ট্রেনে ঝুলে-দাড়িয়ে রংপুরে যাচ্ছে বিএনপির নেতাকর্মীরা

২৯ অক্টোবর শনিবার রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের আগে ২দিনের পরিবহন ধর্মঘট থাকায় ডোমার ও নীলফামারী থেকে আন্তঃনগর ট্রেনেই নেতা-কর্মীদের রংপুরে যাওয়ার একমাত্র ভরসা। শুক্রবার সকাল থেকেই ডোমার ও নীলফামারী জেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা রেলষ্টেশনে জড়ো হতে থাকে। হাজার হাজার নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে ভরে ছিল চিলাহাটি, ডোমার ও নীলফামারী ষ্টেশনের প্লাটফর্ম।
রেলের কামরায় জায়গা না থাকায় বিকালে তিতুমীর ট্রেন, সীমান্ত ও নীলসাগর ট্রেনে নেতাকর্মীরা ঝুলে-দাড়িয়ে রংপুর সমাবেশে যোগ দিতে জেলা ছাড়েন। শনিবার রংপুরে যেতে বাধা আসতে পারে তাই আগেভাগেই রংপুরে যাচ্ছেন নেতা-কর্মীরা। বাস, মাইক্রোবাস, ট্রাক বন্ধ থাকায় মানুষ ট্রেনেই যাতায়াত করছেন।
ডোমার থেকে রংপুরের দুরত্ব ৭৫ কিলোমটার ও চিরাহাটির দুরত্ব প্রায় ৯০ কিলোমিটার হওয়ার কারনে শুক্রবার বিকালে তিতুমীর ট্রেনে উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেয়াজুল ইসলাম কালু ও সাধারন সম্পাদক আখতারুজ্জামান সুমনের নেতৃত্বে ডোমার উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের প্রায় দুই হাজার নেতাকর্মী রংপুরের উদ্দেশ্যে তিতুমীর ট্রেনে রওনা দেন।
এ সময় রাস্তার দুধারে দাড়িয়ে থাকা হাজার হাজার মানুষ হাত নেড়ে সমাবেশের সফলতা কামনা করে তাদের শুভেচ্ছা জানান। নেতাকর্মীরা জানান, ধর্মঘট থাকার কারনে কম নেতাকর্মী যাচ্ছে আর ধর্মঘট না থাকলে ডোমার থেকেই দশ হাজার নেতাকর্মী সমাবেশে অংশ নিত। তারপরও প্রায় ৫ হাজারের মত নেতাকর্মী বিভিন্নভাবে সমাবেশে থাকবেন বলে তারা জানিয়েছেন।
যুবনেতা লোকমান হোসেন লাভলু বলেন, শনিবারের মহাসমাবেশের আগে পরিবহন ধর্মঘট থাকায় আমরা একদিন আগেই রংপুরে গিয়ে অবস্থান নিচ্ছি। শনিবার রংপুরে যেতে বাধা আসতে পারে তাই নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে আমরা সমাবেশের উদ্দেশ্যে ডোমার ছাড়লাম।
উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান তুলু ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আনোয়ার হোসেন বলেন, একদিন আগেই রংপুরের সমাবেশ স্থলে নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে আমরা অবস্থান নিব। স্মরণকালের বৃহত্তম এই সমাবেশ বানচাল করার জন্যই পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তারা বলেন, তারপরও হাজার হাজার নেতাকর্মী ট্রেনে, হেটে রংপুরে আসছে।
ডোমার উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আখতারুজ্জামান সুমন বলেন, ডোমার, ডিমলা ও নীলফামারীর কোন বাস বা মাইক্রোবাস আমাদের কাছে ভাড়া দিচ্ছে না। আমরা পরিবহন মালিক ও নেতাদের সাথে আলোচনা করেছি তারা আমাদের জানান গাড়ী ভাড়া দেওয়া যাবেনা উপরের চাপ রয়েছে।
তাই সমাবেশ সফল করার লক্ষে তুহিন ভাইয়ের উপস্থিতি জানান দিতে আমরা প্রায় তিনহাজার নেতাকর্মী নিয়ে ট্রেনেই করেই রংপুর যাচ্ছি। তিনি বলেন আমরা পার্বতীপুরে নেমে রংপুর যাওয়ার কোন যানবাহন না পেলে পায়ে হেটেই রংপুরে যাবো। ডোমারের পাশাপাশি দেবীগঞ্জ উপজেলারও নেতাকর্মীরা ট্রেনে করে রংপুর যাচ্ছে বলেও তিনি জানান।
উপজেলা বিএনপির সভাপতি রেয়াজুল ইসলাম কালু বলেন, শনিবারের বিএনপির যে মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে সেই সমাবেশ সফল করার লক্ষে আমরা সমাবেশের একদিন আগেই রংপুর যাচ্ছি। সরকার যতই বাধা দিক এই সমাবেশ হবে স্মরণকালে সর্ববৃহত্ত সমাবেশ। ট্রেন যাত্রার পুর্বেই উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক আখতারুজ্জামান সুমন নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামুলক বক্তব্য প্রদান করেন। এদিকে যুবদল নেতাকর্মীরা রাতে নীলসাগর ট্রেনে রপুরের উদ্দেশ্যে নীলফামারী ছাড়বেন বলে জানিয়েছেন যুবনেতা শফিক ইসলাম।
এএজেড
