নোয়াখালীর সুবর্ণচরে দুই দালালসহ ৭ রোহিঙ্গা আটক

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলা থেকে দুই দালালসহ ৭ রোহিঙ্গাকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) ভোর রাতে আটককৃতদের উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন থেকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
এর আগে সোমবার (৩১ অক্টোবর) রাত ১০টার দিকে হাতিয়ার ভাসানচর আশ্রয়ন প্রকল্প থেকে পালানোর সময় সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চরমাকছুমুল গ্রাম থেকে তাদের আটক করে স্থানীয়রা।
আটককৃতরা হলেন-দালাল মো. নুর আমিন (৫০) ও মো. ইউসুফ (১৪)। তারা সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। আর রোহিঙ্গারা হলেন-ভাসানচর আশ্রয়ণের ১২ নম্বর ক্লাস্টারের নুরুল হাকিম (২৬), ৮১ নম্বর ক্লাস্টারের মো. আলম (২৪), ৮৭ নম্বর ক্লাস্টারের মো. অলি আছান (২৭), সোনা মেহের (১৮), ইয়াছমিন (১০ মাস), ফিরোজা (২২ বাক প্রতিবন্ধী) ও মো. একরাম (১৪ মাস)।
জানা যায়, গত রবিবার (৩০ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে নৌকাযোগে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের নিয়ে রওনা দেয় দালাল নুর আমিন। সোমবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে সুবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চরমাকছুমুল গ্রামের কামাল বাজারে এসে পৌঁছায় তারা। রাত ১০টার দিকে রোহিঙ্গাদের চলাফেরা দেখে সন্দেহ হলে রোহিঙ্গা নাগরিক বুঝতে পেরে দালাল নুর আমিন এবং মো. ইউসুফসহ সাতজন রোহিঙ্গাকে আটক করে স্থানীয় লোকজন। পরে তাদের মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে হস্তান্তর করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) ভোর ৪টার দিকে আটককৃতদের থানায় নিয়ে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দা ও রোহিঙ্গাদের ভাষ্যমতে, দালাল নুর আমিন ভাসানচরে মাছের ব্যাবসা করে। সেই সুবাদে আটক রোহিঙ্গাদের সঙ্গে দালাল নুর আমিনের কিছু দিন আগে পরিচয় হয়। পরিচয়ের এক পর্যায়ে রোহিঙ্গারা পালানোর পথ খুঁজলে দালাল নুর আমিন তাদের আশ্বস্ত করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে পালিয়ে নিয়ে ব্রিক ফিল্ডের কাজ দেওয়ার। এই প্রলোভন দেখিয়ে ২০ হাজার টাকা করে আদায় করে।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চরজব্বর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো.জয়নাল আবেদীন বলেন, এ ঘটনায় আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে টাকা নিয়ে ব্রিক ফিল্ডে কাজ দেওয়ার কথা বলে রোহিঙ্গা নাগরিক পাচারের অভিযোগ নাকচ করে দেন তিনি।
এসআইএইচ
