'রসিক নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করা হবে'

রংপুর সিটি করর্পোরেশন নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে যা যা করণীয় দরকার তাই করা হবে বলে একথা বলেছেন, নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ও রংপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন। প্রতিটি কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হবে। একইসঙ্গে কেন্দ্রে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে ভোট গ্রহণ স্থগিত করা এবং যাদের কারণে ভোটকেন্দ্রে অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। যে কোনো মূল্যে নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করা হবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে রংপুর আঞ্চলিক নির্বাচন অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক আবদুল বাতেন বলেন, গাইবান্ধার ভোটের পর রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জ আমরা গ্রহণ করেছি। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে প্রস্তত নির্বাচন কমিশন। আগামী ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকা থেকে প্রার্থীদের ব্যানার-ফেস্টুন বিলবোর্ড ও অন্যান্য প্রচারণা সামগ্রী না সরালে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
আজ থেকে মাইকিং করে কোনো প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে লাগানো ব্যানার-ফেস্টুন বিলবোর্ডসহ অন্যান্য প্রচারণা সামগ্রী সরানোর নির্দেশ দেয়া হবে। যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অপসারণ না করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে কমিশন এবং প্রার্থিতা যাচাই বাছাইয়ের সময় সেই বিষয়টি আমলে নেয়া হবে।
একটি সুষ্ঠু, গ্রহনযোগ্য ও আইনানুগ নির্বাচন উপহার দিতে অনিয়মের ব্যপারে কঠোর হবে কমিশন। সম্প্রতি গাইবান্ধার নির্বাচনে সিসিটিভির সংযোগ বন্ধের অভিযোগ ওঠার পর রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে এ ব্যপারে বিকল্প কোন ব্যবস্থা করা হবে কিনা এ প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ২০১ টি ভোটকেন্দ্রের ১৩০৭ টি কক্ষে সিসিটিভি ক্যামেরা থাকবে এবং সেগুলোর নিয়ন্ত্রণ থাকবে নির্বাচন কমিশনের কাছে।সাধারণ মানুষের ইভিএমে ভোট দিতে যাতে সনস্যা না পড়ে সেজন্য প্রত্যেকটি এলাকায় ইভিএম মেশিনে ট্রায়াল শুরু হবে।
রংপুর বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসন, নির্বাচন কমিশন,পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ইভিএম রাখা হবে সেগুলোতে প্রার্থীরা এসে দেখে যেতে পারবে। এ ছাড়া নির্বাচনে প্রার্থীদের ব্যাপারে আসা বিভিন্ন অভিযোগ খতিয়ে দেখে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। আগামী ২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ভোট গ্রহণ হবে ইভিএম মেশিনে।
আবদুল বাতেন আরও বলেন, এখন থেকে প্রার্থীরা কোনো সভা-সমাবেশ, মিছিল মিটিং ও শোডাউন করতে পারবেন না। তবে, ঘরোয়াভাবে বৈঠক ও গণসংযোগ চালাতে পারবেন। রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রায় ২০০টি কেন্দ্রে ইভিএমে সকাল সাড়ে আটটা থেকে বিকেল সাড়ে চারটা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ২৮ জুন পৌরসভা থেকে ৩৩টি ওয়ার্ড নিয়ে রংপুর সিটি করপোরেশন গঠন হয়। এরপর প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ওই বছরের ২০ ডিসেম্বর। দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় নির্বাচনের সময় ভোটার ছিল ৩ লাখ ৯৩ হাজার ৯৯৪ জন। এবার ভোটার সংখ্যা বেশি হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এএজেড
