৪ মাস আটকে রেখে রোহিঙ্গা কিশোরীকে ধর্ষণ

নোয়খালীর সুবর্ণচরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ৪ মাস আটকে রেখে এক রোহিঙ্গা কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। ভুক্তভোগীর দাবি, এ ঘটনায় সুবর্ণচর উপজেলার শাহাদাত নামের এক যুবক জড়িত।
বুধবার (২৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যের সহায়তায় ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে চরজব্বর থানা পুলিশরে কাছে সোপর্দ করা হয়।
এ বিষয়ে মোহাম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) মো. নুর আলাম ও ভুক্তভোগী কিশোরী জানায়, দালালের মাধ্যমে ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে গত ৪ মাস আগে ওই কিশোরীকে ভাসানচর রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে সুবর্ণচরে নিয়ে আসেন মোহাম্মদ শাহাদাত (২৮) নামের এক যুবক। পরবর্তীতে উপজেলার খাসেরহাট রাস্তার মাথা এলাকার একটি বাড়িতে স্ত্রী পরিচয়ে আটকে রেখে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে আসছে শাহাদাত। এ সময় শাহাদাতের অপর সহযোগী কচি (২৭) ওই রোহিঙ্গা কিশোরীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে। স্থানীয় লোকজন বিষয়টি আচ করতে পারলে দালালরা মেয়েটিকে একা ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় লোকজন ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে রোহিঙ্গা কিশোরীকে উদ্ধার করে থানায় সোপর্দ করে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত মোহাম্মদ শাহাদাত উপজেলার চরআলাউদ্দিন গ্রামের মৃত আসাদুল হকের ছেলে এবং কচি একই এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে।
এদিকে অভিযুক্ত শাহাদাতকে বিয়ে করতে চেয়ে ভুক্তভোগী কিশোরী অভিযোগ করে আরো বলেন, শাহাদাত এখনো তাকে বিয়ে করেনি। শাহাদাতের সহযোগী কচি তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চরজব্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব প্রিয় দাশ বলেন, ভুক্তভোগী কিশোরীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
