ভাইকে বেঁধে বোনকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
গাজীপুরে রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ছোট ভাইকে গাছের সঙ্গে বেঁধে বোনকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনায় প্রধান আসামি জাহিদুল ইসলামকে (২৭) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার (২৯ অক্টোবর) তাকে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানা গেছে।
এর আগে শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) বিকাল পৌঁনে ৫টায় শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া (চন্নাপাড়া) এলাকা থেকে আসামি জাহিদুলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব সদস্যরা। তিনি গাজীপুর মহানগর সদর থানাধীন দক্ষিণ সালনা এলাকার সাইফুল ইসলামের ছেলে।
এ ব্যাপারে র্যাব-১ পোড়াবাড়ি ক্যাম্পের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জি এম মাজহারুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাব জানতে পারে সালনা এলাকায় কিশোরীকে ধর্ষণের প্রধান আসামি জাহিদুল শ্রীপুর পৌরসভার কেওয়া এলাকায় পালিয়ে আছে। পরে র্যাব সদস্যরা ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে তার নানা আজগর গুরুর বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ওই পোশাক শ্রমিক কিশোরীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত থাকার কথা জানায়। পরে তাকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন (জিএমপি) সদর থানায় সোপর্দ করা হয়।
জিএমপির সদর থানার ওসি জিয়াউল হক বলেন, রাত ১১টায় ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি জাহিদুল ইসলামকে থানায় নিয়ে আসে র্যাব। শনিবার (২৯ অক্টোবর) তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
উল্লেখ্য, গত ২১ অক্টোবর দুপুরে ৪/৫ জন যুবক গাজীপুরের টেকনগপাড়ার রাস্তা থেকে ওই কিশোরী ও তার ছোট ভাইকে তুলে দক্ষিণ সালনার বাতানিয়া টেক এলাকার জঙ্গলে নিয়ে যায়। পরে ভাইকে গাছের সঙ্গে বেঁধে পরিত্যক্ত টিনশেড বাড়ির ভেতরে কিশোরীকে নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে চার যুবক। সুযোগ পেয়ে মেয়েটি পালিয়ে এক ব্যক্তির বাড়িতে আশ্রয় নেয়। অন্যদিকে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত যুবকরা পালিয়ে যাওয়ার সময় হৃদয় ও মনির নামের দুই যুবককে আটক করে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও এলাকাবাসী। তবে সেই সময় প্রধান আসামি জাহিদুল ইসলাম ও তার অপর সহযোগী নাসিম পালিয়ে আত্মগোপনে চলে যায়। ভিকটিম চাকরির সন্ধানে ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে ওই এলাকায় এসেছিল বলে জানা গেছে।
এসআইএইচ