সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে লোকমান হোসেন (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার ছোট ভাই। রবিবার (৩০ অক্টোবর) সকালে উপজেলার মাহমুদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত লোকমান হোসেন ওই গ্রামের মুনসুর আলীর ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয়কে কেন্দ্র করে লোকমান হোসেনের সঙ্গে তার ছোট ভাই মোশারফ হোসেনের দীর্ঘদিন মনোমালিন্য ছিল। এরই জের ধরে রবিবার সকালে লোকমান হোসেনের সঙ্গে মোশারফের হোসেনের কথা কাটাকাটি সৃষ্টি হয়। এর এক পর্যায়ে মোশারফ তার কাছে থাকা ধারালো দা দিয়ে বড় ভাই লোকমানের বুকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান লোকমান।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করে শ্যামনগর থানার ওসি কাজী ওয়াহিদ মোর্শেদ জানান, জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ডটি ঘটেছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানাতে পারব।
ঢাকা শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে ইসকন নেতা এবং বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী গ্রেপ্তার হন। চট্টগ্রাম নগরীর নিউমার্কেট মোড়ের স্বাধীনতা স্তম্ভে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়, যার পরিপ্রেক্ষিতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এই ঘটনার পরপরই প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায় ভারত এবং দেশটির শাসক দল বিজেপি। এখন প্রশ্ন হলো, কে এই চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী? আর কেনইবা তাকে গ্রেপ্তার হতে হলো কিংবা গ্রেপ্তারের পরই বা কেন চারদিকে এতো আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হলো?
চিন্ময় কৃষ্ণ দাস আসল নাম ছিল চন্দন কুমার ধর। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর একাধিক সমাবেশের নেতৃত্ব দেন তিনি। তার দাবি, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের উপর হওয়া 'নিপীড়নের' বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই এ সমাবেশ। তবে তার কর্মকাণ্ড নিয়ে বিতর্ক দানা বাঁধে।
বিশেষত গত অক্টোবরে চট্টগ্রামে একটি মিছিলের সময় বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার অবমাননার অভিযোগ ওঠে তার বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়, যে মামলায় বর্তমানে তিনি কারাবন্দী। তবে তার সমর্থকদের দাবি, তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশের প্রতিবাদে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেছেন সনাতন সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার মানুষ।
ধর্মীয় এই নেতাকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের মুখপাত্র তালেবুর রহমান জানিয়েছেন, কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তাধীন রয়েছে। তবে সুনির্দিষ্টভাবে কী অভিযোগ আনা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
এদিকে, যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া জানিয়েছেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ইসকনের নেতা হিসেবে নয়, বরং রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কোনো ষড়যন্ত্র বা অপচেষ্টা মেনে নেওয়া হবে না।
স্লট বুকিং জটিলতায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আলু ও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল থেকে এই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। তবে সোমবার (২৫ নভেম্বর) আগের স্লটে বুকিং করা দুই ট্রাক আলু আমদানি হয়েছে।
এতে করে হিলি স্থলবন্দর এলাকায় বেড়েছে সব ধরনের আলু ও পেঁয়াজের দাম। ভারতীয় আলু ৭০ টাকায়, দেশি আলু ৭৫ টাকায় এবং ভারতীয় পেঁয়াজ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকাল থেকে এ বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়নি। তবে সোমবার আগের বুকিং করা ২ ট্রাক আলু আমদানি হয়েছে। প্রতি কেজি আলু ৭০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে বন্দরে; যা একদিনের ব্যবধানে কেজিতে ১০ টাকা বেড়েছে আলুর দাম তবে স্বাভাবিক রয়েছে পেঁয়াজের দাম।
সবশেষ রোববার ১৪ ট্রাকে ৩৯৬ মেট্রিক টন পেঁয়াজ ও ৭২ ট্রাকে দুই হাজার মেট্রিক টন আলু আমদানি হয়েছে এই বন্দর দিয়ে। এরপর রপ্তানিতে স্লট বুকিং বন্ধ করে দেয় দেশটির রাজ্য সরকার।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভারতের একজন রপ্তানিকারক বলেন, রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় হঠাৎ করে পেঁয়াজ ও আলুর দাম বেড়ে যাবার কারণে রাজ্য সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে আমরা বৈঠক করব সরকারের প্রতিনিধির সাথে যাতে অন্য রাজ্য থেকে হলেও বাংলাদেশে আলু ও পেঁয়াজ রপ্তানি করতে পারি। এ ছাড়াও আমাদের যেসব গাড়ি লোডিং অবস্থায় রয়েছে সেগুলোর স্লট বুকিং না দিলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হব।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, ভারত থেকে পণ্য আমদানি করতে পশ্চিমবঙ্গে রাজ্য সরকারের স্লট বুকিং নিতে হয় যা অনলাইন সিস্টেমে। হঠাৎ করে রোববার অনলাইন সিস্টেম বন্ধ করে দিয়েছে বলে জানান ভারতের রপ্তানিকারকরা। ফলে স্লট বুকিং দিতে পারছি না আমরা। যার কারণে পেঁয়াজ ও আলু আমদানিতে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়নি তবে আগের বুকিং করা আলু সোমবার এসেছে দুই ট্রাক। স্লট বুকিং খুলে না দেওয়ায় মঙ্গলবার থেকে আলু ও পেঁয়াজ বন্দর দিয়ে আমদানি হচ্ছে না।
দেশের শোবিজ অঙ্গনের মধ্যে বদলে যাওয়া এক অভিনেত্রী রুনা খান। যিনি সব সময় নিজের মতো করে বাঁচতেই পছন্দ করেন। তার ক্যারিয়ারের বয়স প্রায় দুই দশকের। ক্যারিয়ারে এখন পর্যন্ত অসংখ্য নাটকে অভিনয় করে দর্শকদের মন জয় করেছেন তিনি। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে সমানতালে ধরে রেখেছেন নিজের রূপ, লাবন্যও।
বর্তমানে রুনার বয়স চল্লিশের কোটায়। এই বয়সে এসে এখনও আবেদনময়ী রুনা খান। সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক ভিডিওতে তার এই বয়সের রূপ-লাবণ্য নিয়ে অকপটে কথা বলতে দেখা গেল রুনা খানকে।
এ সময় মজার ছলে প্রসঙ্গ ওঠে, রুনাকে এই বয়সে এখনও কেউ দুষ্টু বার্তা, কিংবা কোনো প্রস্তাব পাঠায় কিনা! খানিকটা হেঁসে রুনা বললেন, ‘আমারই সমবয়সি অপূর্ব, নিশো। ওরাও তো দেখতে আকর্ষণীয়। ওদেরকে তো এই প্রশ্ন করা হয় না; তাদের পরিবার আছে, সন্তান আছে, তারপরও কেন আকর্ষণীয় লাগছে! তো ৪০-৪২ বছর বয়সী অপূর্বকে, শুভকে সুন্দর-আকর্ষণীয় দেখালে ৪০-৪২ বছর বয়সী রুনা খান, বাঁধনদেরকেও সুন্দর, আকর্ষণীয় দেখাতে পারে, একই জিনিস।’
রুনা বলেন, ‘আমরা আসলে নারীদের ব্যাপারে নানারকম প্রশ্ন করতে, ভাবতে ভালোবাসি আমরা, এটা আমাদের অভ্যস্ততার ব্যাপার।’
তবে সুযোগ পেলে বয়স আশিতে গিয়েও মডেলিং ও অভিনয়ে যুক্ত থাকবেন বলে আশাবাদী রুনা খান। অভিনেত্রীর কথায়, ‘আমার কাছে আসলে সৌন্দর্যের প্রতীক আমার মা। এছাড়াও শর্মীলা (শর্মীলা আহমেদ) আন্টি, দিলারা জামান, তারা। আমি যদি বেঁচে থাকি, সুস্থ থাকি তাদের বয়স পর্যন্ত, তাহলে ওনাদের মতো হতে চাই। তারা আশি বছর বয়সে গিয়েও অভিনেত্রী হিসেবে কাজ করেন, কিংবা আইস টুডের কাভার মডেল হতে পারেন।’
বছর কয়েক ধরে নিজের ওজন কমিয়ে রাতারাতি আলোচনায় চলে আসেন রুনা খান। ৪১ শে এসেও সমানতালে ছড়িয়ে দিচ্ছেন রূপের দ্যুতি। আবার কখনও সাহসী অবতারে নিজেকে মেলে ধরে তাক লাগিয়েও দেন অনুরাগীদের। এ নিয়ে কখনও বিতর্কিতও হয়েছেন অভিনেত্রী। তবে এসব কোনোকিছুকেই তোয়াক্কা না করে নিজের মতো করে এগিয়ে গেছেন রুনা খান, সাফল্যের মুখ দেখছেন অনায়াসেই।
উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই, কাজল আরেফিন অমির ওয়েব কনটেন্ট 'অসময়'-এ কাজ করে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছেন অভিনেত্রী। এ নিয়ে রুনা মনে করেন, 'অসময়' তাকে সুসময় এনে দিয়েছে। এখন ওয়েব কনটেন্টে কাজ করার পাশাপাশি ধারাবাহিকভাবে যুক্ত হচ্ছেন সিনেমাতেও।