সরবরাহ বাড়ায় হিলিতে কমেছে পেঁয়াজের দাম

দেশীয় পেঁয়াজের দাম কমায় ও ভারতীয় পেঁয়াজের সররবাহ বাড়ায় দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আবারও পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। একদিনের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম কেজিতে ৩-৪ টাকা করে কমেছে। দাম কমায় খুশি বন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা পাইকারসহ নিম্ন আয়ের মানুষজন।
হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বন্দর দিয়ে ইন্দোর জাতের পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে, দাম কমতির দিকে। একদিন আগে বন্দরে প্রতি কেজি ইন্দোর জাতের ছোট আকারের পেঁয়াজ ৩০-৩২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ২৭-২৮ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া একই জাতের মাঝারি আকারের পেঁয়াজ আগে ৩৪-৩৫ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৩২ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দরে পেঁয়াজ কিনতে আসা আনোয়ার হোসেন বলেন, বন্দরে পেঁয়াজের বাজার প্রতিদিনই উঠানামা করছে। আজ এক দাম আবার পরের দিন আরেক দাম। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিন থেকেই পেঁয়াজের বাজার চড়া ছিল। একদিন পরেই আবার কেজিতে ৩-৪ টাকা করে কমেছে। তাই পেঁয়াজ কিনতে পারছি।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ ব্যবসায়ী রেজাউল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি ভারতের ব্যাঙ্গালুরুতে বন্যার কারণে পেঁয়াজের উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় সরবরাহ কমে যায়। তাই ভারতের বাজারেই পেয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। এ কারণে বাড়তি দামে কিনতে হওয়ায় দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বাড়ছিল। একই সঙ্গে দেশীয় পেঁয়াজের দাম বাড়ায় ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা বাড়ায় দামের উপর প্রভাব পড়ছিল।
তিনি আরও বলেন, দেশের বাজারে বাড়তি চাহিদাকে ঘিরে বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি বাড়িয়েছেন বন্দরের আমদানিকারকরা। এতে করে দেশের বাজারে চাহিদার তুলনায় পণ্যটির সরবরাহ বাড়ায় ও ক্রেতা কম থাকায় আবারও দাম কমতির দিকে। এ ছাড়া দেশীয় পেঁয়াজের দাম বেড়ে ১৬০০-১৭০০ টাকায় উঠে গিয়েছিল। সেটি আবারও কমে ১২০০-১৩০০ টাকায় নেমেছে। এ কারণে আমাদানিকৃত পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে।
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, বন্দর দিয়ে পেঁয়াজের আমদানি খানিকটা বেড়েছে। গত সপ্তাহে যেখানে বন্দর দিয়ে ২০-২৫ ট্রাক পেঁয়াজ আমদানি হতো বর্তমানে তা বেড়ে ৩০-৪০ ট্রাক করে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে। গতকাল রবিবার বন্দর দিয়ে ৩২টি ট্রাকে ৯৮০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। আর শনিবার বন্দর দিয়ে ৩৯টি ট্রাকে ১১৩৩ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। আজও বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রয়েছে।
এসজি
