ঝালকাঠিতে আকস্মিক বাস ধর্মঘট, যাত্রীদের ভোগান্তি

বরিশালে বিএনপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে ঝালকাঠি থেকে সকল রুটের বাস চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়ন। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। যদিও বাস মালিক সমিতির দাবি, মহাসড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবিতে দুই দিনের জন্য এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন তারা।
বাস মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ জানান, মহাসড়কে তিন চাকার অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের জন্য দীর্ঘদিন ধরে তাঁরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানিয়ে আসছেন। কিন্তু এর পরেও সড়কে তিন চাকার যানবাহন চলাচল করছে। এই যানবাহন বন্ধ করা না করায় দুই দিনের ধর্মঘটের ডাক দেন তাঁরা।
এদিকে বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, বিএনপির সমাবেশে যাতে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ অংশ নিতে না পারে এ জন্য যানবাহন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বাস ধর্মঘট ডেকে বিএনপির সমাবেশে যাওয়া বন্ধ করা যাবে না বলেও জানান বিএনপি নেতারা।
ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন জানান, কোন বাধাই বিএনপি নেতাকর্মীদের সমাবেশে যাওয়া আটকাতে পারবে না। প্রয়োজনে পায়ে হেটে সমাবেশে যোগদান করা হবে। সরকার দলীয় লোজনের নির্দেশে ধর্মঘটের নামে অযথা মানুষ হয়রানি করা হচ্ছে।
(শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা) আবুল বাশার আদু জানান, মহা সড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধের দাবীতে ধর্মঘাট করছি। (ঝালকাঠি পৌর বিএনপি সভাপতি) অ্যাডভোকেট নাসিমুল হাসান জানান, যে কোন মুল্যে বরিশালের সমাবেশে ঝালকাঠি থেকে আগামীকাল ২০ থেকে২৫ হাজার বিএনপির নেতা কর্মি সমাবেশ স্থলে থাকব। আমাদেরকে বিভিন্ন যায়গায় বিভিন্ন ভাবে বাধাগ্রস্থ করছে কিন্তু কোন বাধায়ই আমাদের সমাবেশবে বাধাগ্রস্থ করতে পারবেনা।
আগামী কাল বরিশালের সমাবেশ হবে ঐকিহাসিক সমাবেশ এই মহা সমাবেশের মাধ্যমেই দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করব। ঝালকাঠি জেলা বিএনপি সদস্য সচিব, অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন, কোন বাধাই বরিশালের সমাবেশে যেতে বন্ধ করতে পারবে না, ইতো মধ্যে ঝালকাঠি জেলা থেকে অংশখ্য নেতা কর্মি বরিশালে গিয়েছেন এবং ২৫ থেকে ৩০ হাজার বিএনপির নেতা কর্মী ঝালকাঠি থেকে এ সমাবেশে অংশগ্রহণ করবেন।
এএজেড
