক্স কোচিং সেন্টারের পরিচালকের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ডা. মির্জা কাউসার।
মির্জা কাউসারের সহকর্মী ডা. সুমন মিয়া জানান, সন্ধ্যা ৭টার দিকে কালো রঙের একটি গাড়িতে পাঁচজন লোক এসে মেডিক্স কোচিং সেন্টারের সামনে নামেন। পরে তারা একসঙ্গে কোচিং সেন্টারের দ্বিতীয় তলায় এসে জানতে চায় পরিচালক কে?। এ সময় কোচিংয়ের অফিস কক্ষে ঢুকে কাউসারের সঙ্গে কিছুক্ষণ কথা বলে তাকে নিয়ে নিচে নামেন। সেই সময় তিনিও নিচে নামেন। দেখেন গাড়িতে আরও দুজন বসে আছেন। অপহরণে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে একজন ওই দুজনকে জিজ্ঞেস করেন এটাই কি কাউসার কিনা? পরে তারা হ্যা সূচক উত্তর দেওয়ার পর তাকে গাড়িতে তুলে নেন। এ সময় গাড়ির ভিতর থেকে কাউসারকে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষকে ফোন দিতে বলার সঙ্গে সঙ্গে গাড়িতে থাকা একজন নেমে তার ফোন কেড়ে নেন।
তিনি বলেন, গাড়ীতে বসে থাকাদের মধ্যে একজনের গায়ে পুলিশের পোশাক পড়া ছিল।
ডা. মির্জা কাউসারের বাবা আবদুল হাকিম জানান, তার জানা মতে কাউসারের সঙ্গে কারও শত্রুতা বা ঝামেলা নেই। তাকে কেন অপহরণ করা হয়েছে এ বিষয়ে কিছুই বুঝতে পারছেন না তিনি।
এ প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডা. আ. ন. ম নৌশাদ খান জানান, মির্জা কাওছার খুবই নিরীহ প্রকৃতির ও মেধাবী। মেডিক্স কোচিং সেন্টারটি অল্প দিনে অনেক সুনাম কুড়িয়েছে। কোচিং সেন্টার কেন্দ্রিক কোনও ঘটনায় তাকে অপহরণ করা হয়ে থাকতে পারে।
এ ব্যাপারে কিশোরগঞ্জ সদর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মো. আল-আমিন হোসাইন এসব তথ্য নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তা ছাড়াও ইতিমধ্যে কোচিং সেন্টারের আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে।
এসআইএইচ