পটুয়াখালীতে পরিবহন ধর্মঘটে ভোগান্তিতে যাত্রীরা

পটুয়াখালীসহ দক্ষিণ জনপদে দুই দিনের পরিবহন ধর্মঘট চলছে। মহাসড়কে তিন চাকার বাহন বন্ধের দাবিতে বাস মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের আহ্বানে শনিবার (৫ নভেম্বর) ভোর ৬টা থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়। ভোর থেকে কোনো বাস কোথায়ও ছেড়ে যায়নি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন পটুয়াখালীর সাধারণ মানুষেরা। আর পর্যটক শূন্য হয়ে পড়েছে কুয়াকাটা।
এদিকে বাস বন্ধ থাকায় কুয়াকাটাসহ বিভিন্ন এলাকার যাত্রীরা মোটরসাইকেল ও তিন চাকার বাহনে যার যার গন্তব্যের দিকে ছুটছেন। স্বাভাবিক ভাড়ার চেয়ে যাত্রীদের গুণতে হচ্ছে দ্বিগুণ-তিনগুণ বেশি ভাড়া।
জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন মৃধা জানান, কুয়াকাটা-পটুয়াখালী-বরিশাল আঞ্চলিক মহাসড়কে ব্যাটারিচালিত মাহেন্দ্র, সিএনজি, অটোবাইক, ইজিবাইকসহ বিভিন্ন ধরনের তিন চাকার বাহন চলছে। আইন ও নিয়ম-কানুনের তোয়াক্কা না করে দূরপাল্লার পরিবহনের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সড়ক ও মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এসব তিন চাকার বাহন। এর ফলে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনা ঘটছে।
তিনি আরও জানান, উচ্চ আদালতের আদেশ ও সরকারের নির্দেশনা থাকা সত্ত্বেও তিন চাকার বাহন মালিক ও চালকরা মানছেন না। এ কারণে প্রতিদিন এই মহাসড়কে দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই এ ধর্মঘট আহ্বান করা হয়েছে।
এদিকে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার কুট্টি বলেন, বিএনপির বরিশালের গণসমাবেশ বানচাল করতে এ বাস ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। সমস্ত বাধা উপেক্ষা করে নৌ-পথসহ বিভিন্ন উপায়ে আমদের নেতা-কর্মীরা বরিশালে পৌঁছেছে। আমাদের সমাবেশ সফল হবে।
এ প্রসঙ্গে সাধারণ যাত্রীদের অনেকে বলছেন, বরিশালে বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে লোকসমাগম যেন না হয় সেজন্য বরিশালের সঙ্গে পটুয়াখালীতেও বাস চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।
এসআইএইচ
