কক্সবাজারে আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

কক্সবাজারের পিএমখালীতে দেড় কোটি ঘন ফুট পাহাড় কাটার অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতাসহ ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম মঙ্গলবার (২৫ অক্টোবর) রাতে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- কক্সবাজার সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও জেলা পরিষদের সদস্য মাহমুদুল করিম মাদু, তার ভাই মামুন, ছনখোলার সুলতান আহমদ মেম্বারের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম, তোতকখালীর আমিন চেয়ারম্যানের ছেলে জোসেফ, তোতকখালীর সাবেক ইউপি সদস্য তাজমহল, কায়েস সিকদার, দক্ষিণ খুনিয়াপালংয়ের নুরুল কবির বাবুল, ছনখোলার ঘোনারপাড়ার লুৎফর রহমান, সোনা আলী, পরানিয়াপাড়ার কাজল, মনিরুল ইসলাম মুন্না, খুরুশকুল লামাজিপাড়ার নাছির উদ্দিন, উত্তর পরানিয়াপাড়ার মো. সোহেল, তোতকখালীর সিরাজ, উত্তর পরানিয়াপাড়ার শাহজাহান, নয়াপাড়ার হারুন, ডিকপাড়ার মোস্তাক আহমদ, পরানিয়াপাড়ার নুরুল আমিন ও নয়াপাড়ার পিএমখালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল কাদের।
অভিযুক্ত আসামিদের বিরুদ্ধে সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের তাজমহলের ঘোনা, ঘোনারপাড়া, ছনখোলা ও পশ্চিম পাড়া এলাকায় সরকারি পাহাড় কেটে পরিবেশ ধ্বংসের অভিযোগ আনা হয়েছে। ওবায়দুল করিমের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধ চক্রটি এক বছর ধরে অন্তত ১০ একর আয়তনের একাধিক পাহাড় কেটে ডাম্প ট্রাক ভর্তি করে দেড় কোটি ঘনফুট বালি ও মাটি বিক্রি করেছে।
সরেজমিন একাধিকবার পরিদর্শন করে পাহাড় কাটার ঘটনাটি পরিবেশবিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এনভায়রনমেন্ট পিপল, কক্সবাজার সচেতন নাগরিক আন্দোলন ও এক সাংবাদিক লিখিত অভিযোগ করে সংশ্লিষ্ট দপ্তর এবং গণমাধ্যমের নজরে আনেন।
পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সাইফুল ইসলাম মামলা করার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, 'মামলাটি পরিবেশ অধিদপ্তর তদন্ত করবে। তদন্তে সবকিছু চলে আসবে। যারা জড়িত তাদের কেউ বাঁচার সুযোগ নেই।
এসএন
