পেঁয়াজের দাম কমায় খুশি নিন্ম আয়ের মানুষ
হিলি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকায় ভারতে ও দেশে নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম পাইকাড়িতে কেজি প্রতি দাম কমেছে ১০ থেকে ১১টাকা। একসপ্তাহ পুর্বে বন্দরে ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ প্রকারভেদে ৩৫ থেকে ৩৯ টাকা দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ২৫ থেকে ২৮টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। পেঁয়াজের দাম ২০/২২টাকায় নামবে বলে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন। এদিকে পেঁয়াজের দাম কমায় খুশি বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকারসহ নিন্ম আয়ের মানুষজন।
হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকার আব্দুল কাইয়ুম বলেন, ডলার সংকটের অজুহাতে ব্যাংক নাকি এলসি দিচ্ছিলনা যার কারনে পেঁয়াজের আমদানি কমে গিয়ে পেঁয়াজের দাম উদ্ধমুখি হয়ে গিয়েছিল। আর বাড়তি দামের কারনে মোকামে ক্রেতা সংকট দেখা দেওয়ায় ব্যাপারীরা আমাদের পেঁয়াজ কেনার ওয়ার্ডার দিচ্ছিলনা। এতে করে আমরা যারা বন্দর থেকে পেঁয়াজ কিনে দেশের বিভিন্ন মোকামে পাঠাচ্ছিলাম তারাও পেঁয়াজ কিনতে পারছিলামনা বর্তমানে পেঁয়াজের দাম কমায় সেই অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে।
অপর পাইকার নজরুল ইসলাম বলেন,বর্তমানে পেঁয়াজের দাম কমায় আমাদের কিনতে কিছুটা সুবিধা হচ্ছে কম টাকায় পেঁয়াজ কিনতে পারছি যার কারনে পুজি কম লাগছে। যে পেঁয়াজ গত সপ্তাহে ৩৫ থেকে ৩৯টাকা দরে বিক্রি হয়েছিল সেই পেঁয়াজ বর্তমানে দাম কমে ২৫ থেকে ২৮টাকায় নেমেছে।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম বলেন, ভারতের ব্যাঙ্গালোর অঞ্চলে বন্যার কারনে ক্ষেত নষ্ট হয়ে পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম উদ্ধমুখি হয়েছিল। সম্প্রতি ভারতে নতুন করে ইন্দোর ও নাসিক জাতের পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে। নতুন পেঁয়াজ আসার কারনে পুরানো পেঁয়াজগুলো কিছুটা কম দামে ছেড়ে দিচ্ছেন কৃষকরা। এতে করে পেঁয়াজের সরবরাহ আগের তুলনায় বাড়ায় ভারতের বাজারেই পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমতির দিকে।
অপরদিকে দেশে ডলার সংকটের কারনে ব্যাংকগুলো গতসপ্তাহে পেঁয়াজের এলসি না দিলেও বর্তমানে শর্তস্বাপেক্ষে সীমিত পরিসরে এলসি দিতে শুরু করায় বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি যেমন বেড়েছে। তেমনি বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি অব্যাহত থাকায় দেশের বাজারে সরবরাহ বেড়েছে।
এছাড়া ইতোমধ্যেই দেশীয় নতুন পাতা পেঁয়াজ উঠতে শুরু করেছে যার কারনে দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমতে শুরু করেছে। মন প্রতি দেশীয় পেঁয়াজের দাম ২শ থেকে ৩শ টাকা করে কমেছে। এতে করে দেশের বাজারে আমদানিকৃত পেঁয়াজের চাহিদা কমার কারনে দাম কমতে শুরু করেছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে তবে আমদানির পরিমানা উঠানামা করছে। কখনো আমদানি বেশী হচ্ছে আবার কখনো আমদানি কমে যাচ্ছে। তবে গত তিনদিন ধরে বন্দর দিয়ে একই পরিমানে ১০ থেকে ১৫ট্রাক করে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। গতকাল বুধবার বন্দর দিয়ে ১২টি ট্রাকে ৩৩২টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আজো বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে।
এএজেড