রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সরকারি ভাতাভোগীদের নাভিশ্বাস

জীবনের একমাত্র সম্বল এখন দীর্ঘশ্বাস! এর জন্য কোনো টাকাপয়সা লাগে না! তাই জীবন চালানোর চিন্তা করলে শুধু দীর্ঘশ্বাসই পড়ছে বয়স্কভাতা, প্রতিবন্ধীভাতা, বিধবাভাতাসহ সরকারি নানা ভাতাভোগীদের। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে তাদের এখন করুণ অবস্থা। শুধু ভাতার টাকায় জীবন না চলায় প্রতিবন্ধীদের কেউ কেউ মাসের শেষ কটা দিন চলছেন ভিক্ষাবৃত্তি করে।

শারিরীক প্রতিবন্ধী হাবিবুর রহমান (৫৮) ছেঁড়া একখানা লুঙ্গি পরে কোনোরকমে বসে আছেন মলিন মুখে। তিনি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের গজেরকুটি গ্রামের বাসিন্দা। এই প্রতিবেদকের সঙ্গে কথা বলছিলেন তিনি। হাবিবুর বলেন, ‘সরকারের কাছ থেকে যে টাকা পাই তা দিয়ে পেটের ভাতটুকুই জুটছে না, গায়ের কাপড় কিনব কী দিয়ে?’

তিনি জানান, খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের যে দাম, তাতে তাদের ক্রয়ক্ষমতা একেবারেই তলানিতে ঠেকেছে। একবছর ধরে এক পোশাকই পরছেন। তার হাঁটাচলা স্বাভাবিক নয়। লাঠি ভর দিয়ে কোনো রকমেই চলাচল করেন। অন্য কোনো কাজ করে যে সামান্য কিছু আয় করবেন, তাও পারেন না। পেটের ক্ষুধা মেটাতে যিনি হিমশিম খাচ্ছেন, নতুন পোশাক তার কাছে তো শুধুই স্বপ্ন।

হাবিবুর রহমান জানান, বাজারে চাল-ডাল, শাক-সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে জীবন-জীবিকায় নেমে এসেছে চরম অস্থিরতা। সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন তার মতো নিম্নআয়ের মানুষজন। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় সরকারি সুযোগ-সুবিধা পেলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। মাসিক ৫০০ থেকে ৭৫০ টাকার এ সরকারি ভাতায় কোনো প্রয়োজনই মিটছে না তাদের। এখন দু’মুঠো অন্ন যোগাড় কষ্টের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।

শারিরীক প্রতিবন্ধী হাবিবুর রহমান অশ্রুসিক্ত কণ্ঠে বলেন, সরকারি ভাতাভুক্ত হতে অনেক কাঠ-খড় পোড়াতে হয়েছে তাকে। দীর্ঘদিন ঘুরতে হয়েছে স্থানীয় জনপ্রতিনিধির পেছনে। শারিরীক প্রতিবন্ধী দুই মেয়ের ক্ষেত্রেও পোহাতে হয়েছে একই যন্ত্রণা। এখন তিনজনের প্রতিবন্ধী ভাতার টাকায় চলে তার ৫ সদস্যের সংসার। শুধুমাত্র ভাতার টাকা দিয়ে জীবন-সংসার চালানো কষ্টকর হয়ে পড়েছে তার কাছে। নিজের অসুস্থতা ও শারিরীক প্রতিবন্ধী দুই মেয়ের ভরণপোষণে চলে যায় এর সিংহভাগ। আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় করোনাকালে বন্ধ হয়ে গেছে একমাত্র ছেলেসহ দুই মেয়ের পড়ালেখা।

শুধু হাবিবুরই নয়, এরকম অনেকেই আছেন যারা শুধুমাত্র বয়স্ক, বিধবা কিংবা প্রতিবন্ধী ভাতার উপর নির্ভরশীল। সুবিধাভোগীর তালিকায় নাম লেখাতেও অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে তাদের। ভাতভোগীদের অধিকাংশের অবস্থা এমনই। নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় কোনোদিন তাদের খাবার জোটে আর কোনোদিন কাটে উপোস করে। চোখে অন্ধকার দেখতে শুরু করেছেন এসব মানুষ।

বিধবা ভাতাভোগী উপজেলার শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের তালুক শিমুলবাড়ী গ্রামের সুখ জাদী। তিন বছর আগে মারা যান স্বামী হ্যাসপেসু মিয়া। স্বামীর রেখে যাওয়া ৪ শতক জমির ভিটাটুকুও বারোমাসিয়া নদীর ভাঙনে বিলীন হয়ে যায়। ওই গ্রামের শাহালম মিয়ার বাড়ির পেছনে একটি টিনের চালা তুলে মেয়ে মরিয়মসহ বসবাস শুরু করেন। পায়ে গোদরোগ থাকায় কেউ কাজে নিতে চায় না তাকে। অনেক চেষ্টার পর বিধবা ভাতা ভোগীর তালিকায় নাম ওঠে তার। বর্তমানে নিত্যপণ্যের দামের অস্থিরতায় জীবন-সংসার চালাতে নাভিশ্বাস উঠছে তার। সরকারিভাবে ঘর পেতে স্থানীয় মেম্বার-চেয়ারম্যাদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে ক্লান্ত। শুধু বিধবা ভাতার টাকায় খাবার জুটছে না আর। তাই ভাতার টাকা শেষ হলে কখনো কখনো তাকে বের হতে হচ্ছে ভিক্ষা করতে।

সুখজাদীর মতো অনেক প্রতিবন্ধী, বিধবা ও বয়স্ক ভাতাভোগীদের এমনই অবস্থা। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সুবিধা ভোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভোটে কাজ করা কর্মীসহ নিকটতম আত্মীয়-স্বজনদের প্রথমেই ভাতার ব্যবস্থা করেন জনপ্রতিনিধিরা। অধিকাংশ সুবিধাভোগীই স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে তাদের খুশি করেই ভাতার সুযোগ পেয়ে থাকেন। বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতা ভোগী অনেকেই তাদের এরকম অভিজ্ঞতার কথা অকপটে স্বীকার করেন। সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে স্বচ্ছভাবে ভাতার টাকা পেলেও নিত্যপ্রয়েজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ায় মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোর পাশাপাশি ভাতাভোগী পরিবারসহ নিম্ন আয়ের মানুষ দুর্বিসহ জীবনযাপন করছেন।

উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা রায়হানুল ইসলাম জানান, উপজেলার ৬ ইউনিয়নে বয়স্ক ভাতাভোগী ১১ হাজার ৪৭৩ জন, বিধবা ভাতাভোগী ৪ হাজার ৯৫১ জন, প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী ৩ হাজার ৪৪৬ জন। এ ছাড়াও বিশেষ ভাতাভোগী (দলিত সম্প্রদায়) ৩১ জন, শিক্ষা উপবৃত্তি পান ২০ জন এবং প্রতিবন্ধী উপবৃত্তি পান ১৯৭ জন। সব মিলিয়ে মোট ২০ হাজার ১১৮ জন সুবিধাভোগী সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির সুবিধা পাচ্ছেন। আগে ভাতাভুক্ত হওয়া ও ভাতার টাকা উত্তোলন করতে টুকিটাকি সমস্যা থাকলেও এখন অনলাইন সুবিধা আসায় ভাতা প্রদানে স্বচ্ছতা ফিরেছে।

তিনি আরও জানান, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও বিধবা ভাতা পাওয়ার উপযোগী প্রায় সাড়ে ৪ হাজার মানুষকে এখনো তালিকাভুক্ত করা সম্ভব হয়নি। তবে পর্যাপ্ত বরাদ্দ আছে। বরাদ্দ আসামাত্রই তারা ভাতা সুবিধা পাবেন। ভাতার টাকার পরিমাণ কম হলেও তারা কিন্তু সরকারিভাবে সহায়তা পাচ্ছেন। ভাতা বাড়ানোর বিষয়ে তিনি বলেন, এটা একান্তই সরকার ও সমাজ সেবা মন্ত্রণালয়ের।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুমন দাস জানান, আগে ভাতাভোগীদের কিছুটা দুর্ভোগ থাকলেও বর্তমান অনলাইন সুবিধা আসার পর থেকে ভাতাভোগীরা স্বচ্ছতার সঙ্গে ভাতার টাকা উত্তোলন করতে পারছেন। বর্তমান পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ালেও এসব ভাতাভোগীসহ স্বল্প আয়ের মানুষজন যেকোনো উপায়ে পরিবার-পরিজনদের জীবন নির্বাহ করছেন। স্বল্প আয়ের মানুষকে সহায়তা দেওয়ার সময় প্রতিটি দপ্তর সমন্বয় করে দেওয়া হলে নিম্নআয়ের মানুষ সরকারি সুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে না। সরকার কিন্তু ভাতাভোগীসহ নিম্ন আয়ের মানুষকে সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি অব্যাহত রেখেছেন। তবে বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীর ভাতা বৃদ্ধির বিষয়ে তিনি বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেকে জানানো হবে।

এসএন

Header Ad

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল

ছবি: সংগৃহীত

একইসঙ্গে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করছেন জান্নাতুল ফেরদৌস নামের এক নারী। স্ত্রীর অধিকার থেকে বঞ্চিত করেননি দুই স্বামীর কাউকেই। গোপনে মন জয় করে চলছিলেন দুই স্বামীর। প্রায় দুই বছর দুই স্বামীর সংসার করার পর অবশেষে বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

চার বছরের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে হলফনামার মাধ্যমে গোপনে বিয়ে করেন রাজবাড়ী সদরের আলীপুর ইউনিয়নের ইন্দ্রনারায়ণপুর গ্রামের আবু হানিফ শেখের ছেলে ইউটিউবার সাগর শেখ ও আলীপুর গ্রামের নুরুল ইসলাম ভূঁইয়ার মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস।

বাবা, মা ও ভাই প্রবাসে থাকায় বাবার বাড়িতে একাই বসবাস করতেন জান্নাতুল। সেখানে যাতায়াত করতেন স্বামী সাগর শেখ। সংসার জীবন ভালোই চলছিল এ দম্পতির। হঠাৎ জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় শ্বশুরবাড়ি যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায় সাগরের। এরই মধ্যে প্রথম বিয়ের কথা গোপন রেখে পরিবারের সিদ্ধান্তে অন্য এক যুবককে দ্বিতীয় বিয়ে করেন জান্নাতুল।

এদিকে স্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের বাড়িতে তুলে না নেয়ায় শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিত সময় কাটান জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। প্রথম স্বামী সাগরের দাবি, প্রায় দুই বছর ধরে তার সঙ্গেও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক ঠিক রেখে চলছিলেন জান্নাতুল।

স্ত্রীর পরিবার তাকে মেনে না নেয়ায় তার বোনের বাসাসহ বিভিন্ন স্থানে একান্তে সময় কাটাতেন স্বামী-স্ত্রী। চলতি মাসের ২ নভেম্বর তারা একসঙ্গে নিজেদের দ্বিতীয় বিবাহবার্ষিকী পালন করেছেন বলেও দাবি করেন সাগর।

তবে দুই সপ্তাহ আগে স্ত্রীর সঙ্গে দ্বিতীয় স্বামীর ঘনিষ্ঠতার বিষয়ে জানতে পারেন সাগর। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন জান্নাতুল। এখন দ্বিতীয় স্বামী নিয়েই সংসার করতে আগ্রহী তিনি। বাধ্য হয়ে স্ত্রীকে ফিরে পেতে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ দায়েরের পাশাপাশি আদালতে মামলা করেছেন সাগর।

সাগর শেখ বলেন, জান্নাতুল ও আমার বিয়ের বিষয়টি জান্নাতুলের মা ও বোন জানতো। বিয়ের পর আমাদের সংসার জীবন ভালোই কাটছিল। তবে হঠাৎ করে জান্নাতুলের বাবা প্রবাস থেকে দেশে ফেরায় তাদের বাড়িতে আমার যাতায়াত বন্ধ হয়ে যায়। আমাদের বিয়ের চার মাসের মাথায় আমি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরির কাজে কয়েকদিনের জন্য রাজবাড়ীর বাইরে যাই।

কাজ থেকে এসে শুনি আমার স্ত্রী জান্নাতুল অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করেছে। আমি আমার স্ত্রীকে প্রশ্ন করলে সে বলে, ‘পরিবারের চাপে বিয়ে করেছি। ওই ছেলের সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক হয়নি। আমি তোমার স্ত্রী আছি, তোমারই থাকবো। আমার আম্মু দেশে আসলে আমি তোমার কাছে চলে আসবো।’

সাগর বলেন, ‘আমি জান্নাতুলদের বাড়ি যাতায়াত করতে না পারার কারণে বিভিন্ন সময় আমরা রাজবাড়ী শহরে আমার বোনের বাসায় ঘনিষ্ঠ সময় কাটাতাম। ওর কলেজে আনা-নেয়াসহ সবকিছু আমিই করতাম। এমনকি গত ২ নভেম্বরও আমরা আমার বোনের বাসায় আমাদের দ্বিতীয় বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছি।

তবে বিবাহ বার্ষিকী পালনের দুদিন পরে আমি জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে ওই ছেলের (দ্বিতীয় স্বামীর) ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক চলছে। ওই ছেলে নিয়মিত জান্নাতুলের বাবার বাড়িতে এসে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সময় কাটাচ্ছে। এ বিষয়ে আমি জান্নাতুলকে প্রশ্ন করলে সে আমাকে গালাগালি করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এক পর্যায়ে সে আমার সঙ্গে সংসার করবে না বলেও জানায়।’

তিনি বলেন, ‘সম্প্রতি জান্নাতুলের মা প্রবাস থেকে দেশে ফিরেছে। তিনিও এখন আমাকে মেয়ের জামাই হিসেবে অস্বীকার করছেন। অথচ তার মেয়ের সঙ্গে আমার প্রেম থেকে শুরু করে বিয়ে পর্যন্ত সবকিছুই তিনি জানতেন।

এখন বাধ্য হয়ে আমি আমার স্ত্রীকে ফিরে পেতে আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে গত ১১ নভেম্বর লিখিত অভিযোগ করেছি। এছাড়া ১৭ নভেম্বর রাজবাড়ীর বিজ্ঞ ১নং আমলি আদালতে মামলা করেছি।’

সাগর আরও বলেন, ‘আমাকে ডিভোর্স না দিয়ে আমার স্ত্রী অন্য আরেকজনকে বিয়ে করে আমার সঙ্গে প্রতারণা করেছে। সে আমাকেও ম্যানেজ করে চলেছে, একইভাবে তার দ্বিতীয় স্বামীকেও ম্যানেজ করে চলেছে।

এটা আইন ও ধর্মীয় দুই দিক থেকেই অপরাধ। এছাড়া আমি এ পর্যন্ত আমার স্ত্রীর পেছনে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় করেছি। তারপরও আমি আমার স্ত্রীকে ফেরত চাই। তাকে আমি আমার জীবনের চেয়েও বেশি ভালোবাসি।’

এদিকে, বিষয়টি নিয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজী হননি জান্নাতুলের দ্বিতীয় স্বামী। তবে তার দাবি, জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে তিনি জানতেন। সাগরের সঙ্গে বিয়ের বিষয়টি তিনি জানতেন না।

জান্নতুলের দ্বিতীয় স্বামীর বাবা বলেন, ‘কোন এক সূত্রে আমার শ্বশুর জান্নাতুলদের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে তাকে পছন্দ করে। পরে আমি গিয়ে তার বাবার কাছে বিয়ের প্রস্তাব দিলে বিয়ের দিন ধার্য হয়। বিয়ের আগের দিন সাগর নামে এক ছেলে আমার ছেলেকে ফোন করে বলে জান্নাতুলের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক আছে।

সে জান্নাতুলের সঙ্গে নিজের একটি ছবিও আমার ছেলেকে পাঠায়। এরপর আমি ওই এলাকায় আমার আত্মীয়দের কাছে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি জান্নাতুলের সঙ্গে সাগরের কোন সম্পর্ক ছিল না। এছাড়া জান্নাতুলকেও আমি সরাসরি প্রশ্ন করলে সেও সম্পর্কের বিষয়টি অস্বীকার করে।

পরে ঘরোয়া আয়োজনে জান্নাতুলের সঙ্গে আমার ছেলের বিয়ে হয়। এখন সাগর নামে ছেলেটি জান্নাতুলকে তার স্ত্রী হিসেবে দাবি করছে। আমি যতদূর জেনেছি সাগরের স্ত্রী ও সন্তান আছে। এখন বিষয়টি আইনগতভাবেই সমাধান হবে।

আর জান্নাতুল ফেরদৌসের সঙ্গে কথা বলতে তার বাবার বাড়িতে গেলে ভেতরে ঢোকার অনুমতি মেলেনি।’

বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে তার মা হাচিনা বেগম বলেন, ‘সাগরের সঙ্গে আমার মেয়ের বিয়ে হয়েছিল৷ তবে বিয়ের দুই মাসের মাথায় তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়। আমার মেয়ে তো ছোট বুঝে নাই, যে কারণে সেসময় ওরা ডিভোর্সের কাগজ ছিঁড়ে ফেলেছে। এর ৪/৫ মাস পরে আমার মেয়ের আবার বিয়ে হয়েছে। সাগর আমার মেয়েকে চাপে ফেলে এতোদিন তার সঙ্গে সময় কাটাতে বাধ্য করেছে।’

আলীপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবু বকর সিদ্দিক জানান, ‘সাগর ও জান্নাতুলের বিবাহ বিচ্ছেদ হলে তার নোটিশের একটি কপি ইউনিয়ন পরিষদে আসার কথা। এরকম কোন কপি কখনো পাননি তারা।’

তিনি বলেন, ‘সাগর আমার ইউনিয়ন পরিষদে অভিযোগ করেছে। আমিও খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি সাগর জান্নাতুলের প্রথম স্বামী। সে সাগরকে তালাক না দিয়েই বিয়ের চার মাসের মাথায় অন্য এক ছেলেকে বিয়ে করে। প্রায় দুই বছর সে চালাকি করে দুই স্বামীর সঙ্গেই সংসার করেছে। সাগরের কাছ থেকে জান্নাতুল অনেক টাকা-পয়সা খেয়েছে বলেও আমি জানতে পেরেছি।’

আবু বক্কার বলেন, ‘সাগরের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি জান্নাতুলের বাবাকে নোটিশের মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকি। তবে নোটিশ পেয়ে তিনি তার ছোটভাই ও তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামকে সঙ্গে নিয়ে আমার বাড়িতে এসে বলেন, আমি যেন পরিষদে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেই। তবে এর ১/২ দিন পরে তিনি জানান, এ বিষয়ে তারা বসতে চান না।

আইনগতভাবে তারা বিষয়টি সমাধান করতে চান। পরে আবার তারা বসতে সম্মত হলে জান্নাতুল ও তার বাবা এবং তাদের এলাকার ইউপি সদস্য আবুল কালামসহ পরিষদের অন্য সদস্যদের নিয়ে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইউনিয়ন পরিষদে বসেছিলাম। সাগরও সেখানে ছিল। তবে সেখানে জান্নাতুল বলে দিয়েছে সে কোনভাবেই সাগরের সঙ্গে ঘর সংসার করবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের পুরুষ শাসিত সমাজে নারীরা নির্যাতিত হয়। কিন্তু ছেলেরা যে কতোটুকু নির্যাতিত হয় তা এই সম্পর্কের জের দেখলে বোঝা যায়। আমাদের সমাজে ছেলেরা আরও বেশি নির্যাতিত হচ্ছে। সেটা নীরবে নিভৃতে ছেলেরা সহ্য করে যাচ্ছে। আমি আশা করবো আপনারা সাংবাদিক ভাইয়েরা বিষয়টি তুলে ধরবেন।

আপনাদের সংবাদের মাধ্যমে মানুষ যাতে সচেতন হতে পারে। আজকে আমার ইউনিয়নে এমন ঘটনা ঘটেছে। আর কোন ইউনিয়নে যেন এমন ঘটনা কোনদিন না ঘটে।’

Header Ad

শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

২৪ এর গনঅভূ্থানে ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম যোদ্ধা, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী, শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে যান বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন।

এ সময় মোবাইল ফোনে লাউডস্পিকারে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা.শফিকুর রহমান বলেন, আব্দুল্লাহ দেশের জন্য মানুষের জন্য মানবতার কল্যাণের জন্য জীবনকে উৎস্বর্গ করে আল্লাহর দরবারে চলে গেছেন, আল্লাহ তাকে শহীদ হিসাবে কবুল করুন। শহীদরা মরে না। তারা আল্লাহর জীম্মায় জীবন্ত থাকে। এ সময় শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুর ১২ টার দিকে যশোরের বেনাপোল পোর্ট থানার বড় আঁচড়া গ্রামে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন আব্দুল্লাহর বাড়িতে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের খোঁজ খবর নেন,কবর জিয়ারত করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করেন।

এর আগে তিনি নাভারণ দারুল আমান ট্রাষ্টে ওলামা সম্মেলনে যোগদান করেন। পরে ২০১৬ সালে গুম হওয়া ইসলামি ছাত্র শিবিরে নেতা রেজোয়ানের বাড়িতে যান এবং খোঁজ খবর ও সমবেদনা জানান।

এসময় তিনি জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যু বরনকারী সকলে ন্যায় বিচার পাবেন বলে পরিবারের সদস্যদের সান্তনা দেন। এবং গনঅভূ্থানে নিহত সকল পরিবারের সাথে বাংলাদেশ জামায়াত ইসলাম আছে থাকবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কর্ম পরিষদ সদস্য মাওলানা আজিজুর রহমান, যশোরের জেলা আমীর অধ্যক্ষ মাওলানা গোলাম রসূল, সাবেক জেলা আমীর মাওলানা হাবীবুর রহমান, জেলা জামায়াতের নেতা মাওলানা আবু জাফর, মাওঃ শিহাব উদ্দিন শার্শা থানা আমীর রেজাউল ইসলাম, সেক্রেটারী মাওলানা ইউসুফ আলী ও ঝিকরগাছা থানা আমীর মাওলানা আসাদুল আলম প্রমূখ।

Header Ad

বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার

ছবি: ঢাকাপ্রকাশ

দিনাজপুরের বিরামপুরে বিশনি পাহান (৫৫) নামের এক আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের ময়না মোড় এলাকার ধানক্ষেত থেকে ওই নারীর হাতবাঁধা লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহত বিশনি পাহান উপজেলার কাটলা ইউনিয়নের বেণুপুর গ্রামের সাধন পাহানের মেয়ে।

নিহতের ভাই চরকা পাহান বলেন, আমার ছোট বোনের স্বামী বিশনি পাহানকে ছেড়ে চলে গেছেন। সে প্রতিরাতেই নেশা করতো। বাবা মারা যাওয়ার পর থেকেই আমার বাড়িতে থাকতো আমার বোন। আমার বোন এলাকায় মানুষের জমিতে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। শুক্রবার বিকেলে এলাকার এক ব্যক্তির জমিতে ধান কাটার কাজ শেষ করে আর বাড়িতে ফেরেননি। রাতে অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তাকে কোথাও পাওয়া যায়নি। শনিবার সকালে ধানক্ষেতে হাতবাঁধা অবস্থায় তার লাশ পাওয়া যায়।

বিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমতাজুল হক জানান, এলাকাবাসীর দেওয়া খবরে ঘটনাস্থল থেকে আদিবাসী এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে তাকে কে বা কাহারা হত্যা করেছে। তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে আসবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ
৩ মাসে জ্বালানি খাতে সাশ্রয় হয়েছে ৩৭০ কোটি টাকা : জ্বালানি উপদেষ্টা
জুটি বাধলেন মিঠুন চক্রবর্তী-আফসানা মিমি
দেশ ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় দ্রুত নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই : তারেক রহমান
২৪ ঘণ্টার মধ্যে বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের আশঙ্কা
অক্টোবরে সড়কে প্রাণ গেছে ৪৭৫ জনের
গায়ানায় দলের সঙ্গে যোগ দিলেন সাকিব
আইপিএল নিলামের আগেই নিষিদ্ধ হলেন ভারতের ২ ক্রিকেটার
গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি