বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫ | ২৮ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

সমাবেশ স্থলে আসতে শুরু করেছে বিএনপি নেতা-কর্মীরা

শনিবার (২৯ অক্টোবর) রংপুরে বিএনপির বিভাগীয় গণ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। আর এই সমাবেশকে ঘিরে দলীয় নেতা-কর্মীরা নানা ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন। এরই অংশ হিসেবে সমাবেশের দুই-তিন দিন আগে থেকেই ‘চলো চলো রংপুর চলো’-এ শ্লোগানে নানা উপায়ে সমাবেশ স্থলের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। ইতিমধ্যে অনেকেই সমাবেশ স্থলে এসে পৌঁছেছেন।

জানা গেছে, সমাবেশের জন্য জেলা স্কুল মাঠ চেয়ে বিএনপি আবেদন করলেও মহানগর পুলিশ মৌখিক অনুমতি দিয়েছে কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে। অনুমতি পাওয়ার পর থেকেই গত তিন দিন ধরে দলীয় নেতা-কর্মীদের একটি অংশ রংপুর কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে অবস্থান নিয়ে মঞ্চ তৈরির কাজ সম্পন্ন করেছেন। রংপুর নগরীসহ বিভাগের সকল জেলা-উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন এমনকি ওয়ার্ড-গ্রাম পর্যন্ত বিএনপির পোস্টার- ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে। এরই মধ্যে পায়ে হেটে রংপুরের গণ-সমাবেশে অংশ নিতে আগে থেকেই হাজির হচ্ছে দলীয় নেতা-কর্মীরা। কেউ কেউ চিড়া-মুড়ি-গুড়সহ সাথে এনেছেন কাঁথা-কম্বল। বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) অনেক নেতা-কর্মীই নগরীর আবাসিক হোটেল, ছাত্রবাস, স্বজন, পরিজন ছাড়াও নগরীর বাইরে বিভিন্ন উপজেলার আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে অবস্থান নেন। তবে এর মধ্যে অনেকেই সমাবেশ স্থলে এসে পৌঁছেছেন। লালমনিরহাটের পাটগ্রামের শ্রীরামপুর ইউনিয়নের আজিজপুর গ্রাম থেকে আসা মোস্তাফিজুর রহমান (৪৬) ও রহিদুল ইসলাম (৪০) বলেন, গত বুধবার সন্ধ্যায় ট্রেনে করে পাটগ্রাম থেকে রংপুর স্টেশনে এসে পৌঁছেছি। রংপুর রেল স্টেশনে চিড়া-মুড়ি খেয়ে রাত যাপনের পর বৃহস্পতিবার সকালে সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হয়েছেন। তাদের মতো গাইবান্ধার সাঘাটার ঘুড়িদহ থেকে আরিফুল ইসলাম, কড়িগ্রমের রাজারহাটের সাদ্দাম হোসেন ও গোবিন্দগঞ্জ মহিমাগঞ্জের জাহিদুল ইসলামসহ অনেকেই সমাবেশ স্থলে উপস্থিত হয়েছেন। তাদের আতঙ্ক যদি গাড়ি বন্ধ থাকে, পথে বাধা দেওয়া হয়, মারামারি হয় তাহলে তো সমাবেশে আসতে পারব না, এজন্য আগেই আসা। এ কারণে শুক্রবারের (২৯ অক্টোবর) মধ্যেই সমাবেশের ৬০ ভাগ লোক রংপুরে প্রবেশ করবে বলে বিশ্বাস আয়োজকদের।

এদিকে পুলিশ নেতা-কর্মীদের এখনও গ্রেপ্তার না করলেও ভয়-ভীতি প্রদর্শনসহ নানা হয়রানি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন দলের নেতা-কর্মীরা।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এছাড়া দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বেগম সেলিমা রহমান, ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ.জেড.এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব ও সংসদ সদস্য হারুন অর রশিদ, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলুসহ কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় বিএনপি এবং অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।

রংপুর বিভাগীয় গণ-সমাবেশ বাস্তবায়ন কমিটির সমন্বয়ক এবং বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে প্রায় সোয়া মাস আগেই সমাবেশের জন্য রংপুর জেলা স্কুল মাঠের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। সে অনুযায়ী আমরা পোস্টারিংসহ প্রচার-প্রচারণা চালানো হয়। কিন্তু অন্তিম মুহূর্তে রংপুর মহানগর পুলিশ কমিশনার আমাদের গণ-সমাবেশের জন্য কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে মৌখিক অনমুতি প্রদান করেছেন। প্রশাসনের প্রতি সম্মান জানিয়ে কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে মঞ্চ তৈরিসহ অন্যান্য কাজ চালাচ্ছি।

তিনি আরোও বলেন, রংপুর বিভাগীয় গণ-সমাবেশ হবে একটি পরিচ্ছন্ন সমাবেশ। স্বরণকালের সর্ববৃহৎ উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।শুধু বিএনপি নেতাকর্মী নয়, তৃণমূল, নগর, শহর এবং বন্দরের সাধারণ মানুষরাও এই কর্মসূচিতে অংশ নিবেন।

রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু বলেন, কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠের মিনারের সামনেই কাঠ ও বাঁশ দিয়ে ৫০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ২৫ প্রস্থ ফুট প্রস্থের মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। মাঠের পাশে কয়েকটি গেটও করা হচ্ছে।

তিনি জানান, পুলিশ চীনের প্রাচীর দিলেও মানুষের স্রোতে আটকাতে পারবে না। সমাবেশ স্থলের লোকজন বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আসতে শুরু করেছে। নেতা-কর্মীদের আটক বা গ্রেপ্তার করা না হলেও সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা নেতা-কর্মীদের বিষয়ে খোঁজ করা হচ্ছে।

রংপুর জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজু বলেন, গণসমাবেশ সফল করতে সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। সমাবেশে কমপক্ষে পাঁচ লক্ষাধিক লোক সমাগম হবে। কোনো বাধাই এই সমাবেশ ঠেকাতে পারবে না।

এদিকে রংপুরে বিএনপির গণ-সমাবেশকে ঘিরে যেকোনো ধরনের নাশকতা বা বিশৃঙ্খলা ঠেকাতে কঠোর সতর্ক দৃষ্টি রাখছে পুলিশ প্রশাসন। শুক্রবার সকাল থেকে পুলিশের বিশেষ-বিশেষ দল জেলাজুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার ক্রাইম আবু মারুফ হেসেন।

এ প্রসঙ্গে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার নুরে আলম মিনা সাংবাদিদের জানান, তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন, বিভিন্ন গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে তারা যেকোনো ধরনের সহিংসতা ঠেকাতে পুলিশ প্রস্তুত। তাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য আছে রংপুরের মিঠাপুকুর ও পীরগাছা থেকে বিএনপির সমাবেশে বিপুল সংখ্যক জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মী উপস্থিত থাকবে। এ জন্য তারা রংপুর কারমাইকেল কলেজের আশপাশে ও আশরতপুরসহ দর্শনা মোড়ে শিবির নিয়ন্ত্রিত ছাত্রাবাসগুলোতে অবস্থান নিচ্ছে। সেখান থেকে তারা সমাবেশে যেন কোনো নাশকতা ঘটিয়ে অন্য কারোর উপর দায় চাপাতে না পারে সেজন্য পুলিশের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পুলিশ পেশাদারির ভিত্তিতে কাজ করে যাবে শেষ পর্যন্ত।

তিনি আরও জানান, কোন উস্কানি বা কোনো ধরনের উত্তেজনা যেন কোনো সংঘাতে রুপ না নেয় সেজন্য সাদা পোষাকে নগরীতে ও সমাবেশ স্থলের চারপাশে গোয়েন্দা সংস্থাসহ সাদা পেষাকে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। পুলিশ সদস্যরা যেন ধর্য্যের সাথে পরিস্থিতি সামাল দিতে পারে, কোনো উস্কানিতে যাতে পা না দেয় সেজন্য প্রায় দেড় হাজারের অধিক পুলিশ সদস্যকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তাদের কি পরিস্থিতিতে কি করতে হবে সে সম্পর্কে আগাম জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের এই কর্মকর্তা জানান, একটি রাজনৈতিক দল সমাবেশ করতেই পারে। আমরা সেটি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ থেকে দেখছি। এই সমাবেশকে কেন্দ্র করে কিছু সংগঠন একই মাঠে অভিন্ন সমাবেশের অনুমতি চাইলে আমরা তাদের বুঝিয়ে নিভৃত করেছি। আমরা সমাবেশকে ঘিরে সকল ধরনের নিরাপত্তা ও নাশকতার কথা বিবেচনা করে নগরীর সকল প্রবশে পথে শুক্রবার সকাল থেকে চেকপোস্ট বসিয়ে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রস্তুতি নিয়েছি।

অন্যদিকে সমাবেশের দুই দিন আগেই পরিবহন ধর্মঘট আহ্বান করেছে রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতি। অবৈধ যান চলাচল বন্ধের দাবিতে শুক্রবার ভোর ৬টা থেকে শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে এ ধর্মঘট। শুক্রবার ধর্মঘট ডাকা হলেও বৃহস্পতিবার থেকে সড়ক পথে যানবাহন চলাচল সীমিত হয়ে পড়েছে।

জেলা মটর মালিক সমিতির সভাপতি একে এম মোজাম্মেল হক বলেন, মহাসড়কে নিরাপত্তার জন্য পরিবহন মালিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সরকার আইন করেছে। কিন্তু রংপুরের মহাসড়কগুলোতে এখনো নছিমন, করিমন, ভটভটিসহ বিভিন্ন অবৈধ যানবাহন চলাচল করছে। এ জন্য প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। এমন অবস্থায় মহাসড়কে এসব যান চলাচল বন্ধের জন্য আমরা কয়েকটি সংগঠন মিলে সভা করে রংপুরের সকল সড়ক পথে ওই পরিবহন ধর্মঘট এর ডাক দিয়েছি।

তবে পরিবহন ধর্মঘটের বিষয়ে রংপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বলেন, রংপুর জেলা স্কুল মাঠে অনুমতি না দেওয়ার মাধ্যমে সরকার এবং প্রশাসন বার্তা দিয়েছে যে তারা আমাদের গণ-সমাবেশকে বাধাগ্রস্ত করার পাঁয়তারা করছেন। এজন্য সরকারের যোগসাজশে পরিবহন ধর্মঘট ডাক দেওয়া হয়েছে। সকল ধরনের বাধা অতিক্রম করে নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ গণসমাবেশে উপস্থিত হবেই।

 

Header Ad
Header Ad

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশুটি মারা গেছে

প্রতীকী ছবি

মাগুরায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে এসে ধর্ষণের শিকার ৮ বছর বয়সী সেই শিশুটি মারা গেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুর ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে শিশুটি। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) পেডিয়াট্রিক নিউরোলজি বিভাগের অধ্যাপক কর্নেল নাজমুল হামিদ গণমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

কর্নেল নাজমুল হামিদ বলেন, আজ সকালবেলা দুই দফায় শিশুটির কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। সিপিআর দেওয়ার পর তাঁর হৃৎস্পন্দন ফিরে আসে। কিন্তু বেলা ১২টায় তার আবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। এই দফায় সিপিআর দেওয়ার পরও তার হৃৎস্পন্দন আর ফিরে আসেনি। বেলা ১টার দিকে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) মাগুরা শহরে বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় ওই শিশুটি। পরের দিন তাকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ওইদিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

এরপর শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে গেল শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট (পিআইসিইউ) থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পরদিন রোববার শিশুটিকে সিএমএইচে পেডিয়াট্রিক আইসিইউতে নেয়া হয়।

এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার শিশুটির দুলাভাই ও দুলাভাইয়ের বাবাসহ চারজনকে রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। রোববার (০৯ মার্চ) রাত ১২টার দিকে মাগুরা চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আব্দুল মতিনের আদালতে শুনানি শুরু হয়। পুলিশ আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত এক নম্বর আসামি হিটু শেখকে ৭ দিন এবং সজীব হোসেন, রাতুল শেখ ও জাবেদা বেগমের ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

Header Ad
Header Ad

সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল আরও ২ মাস

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীতে কর্মরত সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন ও তদূর্ধ্ব সমপদমর্যাদার কমিশনপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের (কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে নিয়োজিত সমপদমর্যাদার কর্মকর্তাসহ) বিশেষ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা আরও দুই মাস বাড়িয়েছে সরকার।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

প্রজ্ঞাপন থেকে জানা যায়, ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ৯৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৮, ১৩০, ১৩৩ ও ১৪২ ধারা অনুযায়ী এই এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অন্তর্বর্তী সরকার গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর প্রথম সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দেওয়া হয়। এর কয়েকদিন পর ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে এই ক্ষমতা দেওয়া হয় নৌ-বাহিনী ও বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদেরও।

এরপর গত ১৫ নভেম্বর দেওয়া প্রজ্ঞাপনে এই ক্ষমতা ৬০ দিনের জন্য বাড়ানো হয়। ওই প্রজ্ঞাপনে কোস্টগার্ড ও বিজিবিতে প্রেষণে কর্মরত সামরিক কর্মকর্তাদেরও একই ক্ষমতা দেওয়া হয়।

Header Ad
Header Ad

পুলিশ তো মানুষের শত্রু নয়, আমাদের কাজ করতে দেন: আইজিপি

সভায় বক্তব্য রাখছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেছেন, পুলিশ তো মানুষের শত্রু নয়। এই জায়গাটায় দেশবাসীর কাছে অনুরোধ করি আমাদের কাজ করতে দেন।

তিনি বলেন, অনুগ্রহ করে আমাদের ওপর আক্রমণ করবেন না। আমরা তো সমাজ এবং দেশেরই লোক। কীভাবে সমাজে স্থিরতা আসবে, কীভাবে আমরা নিরপেক্ষ ও অবাধ নির্বাচনের দিকে যাব, আমরা যদি আস্থা না আনতে পারি। আমাকে কেন কাজ করতে দিচ্ছেন না? এটা তো টোটালি যুক্তিহীন একটা কাজ। এতদিন পর এখন তো আর আবেগতাড়িত হওয়ার কিছু নেই।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকাল ১০টায় গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস এলাকায় শিল্প পুলিশ-২ এর ইউনিটের বিশেষ কল্যাণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, ৫ আগস্টের পর আমাদের কী অবস্থা ছিল আপনারা জানেন। আমাদের কিছু সদস্য যারা মোস্টলি সিনিয়র অফিসার তাদের অতিউৎসাহ ও রাজনৈতিক আনুগত্যের জন্য পুরো পুলিশ কলঙ্কিত হয়েছে। সারা বিশ্ব এখন বলে যে, বাংলাদেশ পুলিশ তারা এত নির্মম কীভাবে হলো?

বাহারুল আলম বলেন, যখন কোনো পুলিশ সদস্য কিছু করে, তখন অবশ্যই এর দায়ভার আমার ওপর এসে পড়ে। আমার আত্মীয়স্বজনরা বলেন, তোমরা এগুলো (ছাত্র-জনতার আন্দোলন) কি করেছো? আসলে আমাদের যা করার কথা ছিল আমরা কিছুই করিনি বরং আমরা মানুষের বিরুদ্ধে গিয়েছি। এটা কিছুসংখ্যক পুলিশ সদস্যের উচ্চাভিলাষ এবং অন্যায় রাজনৈতিক আনুগত্যের জন্য হয়েছে। এর জন্য আমাদেরকে জীবন দিতে হয়েছে। এই দায়ভার যিনি জীবন দিয়েছেন তার নয়। এই দায়ভার যিনি অর্ডার করেছেন তার, তাকে অবশ্যই পানিশমেন্ট পেতে হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশুটি মারা গেছে
সেনা কর্মকর্তাদের ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা বাড়ল আরও ২ মাস
পুলিশ তো মানুষের শত্রু নয়, আমাদের কাজ করতে দেন: আইজিপি
চট্টগ্রামে কোচিংয়ে যাওয়ার পথে বাসচাপায় ভাই-বোনসহ নিহত ৩
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হলেন কুমিল্লার আমিন উর রশিদ ইয়াছিন  
ইফতারে খাবার কম: সংঘর্ষে সাংবাদিকসহ আহত ৬  
দুই উপদেষ্টার হস্তক্ষেপে মুচলেকা দিয়ে ধানমন্ডিতে আটক যুবককে ছাড়লো পুলিশ
একসঙ্গে চারবার হার্ট অ্যাটাক করেছে মাগুরার সেই শিশু  
লিবিয়ায় আটকে পড়া ১৭৬ বাংলাদেশি ফিরছেন আজ  
পাকিস্তানে জিম্মি ট্রেনের সব যাত্রী উদ্ধার, ২৮ সৈন্য নিহত  
ক্ষমা চাইলেন প্রকাশ্যে কান ধরে ওঠবস করানো বণিক সমিতির সেই নেতা  
গোল হজম, পেনাল্টি মিস, টাইব্রেকার, রিয়ালের রোমাঞ্চকর জয়  
৪ দিনের সফরে আজ ঢাকায় আসছেন জাতিসংঘের মহাসচিব  
সাংবাদিকের বেতন ৩০ হাজারের নিচে হলে পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হবে: প্রেস সচিব  
ঢাকায় রাস্তা খোঁড়াখুঁড়িতে এখন থেকে লাগবে পুলিশের অনুমতি
ঈদের সম্ভাব্য তারিখ জানাল জ্যোতির্বিদ্যা গ্রুপ
টাঙ্গাইলে রমজানে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ, ১০ টাকায় ইফতার পাচ্ছেন সুবিধাবঞ্চিতরা
হজযাত্রীর সর্বনিম্ন বয়স নির্ধারণ করে দিল সরকার
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানালেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ
টাঙ্গাইলে মুখে লাল কাপড় বেঁধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল, ধর্ষকের কুশপুত্তলিকা দাহ