ঢাকা-বরিশাল রুটে চলছে লঞ্চ, নেই দুর্ভোগ
ঢাকার সদরঘাট থেকে বরিশালের উদ্দেশ্যে ছেড়েছে যাত্রীবাহী লঞ্চগুলো। বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশকে কেন্দ্র করে নৌযান বন্ধের অভিযোগ উঠলেও তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছেন লঞ্চ মালিক ও সংশ্লিষ্টরা।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) লঞ্চ চলাচলের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন একাধিক লঞ্চ মালিক ও বিআইডব্লিউটিএ এর একাধিক কর্মকর্তা।
সরেজমিনে দেখা যায়, সদরঘাট থেকে বিভিন্ন জেলার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাচ্ছে লঞ্চগুলো। ছুটির দিন হওয়ায় যাত্রী সমাগম ছিল অন্যান্য দিনের চেয়ে বেশি। পটুয়াখালী, বরিশালসহ বগাগামী এলাকায় ছুটছে লঞ্চগুলো। ঘাটে ছিল সেই পুরোনো হাঁকডাক। অনেক যাত্রী শঙ্কায় ছিল লঞ্চ বন্ধের বিষয়ে। তবে যাত্রীদের সেই শঙ্কা কেটেছে সদরঘাটে আসার পরপরই।
লঞ্চ মালিকরা জানান, কোনো রাজনৈতিক কারণে লঞ্চ বন্ধ থাকবে না। আমাদের ব্যবসা আমাদের মতোই চলবে। কোনো মালিক যদি তেলের খরচ বহন করতে না পেরে লঞ্চ না চালায় সে ক্ষেত্রে কিছু করার নেই।
লঞ্চ মালিকরা লঞ্চ চালু রাখার সিদ্ধান্ত নিলেও শুক্রবার বরিশাল থেকে ঢাকায় লঞ্চ আসবে কি না সে ব্যাপারে স্পষ্ট কিছু জানাতে পারেননি।
ঢাকাপ্রকাশ-কে একাধিক যাত্রী বলেন, আমরা ভেবেছিলাম আজ লঞ্চ বন্ধ থাকবে। কিন্ত সদরঘাট এসে দেখি লঞ্চগুলো চলছে। লঞ্চ না চললে আমরা ভোগান্তিতে পড়তাম।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম বলেন, আমরা লঞ্চ বন্ধ করব না। কেউ তেল খরচ দিতে না পেরে লঞ্চ বন্ধ রাখলে তার ব্যাপার। আমাদের ব্যবসা আমাদের মতোই চলবে। রাজনৈতিক কারণে লঞ্চ বন্ধ রাখব না। আমরা ব্যবসায়ী ব্যবসার চিন্তা করব।
বিআইডব্লিউটিএ সদরঘাটের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম-পরিচালক মো. শহীদ উল্যাহ বলেন, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়া কিংবা বৈশ্বিক সমস্যা না হলে লঞ্চ বন্ধ রাখা হয় না। আমরা লঞ্চ বন্ধের কোনো নোটিশ পাইনি। মালিকরা লঞ্চ বন্ধ রাখলে তাদের ব্যাপার। কোনো রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অনেক সময় অনেক স্থানে পুলিশও লঞ্চ বন্ধ রাখে।
এমবি/এসজি