রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সরকারি ভাতাভোগীদের নাভিশ্বাস

জীবনের একমাত্র সম্বল এখন দীর্ঘশ্বাস! এর জন্য কোনো টাকাপয়সা লাগে না! তাই জীবন চালানোর চিন্তা করলে শুধু দীর্ঘশ্বাসই পড়ছে বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা, বিধবাভাতাসহ সরকারি নানা ভাতাভোগীদের। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে তাদের এখন করুণ অবস্থা। শুধু ভাতার টাকায় জীবন না চলায় প্রতিবন্ধীদের কেউ কেউ মাসের শেষ কটা দিন চলছেন ভিক্ষাবৃত্তি করে।

শারিরীক প্রতিবন্ধী হাবিবুর রহমান (৫৮) ছেঁড়া একখানা লুঙ্গি পরে কোনোরকমে বসে আছেন মলিন মুখে। তিনি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গজেরকুটি গ্রামের বাসিন্দা। এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। হাবিবুর বলেন, ‘সরকারের কাছ থেকে যে টাকা পাই তা দিয়ে পেটের ভাতটুকুই জুটছে না, গায়ের কাপড় কিনব কী দিয়ে?’

তিনি জানান, খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যে দাম, তাতে তাদের ক্রয়ক্ষমতা একেবারেই তলানিতে ঠেকেছে। একবছর ধরে এক পোশাকই পরছেন। তার হাঁটাচলা স্বাভাবিক নয়। লাঠি ভর দিয়ে কোনো রকমেই চলাচল করেন। অন্য কোনো কাজ করে যে সামান্য কিছু আয় করবেন, তাও পারেন না। পেটের ক্ষুধা মেটাতে যিনি হিমশিম খাচ্ছেন, নতুন পোশাক তার কাছে তো শুধুই স্বপ্ন।

হাবিবুর রহমান জানান, বাজারে চাল-ডাল, শাক-সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জীবন-জীবিকায় নেমে এসেছে চরম অস্থিরতা। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন তার মতো নিম্নআয়ের মানুষজন। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। মাসিক ৫০০ থেকে ৭৫০ টাকার এ সরকারি ভাতায় কোনো প্রয়োজনই মিটছে না তাদের। এখন দু’মুঠো অন্ন যোগাড় কষ্টের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শারিরীক প্রতিবন্ধী হাবিবুর রহমান অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে বলেন, সরকারি ভাতাভুক্ত হতে অনেক কাঠ-খড় পোড়াতে হয়েছে তাকে। দীর্ঘদিন ঘুরতে হয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির পেছনে। শারিরীক প্রতিবন্ধী দুই মেয়ের ক্ষেত্রেও পোহাতে হয়েছে একই যন্ত্রণা। এখন তিনজনের প্রতিবন্ধী ভাতার টাকায় চলে তার ৫ সদস্যের সংসার। শুধুমাত্র ভাতার টাকা দিয়ে জীবন-সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে তার কাছে। নিজের অসুস্থতা ও শারিরীক প্রতিবন্ধী দুই মেয়ের ভরণপোষণে চলে যায় এর সিংহভাগ। আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় করোনাকালে বন্ধ হয়ে গেছে একমাত্র ছেলেসহ দুই মেয়ের পড়ালেখা।

শুধু হাবিবুরই নয়, এরকম অনেকেই আছেন যারা শুধুমাত্র বয়স্ক, বিধবা কিংবা প্রতিবন্ধী ভাতার উপর নির্ভরশীল। সুবিধাভোগীর তালিকায় নাম লেখাতেও অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে তাদের। ভাতভোগীদের অধিকাংশের অবস্থা এমনই। নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় কোনোদিন তাদের খাবার জোটে আর কোনোদিন কাটে উপোস করে। চোখে অন্ধকার দেখতে শুরু করেছেন এসব মানুষ।

বিধবা ভাতাভোগী উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের তালুক শিমুলবাড়ী গ্রামের সুখ জাদী। তিন বছর আগে মারা যান স্বামী হ্যাসপেসু মিয়া। স্বামীর রেখে যাওয়া ৪ শতক জমির ভিটাটুকুও বারোমাসিয়া নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যায়। ওই গ্রামের শাহালম মিয়ার বাড়ির পেছনে একটি টিনের চালা তুলে মেয়ে মরিয়মসহ বসবাস শুরু করেন। পায়ে গোদরোগ থাকায় কেউ কাজে নিতে চায় না তাকে। অনেক চেষ্টার পর বিধবা ভাতা ভোগীর তালিকায় নাম ওঠে তার। বর্তমানে নিত্যপণ্যের দামের অস্থিরতায় জীবন-সংসার চালাতে নাভিশ্বাস উঠছে তার। সরকারিভাবে ঘর পেতে স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ক্লান্ত। শুধু বিধবা ভাতার টাকায় খাবার জুটছে না আর। তাই ভাতার টাকা শেষ হলে কখনো কখনো তাকে বের হতে হচ্ছে ভিক্ষা করতে।

সুখজাদীর মতো অনেক প্রতিবন্ধী, বিধবা ও বয়স্ক ভাতাভোগীদের এমনই অবস্থা। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সুবিধা ভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভোটে কাজ করা কর্মীসহ নিকটতম আত্মীয়-স্বজনদের প্রথমেই ভাতার ব্যবস্থা করেন জনপ্রতিনিধিরা। অধিকাংশ সুবিধাভোগীই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে তাদের খুশি করেই ভাতার সুযোগ পেয়ে থাকেন। বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা ভোগী অনেকেই তাদের এরকম অভিজ্ঞতার কথা অকপটে স্বীকার করেন। সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে স্বচ্ছভাবে ভাতার টাকা পেলেও নিত্যপ্রয়েজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর পাশাপাশি ভাতাভোগী পরিবারসহ নিম্ন আয়ের মানুষ দুর্বিসহ জীবনযাপন করছেন।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রায়হানুল ইসলাম জানান, উপজেলার ৬ ইউনিয়নে বয়স্ক ভাতাভোগী ১১ হাজার ৪৭৩ জন, বিধবা ভাতাভোগী ৪ হাজার ৯৫১ জন, প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী ৩ হাজার ৪৪৬ জন। এ ছাড়াও বিশেষ ভাতাভোগী (দলিত সম্প্রদায়) ৩১ জন, শিক্ষা উপবৃত্তি পান ২০ জন এবং প্রতিবন্ধী উপবৃত্তি পান ১৯৭ জন। সব মিলিয়ে মোট ২০ হাজার ১১৮ জন সুবিধাভোগী সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধা পাচ্ছেন। আগে ভাতাভুক্ত হওয়া ও ভাতার টাকা উত্তোলন করতে টুকিটাকি সমস্যা থাকলেও এখন অনলাইন সুবিধা আসায় ভাতা প্রদানে স্বচ্ছতা ফিরেছে।

তিনি আরও জানান, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও বিধবা ভাতা পাওয়ার উপযোগী প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মানুষকে এখনো তালিকাভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে পর্যাপ্ত বরাদ্দ আছে। বরাদ্দ আসামাত্রই তারা ভাতা সুবিধা পাবেন। ভাতার টাকার পরিমাণ কম হলেও তারা কিন্তু সরকারিভাবে সহায়তা পাচ্ছেন। ভাতা বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, এটা একান্তই সরকার ও সমাজ সেবা মন্ত্রণালয়ের।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন দাস জানান, আগে ভাতাভোগীদের কিছুটা দুর্ভোগ থাকলেও বর্তমান অনলাইন সুবিধা আসার পর থেকে ভাতাভোগীরা স্বচ্ছতার সঙ্গে ভাতার টাকা উত্তোলন করতে পারছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ালেও এসব ভাতাভোগীসহ স্বল্প আয়ের মানুষজন যেকোনো উপায়ে পরিবার-পরিজনদের জীবন নির্বাহ করছেন। স্বল্প আয়ের মানুষকে সহায়তা দেওয়ার সময় প্রতিটি দপ্তর সমন্বয় করে দেওয়া হলে নিম্নআয়ের মানুষ সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে না। সরকার কিন্তু ভাতাভোগীসহ নিম্ন আয়ের মানুষকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি অব্যাহত রেখেছেন। তবে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেকে জানানো হবে।

এসএন

Header Ad
Header Ad

একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ২৪ হাজার ২৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৬টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। রোববার (২০ এপ্রিল) পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সভা-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বে টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পসহ মোট ১৬টি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ২৪ হাজার ২৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৩ হাজার ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ১৬ হাজার ৭১৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৪ হাজার ৪২৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

এ সময় উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, পায়রা সমুদ্র বন্দর প্রকল্পে সঠিকভাবে অগ্রগতি না থাকায় এটি “সমুদ্র বন্দরও হবে না, খালের বন্দরও হবে না” - এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প ও গৃহায়ন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, নৌ ও শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সভায় অংশগ্রহণ করেন।

Header Ad
Header Ad

বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন অনুষ্ঠিত বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, গত ১৫ বছরে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। এজন্য নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত প্রার্থীদের, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের এবং যারা অনিয়মে যুক্ত ছিল, তাদের তদন্ত করে বিচার করতে হবে।

রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি জানান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে ফ্যাসিস্ট কাঠামোয় নিয়ে গেছে এবং মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে, যার দায় নির্বাচন কমিশনেরও রয়েছে।

বৈঠকে এনসিপির পক্ষ থেকে আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—মনোনয়নপত্র জমা দিতে সশরীরে আসার বিধান প্রবর্তন, প্রার্থীদের হলফনামা যাচাই-বাছাই করে সত্যতা নিরূপণ, নির্বাচনে সহিংসতা রোধে আচরণবিধি সংস্কার, ঋণখেলাপিদের প্রার্থিতা বাতিল, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র মনিটরিং করা।

এছাড়া একই নামে একাধিক দলের নিবন্ধন, অফিসবিহীন দলকে বৈধতা দেওয়া এবং এসব বিষয়ে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। এনসিপি মনে করে, এসব বাস্তবায়ন না হলে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক রায়, খালেদ সাইফুল্লাহ, মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন ও তাজনুভা জাবীন।

Header Ad
Header Ad

এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল

ছবি: সংগৃহীত

চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনেই দেশে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানা গেছে, ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত প্রবাসীরা ১৭১ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। ডলারপ্রতি ১২২ টাকা ধরে যার পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার ৯৬৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

রেমিট্যান্সের বড় একটি অংশ এসেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে—৯৮ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার ডলার। এছাড়া রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৬৩ কোটি ৯৭ লাখ ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো দিয়ে ৯ কোটি ২ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

এর আগেও চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশে এক মাসে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে—৩২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেও যথাক্রমে ২১৯ কোটি ও ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার ঘোষিত প্রণোদনা, ডলারের ভালো বিনিময় হার এবং রমজান ও ঈদ উপলক্ষ্যে প্রবাসীদের বাড়তি পাঠানোর প্রবণতা—এসব কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, এপ্রিল শেষে এই প্রবাহ ৩৫০ কোটি ডলারের বেশি হতে পারে, যা নতুন একটি রেকর্ড হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন
বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি
এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল
দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া নিয়ে বিএনপির অভিমত
ফাইয়াজের মামলায় আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার নেই: আসিফ নজরুল
ভারতের উত্তরপ্রদেশে এক ছাত্রীকে ৭ দিন ধরে আটকে ২৩ জন মিলে ধর্ষণ!
বিরামপুরে পিকআপের ধাক্কায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যুবলীগ কর্মী মিঠু গ্রেফতার
ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাল মুসলিম সমাজ, হায়দ্রাবাদে গণবিক্ষোভ
ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা
শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর
স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার দেবে চীন : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী
৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক