ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাব, আমন নিয়ে শঙ্কায় কৃষক

ফেনীতে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে আমন ধানের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কৃষকদের দাবি, ক্ষয়ক্ষতির পরও দেখা মেলেনি কৃষি কর্মকর্তাদের। মাঠ জরিপে যাননি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ফলে এবার আমন মৌসুমে ঘরে ধান তোলা নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা।
কৃষি অফিস জানায়, ফেনীতে চলতি মৌসুমে ৬৬ হাজার ৭৪৮ হেক্টর আমন ধানের আবাদ হয়েছে। সম্প্রতি সিত্রাংয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ছয় উপজেলার মোট ১১১ হেক্টর জমির ধান। এর মধ্যে সোনাগাজী উপজেলায় ৬৫ হেক্টর, সদর উপজেলায় ২৪ হেক্টর, ছাগলনাইয়া উপজেলায় ৭ হেক্টর, ৫ হেক্টর করে ফুলগাজী, পরশুরাম ও দাগনভূঞা উপজেলায়।
কৃষি বিভাগের দেওয়া তথ্যমতে, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে পাকা ধান ১ শতাংশ, দানা ১১ শতাংশ, দুধ ২৬ শতাংশ, ফুল ৩৮ শতাংশ, থোড় ২২ শতাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এবার শীতকালীন সবজির আবাদ হয়েছে ৯৩০ হেক্টর জমিতে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সবজির ক্ষেত।
সোনাগাজী উপজেলার চর ছান্দিয়া ইউনিয়নের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক আবুল খায়ের জানান, তিনি এবার ৪ একর জমিতে আমন ধান আবাদ করেছেন। সিত্রাংয়ে তাণ্ডবে প্রায় অর্ধেক জমির ধান নষ্ট হয়েছে। ঝোড়ো বাতাসে ধানগুলো জমিতে নুয়ে পড়ে আছে। অনেক জায়গায় জলমগ্ন হয়ে আছে। পানি দ্রুত অপসারণ করতে না পারলে ডুবে থাকা ফসল সব পচে যাবে।
আরেক কৃষক সাইফুল ইসলাম বলেন, গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টির সঙ্গে প্রবল বাতাসের কারণে আমার ৬০ শতক জমির কাঁচা-পাকা আমন ধান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফেনীস্থ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. একরাম উদ্দিন জানান, এবার ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ে আমন ও শীতকালীন সবজিসহ ৬৫ হেক্টর জমিতে ১৯ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এএজেড
