মাছ চুরির অভিযোগে যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন
ঠাকুরগাঁওয়ে পুকুরে মাছ চুরির অভিযোগে ফইজুল ইসলাম (২৪) নামের এক যুবককে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে পুকুর মালিক আব্দুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে। শুক্রবার (২১ অক্টোবর) বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার চরকডাঙ্গীতে এ ঘটনাটি ঘটে।
নির্যাতনের শিকার ফয়জুল ইসলাম ওই উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের আমতলা গ্রামের মফিজ উদ্দীনের ছেলে। আর অভিযুক্ত আব্দুর রাজ্জাক মহিষমারী গ্রামের আলিম উদ্দীনের ছেলে।
পুকুর মালিক আব্দুর রাজ্জাক জানায়, আমার পুকুরে দীর্ঘদিন ধরে মাছ চুরি হচ্ছিল। কয়েকদিন ধরে রাতে পাহারা দিচ্ছি। গতকাল শুক্রবার ফইজুলসহ তিনজন জাল দিয়ে মাছ ধরছিল। আমি ফইজুলকে ধরে ফেললেও বাকি দুইজন পালিয়ে যায়। পরে থানায় নিয়ে যাই।
ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, ফইজুলের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় কাটা-ছেঁড়া দেখে আমি তাৎক্ষণিক হাসপাতালে ভর্তি করাই। তা না হলে ছেলেটি রক্তক্ষরণের ফলে মৃত্যুর আশঙ্কা ছিল।
ভুক্তভোগী ফয়জুলের বাবা মফিজ উদ্দীন বলেন, আমার ছেলে যদি পুকুরের মাছ চুরি করে থাকে তাহলে তাকে ধরে পুলিশে দেবে কিংবা আমাকে জানাবে। আমি এর বিচার করতাম। তা না করে বাড়ি থেকে ছেলেটাকে তুলে নিয়ে ধারালো ছুড়ি দিয়ে হাতে, পায়ে, সারা শরীরে কুপিয়েছে। ছেলেটা আমার প্রাণে বেঁচে গেলেও পরবর্তীতে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারবে না। আমি মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছি। আমি এর বিচার চাই।
বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার মাহবুব আলম সাংবাদিকদের বলেন, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে একটি কান বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। শরীরের বিভিন্ন অংশে বেশ কিছু সেলাই দেওয়া হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক। আমরা পর্যবেক্ষণে রেখেছি। প্রয়োজনে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হবে।
এ ব্যাপারে বালিয়াডাঙ্গী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল ইসলাম ডন বলেন, ‘ফইজুল ইসলামকে রক্তাক্ত অবস্থায় থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে এখান থেকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু থানায় এখন পর্যন্ত এই বিষয়ে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এসআইএইচ