জেলেদের জালে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে হাজারো জেলিফিশ

কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের কলাতলী সায়মন পয়েন্টে ভেসে আসছে হাজারো মৃত জেলিফিশ (সাদা নুইন্যা)। শুক্রবার (১১ নভেম্বর) সকালে জোয়ারের তোড়ে এসব জেলিফিশ সমুদ্র সৈকতের উপকূলে ভেসে আসে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ওশানোগ্রাফিক রিসার্স ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দার।
তিনি বলেন, আজ সকাল ৬টার দিকে জোয়ারের তোড়ে সমুদ্র সৈকতের কলাতলী সায়মন পয়েন্টে ভেসে আসে হাজারো মৃত জেলিফিশ। সমুদ্রে ভাটার সময় এসব জেলিফিশ দেখা গেছে। এখন জোয়ারের পানিতে জেলিফিশগুলো পুনরায় সমুদ্রের পানিতে নিমজ্জিত হয়ে গেছে। বেলা ১২টার সময় এসব জেলিফিশ আবারও উপকূলে দেখা যাবে।
বেলাল হায়দার বলেন, মূলত এসব জেলিফিশ ( সাদা নুইন্যা) সাগরে জেলেদের বিহুন্দি জালে আটকা পড়ে মারা যাচ্ছে। জেলেদের কেউ কেউ জেলিফিশ রক্ষায় জাল কেটে দিলেও অনেকে আবার জাল টেনে উঠানোর সময় এসব জেলিফিশ ছিড়ে গিয়ে মারা যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, এখন পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের জানা ২ হাজার প্রজাতির জেলিফিশের মধ্যে মাত্র যে ১২টি প্রজাতির জেলিফিশের খাদ্য মূল্য আছে তার মধ্যে সাদা নুইন্যা বা হোয়াইট টাইপ জেলিফিশ(Lobonemoides robustus) অন্যতম। এটি খাদ্য হিসেবে বিভিন্ন দেশে বেশ জনপ্রিয়। এই জেলিফিশটির অন্যতম বিচরণ ক্ষেত্র হচ্ছে আমাদের বঙ্গপোসাগর। এটি প্রাণঘাতী কোনও জেলিফিস নয়।
বিজ্ঞানীরা দেখেছেন, বিভিন্ন সময়ে এসব সাদা নুইন্যা মৎস্যজীবীদের বিহুন্দি জালে অযাচিতভাবে আটকা পড়ে মারা যায় এবং পরবর্তীতে জেলিফিশগুলো কক্সবাজার, পটুয়াখালিসহ দেশের বিভিন্ন সমুদ্র সৈকতে ভেসে আসে। অযত্নে-অবহেলায় সৈকতে পড়ে থাকা এই জেলিফিশ(Lobonemoides robustus) খাদ্য হিসেবে ও প্রসাধন শিল্পে ব্যবহার করা হয়।
উল্লেখ্য, বিশ্বে জেলিফিশের ৫.৬০ বিলিয়ন ডলারের বাজার রয়েছে। অথচ আমাদের বঙ্গপোসাগর সাদা নুইন্যার অন্যতম আবাসস্থল হওয়া সত্ত্বে এটিকে রক্ষায় নেই কোনও উদ্যোগ।
এসআইএইচ
