পটুয়াখালীতে উদ্ধারের পর ৩৫ ঘুঘু অবমুক্ত

পটুয়াখালীতে বাস থেকে ৩৫টি ঘুঘু পাখিকে উদ্ধার করে অবমুক্ত করেছে 'এ্যানিমেল লাভার্স অফ পটুয়াখালী' সংগঠনের সদস্যরা। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে কুয়াকাটা পৌরসভা চত্ত্বরে পাখিগুলো অবমুক্ত করা হয়েছে। এসময় কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার, বনবিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ ও এ্যানিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালী সংগঠনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) রাত ৯টার দিকে কুয়াকাটা চৌরাস্তা এলাকা থেকে বরিশালগামী একটি বাসে তল্লাশি চালিয়ে পাখিগুলো উদ্ধার করেন এ্যানিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালী সংগঠনের কলাপাড়া উপজেলার সদস্যরা।
'এ্যানিমেল লাভার অব পটুয়াখালী' সংগঠন সদস্য কেএম বাচ্চু বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারি কুয়াকাটা থেকে বাসে কিছু পাখি বরিশাল পাচার করা হচ্ছে। পরে ওই বাসে আমরা তল্লাশি চালিয়ে পাখিগুলো উদ্ধার করে কুয়াকাটা নোঙ্গর খানায় রেখেছি। পরে শুক্রবার বনবিভাগের লোকের উপস্থিততে দুপুরে অবমুক্ত করা হয়েছে।
বনবিভাগের মহিপুর রেঞ্জ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা এ্যানিমেল লাভার্স অব পটুয়াখালী সংগঠনে সদস্যদের স্বাগত জানাই। তারা এর আগেও বন্দিদশা থেকে বেশ কিছু বন্যপ্রানী উদ্ধার করেছে। পাখি ধরা, বিক্রি এবং বন্দি করে রাখা দন্ডনীয় অপরাধ। তাই সবাইকে সচেতন হওয়া দরকার।
বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, 'সংগঠনটিকে আগেই আমরা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ সম্পর্কে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। এরই ফলে তারা বিভিন্ন জায়গা থেকে বন্দি বন্যপ্রাণী অবমুক্ত করে'।
তিনি আরও বলেন, 'পরিবেশের জন্যই বন্যপ্রাণী ও পাখি সংরক্ষণ করা দরকার। বনের পাখি শিকার করলে আইন অনুযায়ী কী শাস্তি আছে এবং পরিবেশের ওপর কী প্রভাব পরে- এই সংগঠন প্রত্যন্ত এলাকায় আমাদের এই বার্তা পৌঁছে দিচ্ছে'।
এ্যানিমেল লাভার অব পটুয়াখালী' সংগঠনের সদস্য আবদুল কাইউম বলেন, 'এ্যানিমেল লাভারস অফ পটুয়াখালী' একটি অলাভজনক ও ব্যক্তিগত তহবিলের মাধ্যমে পরিচালিত এবং প্রাণীদের জন্য কল্যাণমূলক সংগঠন।
২০১৯ সালে সেপ্টেম্বর মাসে আমাদের সংগঠনের পথচলা শুরু হয়। সংগঠনটি বন্য ও পোষা প্রাণীদের প্রতি সহিংসতা বন্ধ, মালিকানাহীন প্রাণীদের চিকিৎসা, খাদ্য ও নিরাপদ আশ্রয় নিশ্চত এবং জনসাধারণের মাঝে প্রাণীজীবন রক্ষার্থে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
এএজেড
