'পাহাড়ে প্রশিক্ষণ নিচ্ছে অর্ধশতাধিক জঙ্গি'

বান্দরবান ও রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে অভিযান চালিয়ে নতুন জঙ্গি সংগঠন 'জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার' ০৭ জন এবং পাহাড়ি বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন (কেএনএফ) এর ০৩ জনসহ মোট ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। এসময় তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার।
আটক ব্যক্তিরা হলেন-সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর থানার মৃত সৈয়দ আবুল কালামের ছেলে সৈয়দ মারুফ আহমদ (মানিক), পিরোজপুর জেলা স্বরুপকাঠি থানার মো. শাহ আলমের ছেলে ইমরান হোসাইন (সাওন), ঝিনাইদহ জেলার শৈলকুপা থানার মৃত গোলাম কিবরিয়ার ছেলে কাওসার (শিশির), সিলেটের বিয়ানিবাজার উপজেলার ফজলুল হকের ছেলে জাহাঙ্গীর আহম্মেদ (জনু), বরিশাল জেলার মুলাদি থানার নয়ন মৃধার ছেলে মো. ইব্রাহিম (আলী), সিলেট জেলার গোপালগঞ্জ থানার আতিকুল আলমের ছেলে আবু বক্কও সিদ্দিক (বাপ্পি), সুনামগঞ্জ জেলার চাতক থানার আব্দুস সালামের ছেলে রুফু মিয়া (২৬), বান্দরবানের রোয়াংছড়ি উপজেলার লাল মুন সয় বমের ছেলে জৌথান স্যাং বম (১৯), একই উপজেলার জিক বিল বমের ছেলে মাল সম বল (২০) ।
ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয় এসবিবিএল বন্দুক ০৯টি, এসবিবিএল বন্দুকের গুলি ৫০ রাউন্ড, কার্তুজ কেইস (এসবিবিএল বন্দুক) ৬২টি, হাত বোম্ব ০৬টি, কার্তুজ কেইস ০১টি, কার্তুজ বেল্ট ০২টি, দেশীয় পিস্তল ০১টি, বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র, ওয়াকিটকি ০১টি, ওয়াকিটকি চার্জার ০৩টি, প্রস্তাবিত কুকি চিন রাজ্য লিখা ১০টি মানচিত্র সহ নানা ব্যবহার সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
শুক্রবার (সকালে) বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান গণসংযোগ বিভাগের পরিচালক খন্দকার আল-মইন।
র্যাব জানায়, 'জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়া' নামক উগ্রবাদী সংগঠনে জড়িত হয়ে তারা দেড় মাস হতে দুই বছরের বেশি সময় ধরে পরিবার হতে বিচ্ছিন্ন হয়। বিভিন্ন এলাকায় শারীরিক প্রশিক্ষণ ও তাত্ত্বিক জ্ঞান প্রদানের জন্য পটুয়াখালী, ভোলাসহ বিভিন্ন এলাকায় জ্যেষ্ঠ সদস্যদের তত্ত্বাবধানে বিভিন্ন সেইফ হাউজে রাখত। পরবর্তীতে প্রশিক্ষণে উত্তীর্ণ তরুণদেরকে বান্দরবানের দুর্গম পার্বত্য এলাকায় পরবর্তী ধাপের প্রশিক্ষণের জন্য প্রেরণ করা হত।
এএজেড
