স্কুল ভবনের সামনেই পুকুর, আতংকে শিক্ষক-অভিভাবক

নেই কোন প্রাচীর, স্কুল ভবনের সামনেই পুকুর। এ্যাসেম্বলী হয় পাশ্ববর্তী হাইস্কুলের মাঠে। দীর্ঘদিন ধরে এ চিত্র ফেনী সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম বিজয়সিংহ-২ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। বর্ষা মৌসুমে স্কুলে আসা-যাওয়া করতে হয় কাঁদাপানি মাড়িয়ে। এ অবস্থা নিয়ে চিন্তিত অভিভাবকরা। দূর্ঘটনার আশংকায় সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে অভিভাবকরা আতংকে দিন কাটান। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯৯৫ সালে স্থানীয়দের সহযোগিতায় স্কুলটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। ২০১৩ সালে সরকার জাতীয়করণ করে। এখানে ৫ জন শিক্ষিকা কর্মরত রয়েছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে, দুইদিক থেকে সীমানাপ্রাচীরে ঘেরা পশ্চিম বিজয়সিংহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে রয়েছে সুবিশাল পুকুর। পাশ্ববর্তী পাঁচগাছিয়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠ হয়ে আসা-যাওয়া করতো শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সাম্প্রতিক সময়ে বালিকা বিদ্যালয়ের একটি নতুন ভবন নির্মাণ হওয়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যাতায়াতের পথ সংকুচিত হয়ে যায়। ২০১৮ সালে ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে তিনতলা ভবন নির্মাণ করা হয়। এ বিদ্যালয়ে শিশু শ্রেণি থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত ১শ ৭ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে কিংবা অফিস কক্ষে থাকাকালীন সময়ে শিশুরা ছুটোছুটির সময় দূর্ঘটনার আশংকা সবসময় থাকে। এ স্কুলে দপ্তরি ও নৈশপ্রহরীর পদটি শূন্য রয়েছে। এই অবস্থায় ক্ষুদে পড়ুয়াদের দেখভাল করতে অনেক সময় শিক্ষকরা পালা করে পাহারা দেন।
সহকারি শিক্ষক ফাতেমা খাতুন জানান, ছেলেমেয়েরা ছুটোছুটি করতে গিয়ে কখন পুকুরে পড়ে যায় এনিয়ে আতংকে থাকতে হয়। স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে ছাত্র-ছাত্রীরা ধাক্কাধাক্কি করলেও দূর্ঘটনার আশংকা থাকে।
প্রধান শিক্ষক সকিনা খানম বলেন, বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে একাধিকবার আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু পুকুর ভরাটে কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
তিনি আরো বলেন, পুকুরে ২০ শতাংশ জায়গার মালিকানা স্কুলের রয়েছে। এটি ভরাট করলে ছাত্র-ছাত্রীরা এ্যাসেম্বলী ও খেলাধুলার জায়গা পাবে। একই সঙ্গে দূর্ঘটনার আশংকাও কেটে যাবে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল বলেন, বিষয়টি কেউ জানায় নি। এ ব্যাপারে খোঁজখবর নিয়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পুকুর ভরাটে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
এএজেড
