২১ দিনে ৪২ লাখ টাকার কারেন্ট জাল জব্দ, ৩ মণ ইলিশ উদ্ধার
প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ শিকার রোধে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী গত ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর রাত ১২টা পর্যন্ত মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা ছিল। এর মাঝেই সরকারি নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে টাঙ্গাইলের যমুনা নদীতে মা ইলিশ শিকারে নামে কিছু অসাধু জেলে চক্র। তবে ওই অসাধু জেলে চক্রের মা ইলিশ শিকার রোধে ব্যাপক তৎপরতা ও বিশেষ টহলে জোরদার ভূমিকা পালন করছে প্রশাসন, মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় এবং নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। পাশাপাশি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও তাদের সহযোগিতা করছেন মা ইলিশ শিকার বন্ধে।
এ ব্যাপারে মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সকালে টাঙ্গাইল জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমদাদুল হক জানান, সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে যমুনা নদীতে মাছ শিকার করায় চলিত মৌসুমে জেলার ১২ উপজেলায় অভিযান চালিয়ে ৪ লাখ ৩১ হাজার ৯০০ মিটার কারেন্ট জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য ৪২ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা। এ ছাড়াও অভিযানে জেলেদের থেকে ১৩৬ কেজি (প্রায় সাড়ে ৩ মণ) মা ইলিশ উদ্ধার করে স্থানীয় এতিমখানায় বিতরণ করেছে প্রশাসন।
তিনি আরও জানান, জেলায় যমুনা নদী বেষ্টিত ভূঞাপুর, কালিহাতী, টাঙ্গাইল সদর, নাগরপুর ও গোপালপুরসহ অন্যান্য উপজেলায় মা ইলিশ বন্ধে প্রশাসন, মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয় ও নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির যৌথ উদ্যোগে অভিযান, মোবাইল কোর্ট, জরিমানা, ঘাটপাড় ও বাজার পরিদর্শন করা হয়। এই তিন সপ্তাহে মোবাইল কোর্ট ২০টি, অভিযান ১০১টি এবং পরিদর্শন এলাকা স্থান ৮৩টি, মাছঘাট ৭১টি ও বাজার ৬৮৪টি। মোবাইল কোর্টে মামলা হয়েছে ৪২টি, জরিমানা আদায় ১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা এবং ৩ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
মৎস্য কর্মকর্তা এমদাদুল জানান, ১২ উপজেলায় সরকারিভাবে নিবন্ধিত জেলের সংখ্যা ১৯ হাজার, ইলিশ ধরা জেলের সংখ্যা রয়েছে ৩ হাজার ৩৩২ জন। প্রজনন মৌসুমে মাছ শিকার বন্ধ থাকায় সরকারিভাবে ১ হাজার ৭৮১ জন জেলেকে খাদ্য সহায়তা ৪৪.৫২৫ মেট্রিক টন চাল দেওয়া হয়েছে।
মৎস্য কর্মকর্তা আরও জানান, গত ২৮ অক্টোবর মধ্য রাত থেকে নদীতে মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা নেই। তাই জেলেরা মাছ শিকারে ব্যস্ত সময় পার করছে। জেলেরা যেন ডাকাত ও চাঁদাবাজির কবলে না পড়ে সে বিষয়টি নৌ-পুলিশ ফাঁড়িকে অবহিত করা হবে।
এসআইএইচ