সিত্রাং আতঙ্কে নির্ঘুম রাত কাটল কক্সবাজারের মানুষের

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের দাপটে কক্সবাজারের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে জেলার উপকূলীয় নিচু এলাকার বসতঘরে পানি ঢুকে পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে নির্ঘুম রাত কাটাল জেলার অন্তত ৬ লাখ মানুষ।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৯টায় ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আঘাত হানে। তবে আঘাত হানার আগেই এর প্রভাবে রাত ৮টার পর থেকে কক্সবাজার জেলার নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকতে শুরু করে। সেই সঙ্গে বয়ে যেতে থাকে তীব্র ঝড়ো হাওয়া।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং আঘাত হানার আগেই সোমবার দুপুর থেকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে প্রায় দুই লাখ মানুষকে ও ৩ হাজার গৃহপালিত পশু আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়।
কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মুজিবুর রহমান বলেন, কক্সবাজার পৌরসভার ১৫টি আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষকে যানবাহনে করে আনা হয়। সবার জন্য খাবারসহ নানা প্রয়োজনীয় সুবিধার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অপরদিকে মহেখালী উপজেলা প্রশাসন জানায়, সোমবার বিকালের পর থেকে মাতারবাড়ি, ধলঘাটা ও কুতুবজোমসহ মহেশখালীর অন্তত ৩০টি গ্রামের মানুষকে সরিয়ে আনার কাজ শুরু করা হয়।
কুতুবদিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দীপংকর তঞ্চঙ্গ্যা জানান, কুতুবদিয়া ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে ছিল সাত থেকে আট হাজার মানুষ। তাদেরকে সরিয়ে নিতে বিকাল থেকে কাজ শুরু করেছিল জনপ্রতিনিধিরা। সন্ধ্যার আগেই ঝুঁকিপূর্ণ সব লোকজনকে সরিয়ে আনা হয়।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে সেন্টমার্টিন দ্বীপের চারপাশের ঘরগুলোতে ৬-৮ ফুট পর্যন্ত পানি ঢুকেছে বলে জানিয়েছেন সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান।
তিনি আরও জানান, জোয়ারের সময় পানি বাড়ায় নিম্নাঞ্চলে প্রবেশ করেছে। আমরা লোকজনকে সরিয়ে দ্রুত আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে এসেছি।
বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং শক্তি হারিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এ কারণে দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোকে ৭ ও ৬ নম্বর বিপদ সংকেত কমিয়ে ৩ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস।
এসআইএইচ
