ফেনীতে প্রস্তুত ৪৩ আশ্রয়কেন্দ্র

বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে ফেনীতে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। রবিবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বৃষ্টি শুরু হয়। এরপর থেকে থেমে থেমে চলছে বৃষ্টি। সঙ্গে হালকা বাতাসও বইছে।
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে ফেনীসহ দেশের ১৯ উপকূলীয় জেলা ঝুঁকিতে আছে। এসব জেলায় তিন থেকে পাঁচ ফুট পর্যন্ত জলোচ্ছ্বাস হতে পারে বলে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে।
এদিকে আসন্ন ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় এরই মধ্যে প্রস্তুতি নিয়েছে ফেনী জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক আবু সেলিম মাহমুদ উল-হাসান জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় ২৫ টন চাল, নগদ ৫ লাখ টাকা, ১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর।
তিনি আরও বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে উপকূলীয় মানুষের জন্য ইতোমধ্যে ৪৩টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। আর ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় ১৪টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে প্রস্তুত রয়েছে সিপিপি ও রেড ক্রিসেন্টসহ বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবক দল। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে লোকালয় থেকে লোকজনকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে আসা হবে।
তিনি বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় ইউএনও এবং উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া দুর্যোগের সময় করণীয় বিষয়গুলো জানিয়ে মাইকিং করে সচেতনতামূলক বার্তা প্রচার করতে বলা হয়েছে।
আবহওয়া অধিদপ্তর প্রকাশিত সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে।
এদিকে, ফেনী আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারভার মনিরুজ্জামান বলেন, বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করা সুস্পষ্ট নিম্নচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে এটি আগামী মঙ্গলবার ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম উপকূলে আঘাত হানতে পারে।
তিনি বলেন, নিম্নচাপের প্রভাবে ফেনীতে গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। এ কারণে রাতে তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে এক থেকে দুই ডিগ্রি কমতে পারে। এর প্রভাবে আগামী দুই-তিন দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
এসএন
