থানা হাজতে হত্যা মামলার আসামীর মৃত্যু
নরসিংদীর রায়ফুরায় থানা হাজতে হত্যা মামরার আত্বহত্যার অবিযোগ উঠেছে।পরকিয়ার জেরে স্ত্রী হত্যার অভিযোগে গত সোমবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে একদিনের রিমান্ড নেয় রায়পুরা থানা পুলিশ। এই বিষয়টি নিশ্চিত করে নরসিংদী পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ বুধবার (৯ নভেম্বর) পরিকিয়ার জেরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে রিমান্ডে থাকা আসামী থানার হাজতখানায় আত্মহত্যা করণ প্রসঙ্গে রায়পুরা থানার মামলা নং-০৮। ৮নভেম্বর এর ১নং আসামী সুজন মিয়ার সাথে লাভলী বেগম (৩০) এর ১৩ বছর পূর্বে বিবাহ হয় এবং তাদের সংসারে ২টি মেয়ে সন্তান রয়েছে। গত ২ মাস পূর্বে সে বিদেশে থেকে বাংলাদেশে আসে।
সুজন মিয়ার স্ত্রী লাভলী বেগম মোবাইলে অন্য ছেলের সাথে কথা বলত বলে সে আগে থেকেই তার স্ত্রীকে সন্দেহ করত। বাংলাদেশে আসার পর তার এই সন্দেহ আরো প্রবল হয়। এ বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ সৃষ্টি হয়। গত ৫ নভেম্বর দিবাগত রাতে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পরকিয়া নিয়ে ঝগড়া বিবাদ হলে এক পর্যায়ে আসামী সুজন মিয়ার তার স্ত্রী লাভলী বেগম (৩০)কে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
স্ত্রী হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান আসামী সুজন মিয়া(৩৫), মামুদপুর গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে। রায়পুরা থানা পুলিশ গত সোমবার ফরিদপুর জেলার সদরপুর থানার আটরশি দরবার শরীফ এর পাশ হতে গ্রেপ্তার করে গত ৮ নভেম্বর ৫ (পাঁচ) দিনের রিমান্ডের আবেদনসহ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে। বিজ্ঞ আদালত তার ২ (দুই) দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে রায়পুরা থানা পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানা হাজতে নিয়ে যান।
আজ সকালে আসামী সুজন মিয়া রায়পুরা থানা হাজতের ওয়াশরুমের ভিতরে জানালার রডের সাথে নিজের পরিহিত শার্ট দিয়ে গলায় ফাস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। পরবর্তীতে তাকে দ্রুত রায়পুরা থানা পুলিশ উদ্ধার করে রায়পুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
উল্লেখিত বিষয় বিস্তারিত অনুসন্ধানের নিমিত্তে জেলা পুলিশ নরসিংদী কর্তৃক ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে উক্ত মৃতদেহের সুরতহাল তৈরী করা হয় বলে জানান থানা পুলিশ।
এএজেড